Logo
Logo
×

সারাদেশ

এলাকার পরিস্থিতি থমথমে

চবি শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মধ্যে চাপা উত্তেজনা

Icon

চট্টগ্রাম ব্যুরো ও চবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৯ পিএম

চবি শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মধ্যে চাপা উত্তেজনা

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও জোবরা গ্রামে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত উভয় স্থানে ১৪৪ ধারা বলবৎ  এবং যৌথ বাহিনীর টহল থাকায়  নতুন করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর চোখেমুখে ক্ষোভ এবং আতংকও লক্ষ্য করা গেছে। যেকোনো সময় পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তির শঙ্কায় আছেন অনেকে। চবির দুই নম্বর গেট থেকে রেললাইন পর্যন্ত এলাকায় শনিবার মধ্যরাত থেকে রোববার দিনভর শিক্ষার্থীও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এঘটনায় গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থীকে লাইফ সাপোর্টে এবং একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। 

লাইফ সাপোর্টে নেয়া দুইজন হলেন- ইমতিয়াজ আহমেদ (২৪) ও মামুন মিয়া (২৩)। এছাড়া নাইমুল ইসলামকে (২৪) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৪৪ধারা বলাল রাখা হয়েছে। এঘটনার পেছনে আগামী ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য চাকসু নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন কেউ কেউ। গতকাল সোমবার নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। ঘটনা এতবড় হওয়ার পেছনে দুই শিক্ষার্থীর ভুমিকা আছে বলে শিক্ষক ছাত্ররা অভিযোগ করেন। ঘটনার জন্য চবি প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের চরম ব্যর্থতাকেই দায়ী করছেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের একটি পক্ষ। 

তারা বলেন, রোববার সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত স্বয়ং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইয়াহইয়া আখতার ছিলেন একটি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত। তিনি সরাসরি এই বিষয়টি পর্যবেক্ষন করলে তুচ্ছ ঘটনায় সৃষ্ট বিরোধ এত ভয়ংকর রূপ ধারণ করত না। পক্ষান্তরে চবির একজন সহকারী প্রক্টর অভিযোগ করেন, কতিপয় শিক্ষার্থীর অতিউৎসাহী ভূমিকা ও সাবোটাজের কারণেই শিক্ষার্থীদের ‘বলির পাঁঠা’ হতে হয়েছে।   

রোববারের ঘটনায়  গ্রামবাসীর আড়ালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এদের মধ্যে বিশেষভাবে দুই যুবকের নাম উঠে এসেছে। এদের একজন ফয়সাল মাহমুদ ত্রিশাদ এবং অপরজন জহির উদ্দিন চৌধুরী টিটু। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি চবির প্রো-ভিসি, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও ওই ঘটনার জন্য নিষিদ্ধ সংগঠনকে দায়ী করা হয়েছে। তবে হামলার ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। যৌথবাহিনী টহলে থাকলেও হামলাকারীদের কেউ আটক বা গ্রেফতারও হয়নি।

জোবরা গ্রামবাসীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক সবসময় ভালো ছিল। এ গ্রামে কমপক্ষে ২ হাজার শিক্ষার্থী বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। তাদের অনেকেই প্রাইভেট টিউশনি করে লেখাপড়ার খরচও চালান। আবার শিক্ষার্থীদের বাসা ভাড়া দিয়েও তারা উপকৃত হন। নিকট অতীতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটেনি। শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীদের মধ্যে থাকা দীর্ঘদিনের সৌহার্দপূর্ণ এই সম্পর্কে যে চিড় ধরল তা আর জোড়া লাগবে কিনা সে বিষয়েও সন্দিহান তারা। 

যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব ঘটনার জন্য দায়ীদের তদন্ত করে চিহ্নিত ও শাস্তির আওতায় আনার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর সম্পর্ক উন্নয়নের ওপরই জোর দিচ্ছে। এ লক্ষ্যে চবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. কামাল উদ্দিনকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২১ সদস্যের ওই কমিটিতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণমান্য ব্যক্তিবর্গকে রাখা হয়েছে।

