২০২৫ সালে কানাডায় পড়াশোনা: জেনে নিন টিউশন ফি-সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:১৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বহু সংস্কৃতির সমন্বয়, বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় এবং পড়াশোনার পর কর্মসংস্থানের সুযোগ—এসব কারণে দীর্ঘদিন ধরেই কানাডা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। ২০২৫ সালে যারা উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের জন্য কানাডার নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়, স্টাডি ভিসার শর্ত, খরচ এবং পড়াশোনা শেষে কাজের সুযোগ সম্পর্কে জানা জরুরি।
কানাডার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়
কানাডায় রয়েছে বেশ কয়েকটি বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়। কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৬ অনুসারে, ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ২৭তম, টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় ২৯তম এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (ইউবিসি) রয়েছে ৪০তম স্থানে।
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষভাবে নিয়োগদাতাদের কাছ থেকে ৯৯.১ স্কোরের এমপ্লয়ার রেপুটেশন অর্জন করেছে, যা এ প্রতিষ্ঠানের স্নাতকদের প্রতি বৈশ্বিক আস্থা প্রকাশ করে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর হার ৩০ শতাংশের বেশি, যা কানাডার প্রতি বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহের প্রমাণ।
স্টাডি ভিসার শর্ত কানাডায় পড়াশোনার জন্য প্রথমে একটি ডিজাইনেটেড লার্নিং ইনস্টিটিউশন (ডিএলআই) থেকে ভর্তি নিশ্চিত করতে হয়। এটি হতে পারে অনুমোদিত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বা স্কুল।
ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের যেসব ব্যয় বহন করতে হয়—
১) টিউশন ফি
২) জীবনযাত্রার খরচ
৩) ফেরার যাতায়াত ব্যয়
এ ছাড়া কিছু ক্ষেত্রে অভিবাসন কর্মকর্তা সাক্ষাৎকার নিতে পারেন, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষে নিজ দেশে ফেরার পরিকল্পনা করেছেন।
পড়াশোনার পর কাজের সুযোগ
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ওয়ার্ক পারমিট (পিজিডব্লিউপি) এর জন্য আবেদন করতে পারেন। এর জন্য শর্তগুলো হলো—
১) অন্তত আট মাস মেয়াদি কোর্স শেষ করতে হবে এবং প্রতিষ্ঠানটি পিজিডব্লিউপিযোগ্য হতে হবে।
২) পড়াশোনার সময় সপ্তাহে নির্ধারিত সময়ের বেশি কাজ করা যাবে না, তবে শেষ সেমিস্টারে খণ্ডকালীন কাজের অনুমতি থাকে।
৩) কোর্স শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
আবেদন করার সময় বৈধ স্টাডি পারমিট থাকা বাধ্যতামূলক। পিজিডব্লিউপির মেয়াদ নির্ভর করে কোর্সের ধরণ (ব্যাচেলর, মাস্টার্স বা পিএইচডি) এবং প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতার ওপর।
টিউশন ফি ও জীবনযাত্রার ব্যয়
যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের তুলনায় কানাডায় পড়াশোনার খরচ তুলনামূলকভাবে কম। উদাহরণস্বরূপ, ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি শুরু ৫ হাজার ১৩০ কানাডীয় ডলার থেকে, আর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য তা শুরু ৩৫ হাজার ২০৭ কানাডীয় ডলার থেকে। (১ কানাডীয় ডলার সমান প্রায় ৮৮ টাকা)। প্রতিবছরের আনুমানিক খরচ—
আবাসন: প্রায় ৭,৭৯৬ কানাডীয় ডলার
খাবার: প্রায় ৪,০৪৪ কানাডীয় ডলার
যাতায়াত: প্রায় ৮৬৫ কানাডীয় ডলার
ইউটিলিটি বিল: প্রায় ১,৯৯২ কানাডীয় ডলার
কেন শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ কানাডা
আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি, নমনীয় ভিসা নীতি এবং বহুসাংস্কৃতিক পরিবেশের কারণে কানাডা বর্তমানে শিক্ষার্থীদের কাছে উচ্চশিক্ষা ও বৈশ্বিক ক্যারিয়ার গড়ার আদর্শ স্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ২০২৫ সালের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা উচিত, যাতে শেষ মুহূর্তে জটিলতায় পড়তে না হয়।
