ঐকমত্য কমিশনে যারা আছেন, নিজেদের কাজে ফিরে যান: আমির খসরু
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঐকমত্য কমিশনে যারা আছেন, তারা আগে যে কাজ করতেন, তাদের সেই কাজে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগের ব্যবসায়ীদের এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ জানান।
সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘জোর করে, আরেকটি দলের অথবা দুটি দলের বা তিনটি দলের মতামত বাকি দলগুলোর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা একটা রাজনৈতিক দল, তারাও একটি রাজনৈতিক দল। এখানে ঐকমত্যের বাইরে গিয়ে তাদের দাবি আমাদের ওপর চাপাতে চাচ্ছে, জনগণের ওপর চাপাতে চাচ্ছে। অথচ ঐকমত্য কমিশন করার উদ্দেশ্য ছিল, ঐকমত্য যতটুকু হবে, সেটা নিয়ে আমরা জনগণের কাছে যাব।’
খসরু বলেন, ‘ঐকমত্য হয়েছে, সই হয়েছে, এর বাইরে গিয়ে এখন নতুন নতুন দাবি নিয়ে আসছে। তাদের দাবি মানতে হবে, না মানলে এটা হবে, সেটা হবে। আবার তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঐকমত্যের কিছু লোকজন। তাদেরও আবার মতামত আছে। রাজনীতিবিদদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে তারা তাদেরটা চাপাতে চাচ্ছে। আবার ঐকমত্য কমিশনেরও একটা নিজস্ব মতামত আছে। ঐকমত্য কমিশনের মতামতের জন্য তো তাদের সেখানে রাখা হয়নি। এখন তাদেরও মতামত আছে এবং ওটা আমাদের মানতে হবে।’
দেশের মানুষকেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহবান জানিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনে যারা আছেন, আপনাদের দাবি রাজনীতিবিদদের ওপর চাপাতে চান, জনগণের ওপর চাপাতে চান, তাদের প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা যে যেই কাজ করতেন আগে, ওই জায়গায় ফিরে যান। বাংলাদেশের মানুষকে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে দিন। আমি অনুরোধ করছি, আপনারা নিজ নিজ কাজে ফিরে যান। বাংলাদেশের মানুষকে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দয়া করে তাদের ওপরই ছেড়ে দেন। আপনাদের এ দায়িত্ব কেউ দেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে তাদের সিদ্ধান্ত দেবে। যেসব দল তাদের দাবিদাওয়া চায়, তাদের জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের মতামত নিতে হবে তো। জনগণের ম্যান্ডেট নিতে হবে। মতামত জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া চলবে না। আর ঐকমত্য কমিশনের যারা তাদের মতামত বাংলাদেশের জনগণের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়, এ দায়িত্ব তাদের কেউ দেয়নি।’
নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা আমাকে প্রতিনিয়ত বলছেন, ফেব্রুয়ারি নয়; পারলে এখনই নির্বাচন করে আমাদের একটু মুক্ত করেন। আমাদের ব্যবসা ধ্বংস হওয়ার উপক্রম। আমরা কোনো বিনিয়োগ করতে পারছি না। বিদেশিরা কোনো বিনিয়োগ করছে না। সুতরাং, এ নির্বাচনকে যারা বিলম্বিত করতে চায়, তাদের স্বার্থের জন্য, এখানে ব্যবসায়ীদের স্বোচ্চার হতে হবে। দ্রুতই নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।’
রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই বিভাগীয় ব্যবসায়ী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী বিভাগীয় ব্যবসায়ী ফোরাম এর আয়োজন করে। এতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সিটি মেয়র মিজানুর রহমান মিনুসহ রাজশাহী বিভাগের আট জেলার ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান।
