২০ বছরে জিতেছে ২ ম্যাচ, অদ্ভুত নিয়মে ২১০ নম্বর দলটিও খেলতে পারে বিশ্বকাপে
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ফিফার র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে নিচে থাকা দেশ সান মারিনো। শেষ ২০ বছরে তারা জিতেছে মোটে ২টি ম্যাচ, দুটোই লিখটেনস্টাইনের বিপক্ষে। উয়েফা নেশন্স লিগের ওই দুই জয় এখন সান মারিনোর সামনে খুলে দিতে পারে ২০২৬ বিশ্বকাপের দুয়ার!
উয়েফার অদ্ভুত নিয়মের কারণে দলটির ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা টিকে আছে এখনও। মাত্র ৩৪ হাজার মানুষের এই পাহাড়ঘেরা ছোট দেশটি এখন পর্যন্ত তাদের সাতটি বাছাই ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছে। গোল করেছে মাত্র একটি, হজম করেছে ৩২টি। তবুও ইউরোপীয় নেশনস লিগের জটিল নিয়মের কারণে তাদের সামনে এখনো ক্ষীণ সুযোগ রয়ে গেছে।
সান মারিনো ফুটবল ইতিহাসে এখন পর্যন্ত ২১৯ ম্যাচ খেলেছে। জিতেছে মাত্র তিনটি। এর মধ্যে শেষ ২০ বছরে এসেছে ২টি জয়। সান মারিনোর তিন জয়ের সবকটিই এসেছে প্রতিবেশী লিখটেনস্টাইনের বিপক্ষে, যারা নিজেরাও একটি ছোট দেশ। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া নেশনস লিগে সান মারিনো গত বছর লিখটেনস্টাইনকে দুবার হারায় এবং জিব্রালটারের সঙ্গে ড্র করে নিজেদের ‘ডি’ গ্রুপে শীর্ষে ওঠে।
এই নেশনস লিগের ফলাফলই ইউরোপের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রভাব ফেলে। কারণ, প্রতিটি গ্রুপের দ্বিতীয় হওয়া ১২ দলের সঙ্গে নেশনস লিগের সেরা চারটি দল খেলবে বিশ্বকাপের প্লে-অফে। সেখান থেকে চারটি দল যাবে মূলপর্বে।
এই তালিকায় সান মারিনোর নামও আছে। ২০২৪–২৫ মৌসুমের নেশনস লিগের ১৪টি গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের মধ্যে তারা সবচেয়ে নিচের স্থানে। কিন্তু এখন পর্যন্ত রোমানিয়া, সুইডেন, উত্তর আয়ারল্যান্ড ও চেকিয়া নিজেদের গ্রুপে ভালো অবস্থানে থাকায় সান মারিনোর সামান্য আশা টিকে আছে।
তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, রোমানিয়া ও সান মারিনো একই গ্রুপে আছে। রোমানিয়া যদি নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে ভালো ফল করে শীর্ষ দুইয়ে উঠে আসে, তাহলে নেশনস লিগের নিয়ম অনুযায়ী সান মারিনো প্লে-অফে জায়গা পেতে পারে। এজন্য অনেকেই বলছেন, সান মারিনোর স্বার্থে তাদের রোমানিয়ার কাছে হারলেও লাভ হবে। তবে সেজন্য শেষ ম্যাচে অন্ততপক্ষে তাদের ৭ গোলে হারতে হবে।
তবে ফিফার নিয়ম অনুযায়ী ইচ্ছাকৃতভাবে ম্যাচ হারা বা খারাপ খেলা ‘ম্যাচ ফিক্সিং’-এর আওতায় পড়ে এবং এতে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। ফিফা বলেছে, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ম্যাচ হারা বা খারাপ খেলা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের শামিল।’
এখন পর্যন্ত সান মারিনো এই বাছাই পর্বে সাত ম্যাচে হেরেছে—সাইপ্রাসের কাছে ০-২, রোমানিয়ার কাছে ১-৫, বসনিয়ার কাছে ০-১, আবার সাইপ্রাসের কাছে ০-৪, অস্ট্রিয়ার কাছে ০-৬ ও ০-১০, এবং সর্বশেষ সাইপ্রাসের বিপক্ষে ০-৪ গোলে হেরেছে সান মারিনো।
তবে এখনও তাদের বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন টিকে আছে। যদি নিয়মের মারপ্যাঁচে তারা টিকেই যায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকোর বিশ্বকাপের সঙ্গে তাদের দূরত্বটা হবে মোটে ২ ম্যাচের।

