Logo
Logo
×

রাজনীতি

মেডিক্যাল বোর্ড

খালেদা জিয়ার হার্ট ও ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছে

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম

খালেদা জিয়ার হার্ট ও ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হার্ট ও ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তার চিকিৎসা চলছে। 

রোববার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের একথা জানান।

তিনি বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরেই উনি খুব ঘন ঘন আক্রান্ত হচ্ছিলেন। আজকে আমরা যে কারণে এখানে (এভারকেয়ার হাসপাতালে) ভর্তি করিয়েছি, সেটা হচ্ছে- উনার কতগুলো সমস্যা একসাথে দেখা দিয়েছে। সেটা হচ্ছে, উনার চেস্টে ইনফেকশন হয়েছে।’

অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীর ভাষায়, ‘যেহেতু উনার হার্টের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। উনার হার্টে পারমানেন্ট পেসমেকার আছে এবং হার্টে ওনার স্ট্যান্ডিং করা হয়েছিল, রিং পরানো হয়েছিল। তারপরেও উনার মাইট্রোস্টেনোসিস নামে একটা কন্ডিশন আছে। সেজন্য চেস্টে ইনফেকশন হওয়াতে উনার একসাথে হার্ট ও ফুসফুস দুটোই একই সময়ে আক্রান্ত হয় এবং এতে উনার খুব রেসপিরেটরি ডিস্ট্রেস হচ্ছিল। সেজন্য এখানে আমরা খুব দ্রুত ওনাকে নিয়ে এসেছি।’ 


খালেদা জিয়া ২৪ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন উল্লেখ করে মেডিকেল বোর্ডের এই সদস্য বলেন, হাসপাতালে আনার পর আমরা খুব তাৎক্ষণিকভাবে  দ্রুত যে পরীক্ষাগুলো করা দরকার তা করেছি। আমরা প্রাথমিক যে রিপোর্ট পেয়েছি সে অনুযায়ী, মেডিকেল বোর্ডের সবাই বসে আমরা প্রাথমিকভাবে উনাকে এন্টিবায়োটিক দিয়েছি, ওনাকে যেভাবে প্রাথমিক দ্রুত এবং জরুরি চিকিৎসা দেওয়ার দরকার হয় সেটা দিয়েছি।’

তিনি বলেন, আশা করছি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও কিছু রিপোর্ট আসবে। উনি আমাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। আমরা মনে করছি, নেক্সট ১২ ঘণ্টায় উনার পরবর্তী পরিস্থিতি কী হয় সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্তে উনি আমাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা এবং আমরা যেটাকে খুব ভালোভাবে বলি, খুব ইন্টেন্সিভভাবে আমাদের মনিটরিং এর মধ্যে আছেন। কেবিনেই আছেন উনি।’

এর আগে, রোববার (২৩ নভেম্বর) রাত ৮টায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে আছেন।  

বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে নেওয়ার পরপর বেশ কিছু টেস্ট করা হয়। এরপর অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকাদারের সভাপতিত্বে মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। এ বৈঠকে অধ্যাপক এফএস সিদ্দিকী, ডা. জাফর ইকবাল,  ডা. জিয়াউল হক, ডা. মামুন আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইফুল ইসলাম এবং লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ডা. জুবাইদা রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে জনহোপকিংস হসপিটালের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অংশ নেন।

অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ম্যাডামের চিকিৎসা শুরু হয়েছে।’ 

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ডেফিনেটলি সুচিকিসার ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে নিবিড়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অত্যন্ত উৎকণ্ঠিত কোনো বিষয় আমরা মনে করছি না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করছি, উনার চিকিৎসাটা যদি এখন যেভাবে শুরু হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। তাহলে আগামী ১২ ঘণ্টার পর মেডিকেল বোর্ড আবার বসবেন। বসার পর উনার স্বাস্থ্যের অবস্থার ওপর পর্যবেক্ষণ করে কী ধরনের চিকিৎসার পরিবর্তন আনা যায়, সে অনুযায়ী বোর্ড ব্যবস্থা নেবে।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম