হালান্ডকে নিয়ে গার্দিওলার বিশেষ সিদ্ধান্তে বিপদে ম্যানসিটি
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৩ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পেপ গার্দিওলার দুঃসাহসী দল নির্বাচন শেষ পর্যন্ত ব্যুমেরাং হয়ে গেল। দুর্বল একাদশ নিয়ে খেলতে নেমে ম্যানচেস্টার সিটি চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার লেভারকুসেনের কাছে ২-০ গোলের হারে হতবাক হয়েছে। মঙ্গলবার ইতিহাত স্টেডিয়ামে এই হার গার্দিওলার পরিকল্পনাকে পুরোপুরি ব্যর্থ করে দেয়।
গার্দিওলা চমক দিয়ে একাদশ থেকে বিশ্রাম দেন আর্লিং হালান্ড, রুবেন ডিয়াস, বের্নার্দো সিলভা এবং জিয়ানলুইজি দোনারুমাকে। এই সুযোগ কাজে লাগায় লেভারকুসেন। প্রথমার্ধে আলেক্স গ্রিমালদো এবং বিরতির পর প্যাট্রিক শিক গোল করে সিটিকে চাপে ফেলে দেয়। শেষ বাঁশিতে সিটি সমর্থকদের বিরক্তি স্পষ্ট শোনা যায়।
২০১৮ সালের পর প্রথমবার গ্রুপ পর্বে নিজেদের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগে হারল সিটি। সব মিলিয়ে এটি তাদের টানা দ্বিতীয় হার। শনিবার নিউক্যাসলের কাছে ২-১ গোলে হেরে গিয়েছিল দলটা, এরপর লেভারকুসেনের কাছেও একই পরিণতি হলো তাদের। এবারের লিগে সিটি ইতোমধ্যে চারবার হেরেছে এবং আর্সেনালের চেয়ে সাত পয়েন্ট পিছিয়ে আছে।
যদিও প্রথম পাঁচ ম্যাচে এটি তাদের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ হার, তবু গার্দিওলা বুঝে গেলেন তার রিজার্ভ বেঞ্চ এখনও প্রস্তুত নয়। সিটির কোচ হিসেবে তার ১০০তম চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচ ছিল এটি, কিন্তু আগের ৯৯ ম্যাচের উজ্জ্বলতার পাশে এটি ছিল অনেক ফিকে।
গার্দিওলা আগের তিন ম্যাচে একই একাদশ খেলিয়েছিলেন। এবার একসঙ্গে ১০টি বদল করে তিনি ঝুঁকি নেন। ডিসেম্বর জুড়ে ব্যস্ত সূচি এবং পরের চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচ রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে, এ সব হিসাবেই হয়তো তিনি রোটেশন করেছিলেন।
ম্যাচের শুরুতেই নাথান আকে সুযোগ পেয়েছিলেন। অস্কার ববের পাস থেকে তার শট মার্ক ফ্লেকেন কর্নারে ঠেলে দেন। সিটি বল দখলে রাখলেও আক্রমণে ধার ছিল না। ২৩তম মিনিটে মালিক টিলম্যান ও ক্রিশ্চিয়ান কুফানের পাস ধরে গ্রিমালদো নিচু শটে জেমস ট্র্যাফোর্ডকে পরাস্ত করেন। গোল ঠেকাতে দেরি করে ফেলেন সিটির আব্দুকোদির খুসানভ।
সিটি একাধিক সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। বিরতির ঠিক আগে টিয়ানি রেইন্ডারস দুর্দান্ত সুযোগ নষ্ট করেন। দ্বিতীয়ার্ধে গার্দিওলা জেরেমি ডকু, ফিল ফোডেন ও নিকো ও’রিয়েলিকে নামান। ও’রিয়েলির দূরপাল্লার শট ফ্লেকেন ঠেকান।
৫৪তম মিনিটে আসে দ্বিতীয় গোল। ইব্রাহিম মাজার ইনসুইং ক্রস ধরতে না পেরে আকের সামনে দিয়ে শক্তিশালী হেডে বল গোলমুখে পাঠান প্যাট্রিক শিক। সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেননি মারমুশ। এরপর গার্দিওলা হালান্ডকে নামান। কিন্তু নিউক্যাসলের ম্যাচের মতো এবারও হালান্ড হতাশ করলেন। সহজ সুযোগেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ে সিটি, আর গার্দিওলার রোটেশন সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়ায় দলের বড় ভুল।