সোমবার সরেজমিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও জোবরা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী টহল দিচ্ছে। জোবরা গ্রামের ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি থাকায় লোকজনের উপস্থিতি ছিল কম। রাস্তাঘাট ও দোকান-পাটে নেই সাধারণ মানুষের সরব পদচারণা। যে ভবনটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ও দারোয়ানের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনায় এই সংঘর্ষ সেই ‘শাহবুউদ্দিন ভবন’ও ছিল ভেতর থেকে তালাবদ্ধ । 

ওই ভবনে সেই দারোয়ানও নেই। নেই সেই শিক্ষার্থীও। ভবনের মালিক বা বাসিন্দাদের কাউকেই কথা বলার জন্য পাওয়া যায়নি। ৫৫ বছর বয়সী নন্নামিয়া নামে এক দোকানদারকে পাওয়া যায় তার দোকানের সামনে অসহায় বসে থাকতে। তিনি বলেন, রোববার দিনভর মারামারির পর বিকেলে একদল ‘শিক্ষার্থী’ প্রশাসনের উপস্থিতিতে তার দোকানটিতে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে ৪/৫ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। গ্রামের অনেক সাধারণ মানুষের বাড়িঘরে ভাংচুর চালানো হয়েছে। সিএনজি অটোরিক্সা ভাংচুর করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরেই তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। এই ঘটনার কী থেকে কী হয়ে গেল তারা বুঝতে পারছেন না।

৩ শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক, আহতরা কাতরাচ্ছে হাসপাতালে: চবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থীকে লাইফ সাপোর্টে এবং একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। লাইফ সাপোর্টে নেয়া দুইজন হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ (২৪) ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের মামুন মিয়া (২৩)। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রোববার বিকালে চমেক হাসপাতাল থেকে ইমতিয়াজ ও মামুনকে নগরীর বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রথমে তাদেরকে আইসিইউতে নেয়া হয়। রাতে মাথায় অস্ত্রোপচারের পর অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এছাড়া ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলামকে (২৪) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। 

রোববার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রামে অস্ত্রোপচারের পর তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নাইমুল ইসলামের রক্তনালীতে আঘাতজনিত (ভাস্কুলার ইনজুরি) কারণে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এদিকে গুরুতর আহতরা কাতরাচ্ছে হাসপাতালের বেডে। আহতদের মধ্যে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী মাথায়, হাতে-পায়ে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। যারা কিছুটা সুস্থ হয়েছে তাদেরকে ছাড়পত্র দিয়ে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।    

শিক্ষার্থীদের কোপানোর নেপথ্যে ছাত্রলীগের দুই নেতা: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষে বর্বরতার পিছনে দুই যুবকের নাম উঠে এসেছে। রামদা দিয়ে কোপানো একজন হচ্ছেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল মাহমুদ ত্রিশাদ। তিনি ১১ নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের আহ্বায়ক বলে জানা গেছে। হামলার সময় তিনি মুখোশ পড়া ছিলেন। স্থানীয়দের উস্কানি দিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় আরেক ছাত্রলীগ নেতা। জহির উদ্দিন চৌধুরী টিটু নামের এই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা স্থানীয় লোকদের জড়ো করেন। তিনি ছাত্রদের ওপর হামলার নির্দেশনা দেন । 

এ নিয়ে তিনি ফেসবুকে বেশ কয়েকটি পোস্ট দেন। এক পোস্টে তিনি লিখেন প্রিয় জোবরাবাসী, নিজেদেন সম্মান রক্ষা করো। দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ শক্তি দেখাও।’ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আমি নিজ চোখে দেখেছি, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ছেলেরা শিক্ষার্থীদের তাড়া করছে, দা দিয়ে কুপিয়েছে। তাদের হাতে শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পরিস্থিতি সহ্য করার মতো না। তিনি এদের গ্রেফতারের দাবি জানান।

