Logo
Logo
×

জাতীয়

ট্রাভেল এজেন্সি নতুন অধ্যাদেশ আইন প্রত্যাহারের দাবি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম

ট্রাভেল এজেন্সি নতুন অধ্যাদেশ আইন প্রত্যাহারের দাবি
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে হজ্জ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।

রোববার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১২টায় নয়াপল্টনের একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে হাবের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার ও মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদারসহ সংগঠনটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, বাংলাদেশে পাঁচ হাজারের বেশি নিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সি রয়েছে। এরমধ্যে প্রায় এক হাজার ৩০০ জন হাবের সদস্য। ট্রাভেল এজেন্সিগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি রেমিট্যান্স খাতের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে থাকে। এছাড়া সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ থেকে পবিত্র হজ ও ওমরাহ যাত্রীসহ যাবতীয় সেবা নিশ্চিত করে থাকে। এই সেক্টরের মালিক বা কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ প্রায় ৫০ হাজার পরিবার এই খাতের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু কিছুদিন যাবৎ এই খাতের ওপর কিছু অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার কারণে এ খাতে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবিত ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রন) অধ্যাদেশ ২০২৫ প্রস্তাব করা হয়েছে। যা কার্যকর হলে এ খাতের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে এবং এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় ৫০ হাজার পরিবার পথে বসবে। চলমান এই খাতের ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থে প্রস্তাবিত এই আইনের কিছু ধারা প্রত্যাহার করার জন্য আমরা হাবের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে- অন্য ট্রাভেল এজেন্সির কাছ থেকে টিকিট ক্রয় বা বিক্রয় করা যাবে না। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে নিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সির সংখ্যা ৫৯৪৬টি, যার মধ্যে আইএটিএ অনুমোদিত (যারা এয়ারলাইনসের টিকিট নিজে ইস্যু করতে সক্ষম) এজেন্সির সংখ্যা ১০০০ (আনুমানিক), যার মধ্যে ৫০ শতাংশের ব্যাংক গ্যারান্টি নাই অথবা ব্যবসা পরিচালনার লোকবল নাই। অর্থাৎ ৫৪৪৬টি এজেন্সি বাকি ৫০০ এজেন্সি থেকে এয়ারলাইনসের টিকিট সংগ্রহ করে। আইনটি বাস্তবায়ন করা হলে এই ৫৪৪৬টি (৯০ শতাংশ) এজেন্সি বন্ধ হয়ে যাবে, যার ফলে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় ৫০ হাজার লোক বেকার হয়ে যাবে। এছাড়া একজন ট্রাভেল এজেন্টের সব এয়ারলাইনসের টিকিট ইস্যু করার অনুমতি থাকে না। যার ফলে যাত্রীকে সার্ভিস দিতে গিয়ে এক এজেন্ট অন্য এজেন্ট থেকে টিকিট ইস্যু করতে হয়। তাই এই আইন করা হলে ব্যবসা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একজন আইএটিএ ট্রাভেল এজেন্ট তার রেমিট্যান্স হোল্ডিং ক্যাপাসিটি আরএইচসির ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত টিকিট ইস্যু করতে পারে। যখন কোনো এজেন্টের ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত টিকিট ইস্যু হয়ে যায়, তখন তার টিকিট ইস্যু করার অথরিটি অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় তাকে টিকিট ইস্যু করার জন্য অন্য এজেন্টের কাছে যেতে হয়। তাই বিশ্বের সব দেশেই ট্রাভেল এজেন্ট টু ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসায় কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। ৯০ শতাংশ এজেন্সি যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই বৃহত্তর স্বার্থে বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করার দাবি জানাই।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, প্রস্তাবিত এজেন্সির ভৌত ঠিকানায় রিক্রটিং এজেন্ট হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে না বলা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে বিদ্যমান অনেক ট্রাভেল এজেন্সির নিজস্ব রিক্রুটিং এজেন্সি আছে। এই আইন করা হলে একটি এজেন্সির পরিচালনা খরচ অনেক বেড়ে যাবে। তাই বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করার অনুরোধ রইল।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম