অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা জরুরি—প্রতীকী ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সাতবারের দ্রুততম মানবী সুলতানা পারভীন লাভলী বলেন, ‘এমনিতে আমাদের দেশে মেয়েদের খেলায় আসার পথে অনেক বাধা। চাকরির আশায় অনেকে আসতেন। এখন সেটি না থাকায়, নতুন মেয়েরা অ্যাথলেটিক্সে আসছে না।’
তার কাছে দুর্বলতা ধরা পড়ে সংগঠকদের পরিকল্পনায়, ‘বাচ্চাদের তুলে আনবে বা বছর ধরে প্রশিক্ষণ চলবে, এমন পরিকল্পনাই তো নেই। আমরা সারা বছর কোনো না কোনোভাবে চর্চা করতাম। আর এখন কী হচ্ছে? একটা গেমস এলে মাসদুয়েক বা মাসখানেক আগে ধরেবেঁধে ক্যাম্প শুরু করা হয়। এভাবে অ্যাথলেটিক্স চলে না। আপনাকে সারা বছরের পরিকল্পনা করতে হবে। হাতে নিতে হবে প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি।’
পরিকল্পনার অভাব দেখছেন কোচ কিতাব আলীও। তবে তার কাছে দীর্ঘমেয়াদের প্রশিক্ষণ বা প্রতিভা বাছাইয়ের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ স্কুল-কলেজে খেলায় জোর দেওয়া।
এই কোচ বলেন, ‘অ্যাথলেট হতে গেলে সহজাত প্রতিভা চাই। আপনি রাস্তায় নেমে ডেকে ডেকে বলতে পারবেন না, তুমি কী ভালো অ্যাথলেট? সব ছেলেমেয়েকে সুযোগ দিতে হবে। যে ভালো হবে, ওখান থেকেই বেরিয়ে আসবে।’
অ্যাথলেটিক্স কোচদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে গড়ে তুলে তাদের সামাজিক মর্যাদা ও আর্থিক সচ্ছলতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
অ্যাথলেটিক্সে চরম দুর্দিন যাচ্ছে অথচ দেশে বহু যোগ্য সংগঠক ও প্রতিভাবান অ্যাথলেট আছেন। রয়েছেন নিবেদিতপ্রাণ, প্রচারবিমুখ প্রশিক্ষক। তাদের মূল্যায়নের মাধ্যমে রচিত হতে পারে অ্যাথলেটিক্সের নতুন দিগন্ত। অনেকের রয়েছে না পাওয়ার বেদনা, অভিমান। অ্যাথলেটিক্স কোচদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে গড়ে তুলে তাদের সামাজিক মর্যাদা ও আর্থিক সচ্ছলতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
ক্রীড়া সংগঠকদের অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা জরুরি। শুধু তাই নয়, সাবেক খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। জেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য সরকারের পাশাপাশি প্রয়োজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিত্তবান ব্যক্তিদের সহযোগিতা।
(শেষ)

