‘চ্যাম্পিয়ন হতে এসেছি, আশা হারানোর প্রশ্নই ওঠে না’
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:২৫ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর সুপার ফোরে খেলা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেছে বাংলাদেশের। লিটন দাসের সামনে এখন অনেক যদি কিন্তুর সন্নিবেশ, শেষ চারে যেতে হলে মেলাতে হবে অনেক সমীকরণ। তবে এমন পরিস্থিতিতে এসেও আশা হারায়নি দল। জাকের আলী মনে করিয়ে দিলেন, বাংলাদেশ এবার এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হতেই পা রেখেছে।
লঙ্কানদের কাছে ৩২ বল হাতে রেখে হেরে বসায় বাংলাদেশের নেট রান রেটে ধস নেমেছে। নেট রান রেটে ‘বি’ গ্রুপে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে আফগানরাই, ৪.৭০০ তাদের নেট রান রেট। ওদিকে বাংলাদেশের নেট রান রেট গত ম্যাচে বড় হারের পর দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক অবস্থানে, -০.৬৫০ লিটন দাসদের নেট রান রেট। শ্রীলঙ্কার নেট রান রেট ২.৫৯৫।
বাংলাদেশ শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতলেও তাই আশাটা খুবই কম, যদি না শ্রীলঙ্কা আফগানিস্তানকে হারিয়ে দেয়। আর এই বিষয়টা বাংলাদেশের হাতে নেই। তবে এরপরও আশা ছাড়তে নারাজ বাংলাদেশ দল। বিষয়টা জানালেন জাকের আলী।
তিনি জানালেন, ‘আশা ছাড়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমরা ম্যাচ জেতার জন্য খেলব। এই ম্যাচেও আমরা জেতার মানসিকতা নিয়ে এসেছিলাম, হয়নি। পরের ম্যাচেও জেতার মানসিকতা নিয়েই যাব। এ ছাড়া তো আর উপায় নেই।’
এরপরই তিনি মনে করিয়ে দিলেন টুর্নামেন্টে পা রাখার উদ্দেশ্যটা। তিনি বললেন, ‘আমরা তো টুর্নামেন্টে শুধু ম্যাচ খেলতে আসিনি, আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য এসেছি। এক ম্যাচ হেরে আশা বাদ দেওয়া যাবে না।’
ম্যাচে বাংলাদেশের ভালো মুহূর্ত গেছে একাধিক। শ্রীলঙ্কা ইনিংসের শেষ দিকে ১৭ বলের এদিক ওদিকে ১৮ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তার আগে নিজেদের ইনিংসের শেষ দিকে ষষ্ঠ উইকেটে জাকের আর শামীম পাটোয়ারীর ৬১ বলে ৮৬ রানের রেকর্ড ভাঙা জুটিও দেখেছে দল।
তবে বাংলাদেশ এরপরও ম্যাচটায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাটাও করতে পারেনি, কারণ ম্যাচটা তো দল হেরে বসেছিল পাওয়ারপ্লেতেই। লিটন দাসও বিষয়টা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় পাওয়ারপ্লেতেই ম্যাচটা হেরে গেছি। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো ছিল। ভালো উইকেটে ১৪০ রান করলে আপনাকে ভালো বোলিং আর ফিল্ডিং করতে হবে। আমরা সেটিও করতে পারিনি। আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচটা এখন বাঁচা-মরার লড়াই।’