ঘটনার দিন ভিসি ছিলেন নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত :  সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, রোববার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার দিন চবি ভিসি ছিলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষকের দুটি পদে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত। সকাল ১১ টা থেকে বিরতিসহ বিকাল ৫ টা পর্যন্ত লিখিত, ভাইবা ও ডেমু পরীক্ষা হয়। যেখানে ১১ জন প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ শিক্ষক যুগান্তরকে বলেন, শিক্ষার্থীরা যখন রোববার প্রায় সারা দিন জোবরা গ্রামে মার খাচ্ছিলেন সেদিন ভিসি নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত । মনে হয়েছে তার কাছে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার চেয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাটিই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি যদি শুরু থেকেই বিষয়টি মনিটরিং করতেন তবে এমন ঘটনা ঘটতনা। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পরিস্থিতিও ছিল থমথমে। এদিন ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ ছিল। কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের প্রভাষক এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের দুইটা বোর্ডও স্থগিত করা হয়। তবে, বিশেষজ্ঞরা ক্যাম্পাসে চলে আসায় বাংলা বিভাগের শিক্ষক পদোন্নতি বোর্ড সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

দুই শিক্ষার্থীর সাবোটাজ: চবির সহকারী প্রক্টর নাজমুল হোসাইন সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সভায় রোববার বলেছেন, দুই শিক্ষার্থী এখানে সাবোটাজ করেছেন। যা তিনি সচক্ষে দেখেছেন। তবে তিনি তাদের নাম জানেন না। যখন ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছিলেন তখন ওই দুই শিক্ষার্থী নিজেরাাই ইটের টুকরো নিক্ষেপ করে গ্রামবাসী তাদের ওপর হামলা করেছে বলে উস্কানি দেন। এ ছাড়া নিরাপত্তা ভবনের তালা ভেঙ্গে শিক্ষার্থীরা ১৩০ টি রামদা নিয়ে গেছেন। ভবনের দায়িত্বরতরা তাদের হাতে পায়ে ধরলেও তারা তা শোনেনি। শিক্ষার্থীদের হাতে যাওয়া এইসব দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা না হলে তা তাদের জন্যই বুমেরাং হতে পারে বলে মন্তব্য করেন।

চাকসু নির্বাচনে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়ার চেষ্টা একটি পক্ষের: আগামী ১২ অক্টোবর চাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা । ৩৫ বছর পর এই নির্বাচন হবে। সোমবার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনের আগে এই সংঘর্ষের ঘটনায় নিজেদের অস্তিত্ব এবং ভূমিকা জানান দিতে চেয়েছে কোন কোন পক্ষ। যেখানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ছাড়াও ক্যাম্পাসে বিদ্যমান বিভিন্ন সংগঠনের শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ঘটনাকে পুঁজি করে ছাত্র সংগঠনগুলোর একটি অংশ নিজেদের ভূমিকার জানান দিতে চেয়েছে, যাতে চাকসু নির্বাচনে এই সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের নেতৃত্ব জাহির করা যায়। কিন্তু এটি করতে গিয়ে উল্টো সাধারণ শিক্ষার্থীরাই বিপদে পড়েছেন। স্থানীয়দের সঙ্গে সমঝোতা শেষ মুহুর্তে ভেস্তে যায় ওই অংশটির কারণে।

জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে এই ঘটনা: চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সাবেক আমীর শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ব্যাহত করার জন্য একটি কুচক্রি মহল ষড়যন্ত্র করছে। স্থানীয় মানুষের আবরণে নিষিদ্ধ সংগঠন এ ঘটনাটা সংগঠিত করেছে। বামপন্থি ছাত্র সংগঠনও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। এটি চট্টগ্রামবাসীর মতামত। এটা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের মারামারি নয়। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ বিদেশে বসে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কিভাবে একজন প্রো-ভিসির গায়ে হাত তুললো, ভিসিকে অবরোধ করল। এটি জাতীয় একটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে উদঘাটিত হওয়া দরকার।

১৪৪ ধারা বাড়লো: চবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪৪ ধারার আদেশের সময়সীমা বাড়ানো আজ মঙ্গলবার রাত ১২ টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সোমবার আবদুল্লাহ আল মুমিন এই আদেশ জারি করেন। 

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম