পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের রায়
যেকোনো বিবাহবিচ্ছেদ বাতিল হবে ৯০ দিনে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৫ পিএম
বিবাহবিচ্ছেদের প্রতীকী ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে নতুন রায় দিয়েছেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। রায় অনুসারে, মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ (এমএফএলও)-এর ৭ ধারা অনুযায়ী, তালাক যেকোনো ধরনের হোক না কেন তা ৯০ দিনের মধ্যে বাতিল করা যাবে।
আদালত স্পষ্ট করেছেন, এমএফএলও-এর ধারা ৭ সব ধরনের তালাকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এমনকি তালাক-এ-বিদআত অর্থাৎ মৌখিকভাবে তিন তালাক বলার ক্ষেত্রেও।
ধারা ৭(১) অনুযায়ী, স্বামী যখন ‘যেকোনো রূপে তালাক’ উচ্চারণ করবেন, তখন তার আইনগত বাধ্যবাধকতা হলো লিখিতভাবে তালাকের নোটিশ স্ত্রীকে দেওয়া এবং তার একটি কপি ইউনিয়ন কাউন্সিল/নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
ধারা ৭(৩) অনুযায়ী, তালাক তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয় না। নোটিশ পৌঁছানোর দিন থেকে ৯০ দিন পার না হওয়া পর্যন্ত তালাক কার্যকর হবে না, যদি না তার আগেই স্বামী তা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে বাতিল করেন।
তিন সদস্যের বেঞ্চের এই রায়ে বলা হয়েছে, শুধু মুখে উচ্চারণ করলেই তালাক হয়ে যায় না; বরং ৯০ দিন পেরোনোর পরই কার্যকর হয়, যদি এর আগে তা বাতিল না করা হয়।
জাস্টিস মুহাম্মদ শফী সিদ্দিকীর লেখা রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, আইনটির উদ্দেশ্য হলো হঠাৎ বা আবেগের বশে দেওয়া তালাক প্রতিরোধ করা এবং স্বামী-স্ত্রীর জন্য পুনর্মিলনের একটি সময়সীমা নিশ্চিত করা।
আদালত আরও জানিয়েছেন, স্ত্রী যদি স্বামীর কাছ থেকে তালাকের অধিকার পেয়ে থাকেন, তবে তিনি ঠিক স্বামীর মতোই সেই অধিকার পূর্ণমাত্রায় প্রয়োগ করতে পারবেন।
এমএফএলও- এর ধারা অনুযায়ী, স্বামী যখন স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অধিকার অর্পণ করেন, তখন স্ত্রীও স্বামীর মতোই সেই অধিকার ব্যবহার করতে পারেন এবং একই নিয়ম ও সীমাবদ্ধতা তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
তথ্যসূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

