দেশে অপাঙক্তেয়, ভিনদেশে আদৃত
মালয়েশিয়ায় আলো ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যাডমিন্টন কোচ ময়নুল
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দশ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় আছেন। ২০১৫ সাল থেকে সেদেশে ছেলেমেয়েদের ব্যাডমিন্টন শেখান বাংলাদেশের ময়নুল ইসলাম। খেলোয়াড়ি জীবন খুব বেশিদূর এগোয়নি। কোচ হিসাবে নিজেকে এগিয়ে নিচ্ছেন সিলেটের ময়নুল। ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জে মালয়েশিয়া দলের সিনিয়র কোচ হয়ে ঢাকায় এসেছেন তিনি।
২০০৭ সালে ব্যাডমিন্টনে হাতেখড়ি। ২০০৯-এ জাতীয় জুনিয়র দলের সঙ্গে মালয়েশিয়ায় ক্যাম্পে অংশ নিয়েছিলেন ময়নুল। সেই ক্যাম্পে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে র্যাংকিংয়ে সেরা তিনে জায়গা করে নেন তিনি। ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত জাতীয় পর্যায়ে নিয়মিত খেলেছেন। ২০১৪ সালে সিলেটে জাতীয় টুর্নামেন্টে ফিকশ্চারে নাম থাকা সত্ত্বেও খেলার সুযোগ পাননি। সেখানেই শেষ হয়ে যায় তার ক্যারিয়ার। সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো বয়ে বেড়ান ময়নুল, ‘ন্যাশনাল টুর্নামেন্ট ছিল ২০১৪তে, সিলেটে। তখন আমাকে খেলতে দেওয়া হয়নি। আমার নাম ছিল ফিকশ্চারে। সব কিছু ঠিক ছিল।
তবু স্থানীয় কর্তারা আমাকে খেলতে দেননি। তখন আমি নিট কনসার্ন ক্লাবের হয়ে খেলতাম। উনারা বলেছিলেন, আমাকে জেলা থেকে খেলতে হবে। জেলা থেকে বলা হয়, আমাকে খেলতে দেবে। কিন্তু খেলতে দেওয়া হয়নি।’ খেলা থেকে মন উঠে যায় তার। কোচিংয়ে মনোযোগী হন। ২০১৫ সালে মালয়েশিয়ার নিউ ভিশন ব্যাডমিন্টন একাডেমিতে এক মাসের ট্রায়ালে যান ময়নুল। ট্রায়াল শেষে সন্তুষ্ট হয়ে একাডেমি তাকে কোচ হিসাবে রেখে দেয়।
কিছুদিন কাজ করেছেন মরিশাস জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসাবে। সেখান থেকে আবার ফিরে যান মালয়েশিয়ায়। কোচ হিসাবে মালয়েশিয়ায় তার কদর রয়েছে। ঢাকায় এসেছেন মালয়েশিয়া জাতীয় দল নিয়ে। মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের শাটলারদের প্রতিভা আছে। তবে তারা নিয়মিত ট্রেনিংয়ের সুযোগ পায় না। মালয়েশিয়ায় ১২ মাস ট্রেনিং হয়। ভালো কোর্ট, ভালো শাটল, ভালো প্রোগ্রাম আছে। পার্থক্যটা এখানেই।’ তার ইচ্ছা, ‘বাংলাদেশ থেকে ভালো প্রস্তাব পেলে অবশ্যই কাজ করব। দেশের জন্য কাজ করতে চায় না এমন মানুষ খুব কমই আছে।’ ময়নুল অবশ্য প্রথম নন। এর আগে ব্যাডমিন্টন কোচ হিসাবে কাতারে কাজ করেছেন বাংলাদেশের নিখিল চন্দ্র ধর।
