Logo
Logo
×

আনন্দ নগর

হ্যালো...

নূর-এ আমার চরিত্র ছিল ব্যক্তি ঐশীর বিপরীত

‘মিশন এক্সট্রিম’ দিয়ে সিনেমায় অভিষেক হয় অভিনেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী’র। এরপর একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর, সম্প্রতি ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সিনেমা ‘নূর’। এ সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা নিয়ে ঐশী কথা বলেছেন আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে।

Icon

রিয়েল তন্ময়

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

* অনেক বছর আটকে থাকার পর নূর মুক্তি পেল। শিল্পী হিসাবে আপনি কতটা আনন্দিত?

** সিনেমাটি আটকে ছিল এর জন্য একটু খারাপ লাগছিল। তবে এখন নিজেকে নির্ভার লাগছে। যেভাবেই হোক, আর যে মাধ্যমেই হোক অবশেষে এটি দর্শক দেখতে পারছেন এটিই আনন্দের। সবচেয়ে ভালোলাগার বিষয় হচ্ছে, সিনেমার টিজার ট্রেলার প্রকাশের পর থেকেই, অনেক পজেটিভ রেসপন্স আসছে। এত আগের একটি সিনেমা তবুও দর্শকের আগ্রহ দেখে বেশ ভালো লাগছে।

* এ সিনেমার একটি চুম্বন দৃশ্য নিয়ে বেশ চর্চা চলছে। দর্শকের এমন প্রতিক্রিয়ার বিপরীতে কী বলবেন?

** প্রথমেই বলব এটি শুধুই অভিনয়। গল্পের প্রয়োজনেই আমাদের তা করতে হয়েছে। এ দৃশ্যটি খুবই সাধারণ। এটিকে কঠিনভাবে নেওয়ার কিছু নেই। গল্পের প্রয়োজনে এটা করা, অপ্রয়োজনে আমি করতাম না। এর আগেও একটি সিনেমায় এমন দৃশ্য ছিল, কিন্তু তা আমি করিনি। কারণ সেটি প্রয়োজন ছিল না। তবে সব দর্শক যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন এমন নয়। অনেকেই ইতিবাচকভাবেই দেখছেন। তারা সত্যিকার অর্থে বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। এখানে চুমুর দৃশ্যের বদলে অনেক কিছুই থাকতে পারত, যেমন নায়ককে ধাক্কা মেরে ফেলা দেওয়া বা চড় দেওয়া। এমন কিছু থাকলেও তা আমাকে করতে হতো। তাই এটিকে নেতিবাচকভাবে না নিয়ে, শুধু অভিনয়ের একটি অংশ হিসাবে দেখা উচিত।

* এ ছাড়া এতে এমন কী আছে যে দর্শক সিনেমাটি দেখবেন?

** এর গল্পই মূল শক্তি। দর্শক যেমন এখন সিনেমায় ভালো একটি গল্প চান, এটি তেমন গল্পের সিনেমা। এখানে দুটি মানুষের যে ভালোবাসা দেখানো হয়েছে, তা বর্তমানে খুব একটা দেখা যায় না। সহজ সরল প্রেমের সঙ্গে গল্পে রয়েছে অনেক মোড়। ভালোবাসার এ পাগলামী দর্শক এখন আর সিনেমায় দেখতে পান না। নূর-এ তাই দেখানো হয়েছে। দর্শক এ সিনেমা দেখার জন্য এ বিষয়টিকেই আমি বিশেষ হিসাবে দেখছি।

* শুটিং অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

** এ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে ভিন্নরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। শুটিংয়ের সুবাদে প্রথমবার পাবনায় গিয়েছিলাম। সেখানকার শহরের শান্ত পরিবেশ আমাকে মুগ্ধ করে। পাবনায় একটা ঐতিহ্যের ছোঁয়া আছে। মানুষ পুরোনো বাড়িগুলো আগলে রেখেছে। সেখানে শুটিং করে মনে হয়েছিল, জায়গাগুলো খুব মিস করব। সত্যিই এখনো মিস করছি। সবচেয়ে বড় বিষয়, এতে আমি যে চরিত্রে অভিনয় করেছি, এর জার্নিটা খুবই ইমোশনাল। বাস্তবে সেটা আমার জীবনে হয়নি। বলা যায়, চরিত্রটি ঐশীর বিপরীত। তাই বিষয়গুলো আয়ত্ত্বে আনতে সময় লেগেছে। তখনকার আমার ম্যাচিউরিটি অনুযায়ী এসব অনুভূতি বোঝা কিছুটা কঠিন ছিল। সেখানে পরিচালক আর সহশিল্পীর সহায়তা খুব দরকার ছিল এবং আমি সেটা সুন্দরভাবেই পেয়েছি।

* ‘সোলজার’ নামে আপনি আরও একটি সিনেমায় অভিনয় করছেন...

** এ সিনেমায় সব পেশাদার লোকজন কাজ করছেন। এজন্যই একটি ভালো কাজ হচ্ছে। কাজ করেও আমি দারুণ সব অভিজ্ঞতা অর্জন করছি। এর মধ্য দিয়ে শাকিব খানের সঙ্গে আমার প্রথম কাজ হচ্ছে। তার থেকে অনেক কিছ শেখার আছে। সবমিলিয়ে আমার অভিজ্ঞতা বেশ ভালো।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম