জনগণের সমর্থনে বিপ্লবের মহানায়কে পরিণত হন জিয়াউর রহমান: ফখরুল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৫ পিএম
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের সমর্থনের কারণে জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বরের বিপ্লবে মহানায়কে পরিণত হন। স্বাধীনতার ঘোষক ও একজন নিষ্কলুষ সাহসী সৈনিক হিসেবে জিয়াউর রহমানের প্রতি সামরিক বাহিনী ও জনগণের ব্যাপক সমর্থন ছিল।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে দেশবাসীসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বর সেনাবাহিনী ও সর্বস্তরের জনগণের সার্বিক সমর্থনের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। এই বিপ্লবের মূল চরিত্র ছিল জিয়াউর রহমানের প্রতি সেনাবাহিনী ও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনে এক ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানে সেদিন পূরণ হয়েছিল রাজনৈতিক শূন্যতা। সিপাহী-জনতার এই বিপ্লবের সম্মিলিত প্রয়াসে জনগণ নতুন প্রত্যয়ে জেগে ওঠে। ৭ নভেম্বর বিপ্লবের সফলতার সিঁড়ি বেয়েই আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক মুক্তির পথ পেয়েছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই বিপ্লবের মধ্য দিয়েই আইনের শাসন, বাক, ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সামাজিক শান্তি ফিরে এসেছিল। দেশ, জনগণ, স্বাধিকারসহ জাতীয় স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী সুগভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল, এই বিপ্লবে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানকে সমর্থন করে সামরিক বাহিনী আর তাদের সাথে সাধারণ মানুষও যোগ দেয়।
সফল রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উন্মেষ ঘটিয়ে জাতিকে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির মহাসড়কে উঠিয়েছিলেন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আর সেজন্যই আমাদের জাতীয় জীবনে ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের গুরুত্ব অপরিসীম। আজকের এই মহান দিনে আমি দেশবাসীসহ সবাইকে আহ্বান জানাই- এখনো দেশে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হয়নি। আর সেজন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। ৫ আগস্টের পর দেশবাসী কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে। ন্যায়বিচার, জবাবদিহি ও সুশাসনের অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হয়নি। এখনো দেশের বিভিন্ন জনপদে বিচারবহির্ভূত হত্যায় মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। আইনি প্রতিকার থেকে অসহায় মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে পদানত করার জন্য কুচক্রীমহল অপতৎপরতা চালাচ্ছে। যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরে আমরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম সেই একই চেতনা বুকে ধারণ করে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া, স্বাধীনতার সুফল তথা অর্থনৈতিক মুক্তি, শান্তি-শৃঙ্খলা, সাম্য, ন্যায় ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা এবং দুর্নীতি ও দুঃশাসনকে চিরতরে বিদায় করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

