Logo
Logo
×

আনন্দ নগর

হ্যালো...

সিনেমার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত আছি

নাটকের জনপ্রিয় মুখ সাফা কবির। বিজ্ঞাপন, টিভি নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতেও তাকে দেখা গেছে। বর্তমানে অভিনয় নিয়েই তার ব্যস্ততা। তবে এখন গতানুগতিক কাজের বাইরে এক্সপেরিমেন্টাল চরিত্রেই তার বেশি আগ্রহ। সংখ্যায় নয়, মান প্রাধান্য দিচ্ছেন। সেসব কাজে পাচ্ছেন প্রশংসাও। পাশাপাশি সিনেমার জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জানিয়েছেন, কাজের ক্ষেত্রে তাকে সবসময় স্বাধীনতা দিয়েছে পরিবার। বাবা-মা কখনো তাদের ইচ্ছা চাপিয়ে দেননি। এসব বিষয় ও বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।

Icon

রিয়েল তন্ময়

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সিনেমার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত আছি

ফাইল ছবি

যুগান্তর: বর্তমানে আপনার অভিনীত নাটক খুব একটা দেখা যায় না। কারণ কী?

সাফা কবির: এখন কাজের ধরনে কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। একটু ব্যতিক্রমধর্মী গল্প ও চরিত্রে কাজ করতে চাই। তাই বেছে বেছে কাজ করছি। বর্তমানে যেসব নাটকের প্রস্তাব আসছে, এগুলোর গল্প সব একই ঘরানার। নিজের মধ্যেই কোনো আগ্রহ কাজ করে না। দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দিতে চাই। কিছুদিন আগেই বরিশালে একটি নাটকের শুটিং করেছি। নাম ‘লেলিন’। পরিচালনা করেছেন সুব্রত কুমার সঞ্জীব। যে লোকেশনে কাজ করেছি এবার, সেখানে পাঁচ বছর আগেও একটি নাটকের কাজ করেছিলাম।

যুগান্তর: বরিশালে তো আপনার বাড়ি। শুটিংয়ের অবসরে নিশ্চই আত্মীয়দের বাড়িতে গিয়েছিলেন?

সাফা কবির:  না, যাওয়া হয়নি। কারণ, আমার বংশের কেউ বরিশালে থাকেন না। থাকলে নিশ্চয়ই যেতাম। একটা সময় যে কোনো পারিবারিক আয়োজনে বাবা-মায়ের সঙ্গে বরিশাল যেতাম। তখন আনন্দই ছিল অন্য রকম। এখন আর কেউ নেই। তাই যাওয়াও হয় না সে রকম। শুটিং করে চলে এলাম, তবুও কোথাও যাওয়ার ছিল না। তবে ওখানে (বরিশালে) গেলেই আমি আলাদা এক শান্তি পাই।

যুগান্তর: এক দশকের বেশি সময় শোবিজে কাজ করছেন। নিজের মধ্যে কতটা পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করেন?

সাফা কবির:  প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি নিজেকে ভেঙে নতুন করে গড়তে। একজন শিল্পী সবসময় চেষ্টা করেন সময়ের সঙ্গে নিজেকে পরিবর্তন করতে। আমিও সেটিই করছি। এখন নিজেকে ভেঙে পরিণত সব গল্পে কাজের সুযোগ পাচ্ছি। চরিত্র নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করছি। পরিবর্তন তো অবশ্যই হচ্ছে। যে ধরনের গল্পে এখন কাজ করতে চাই, এমন ব্যতিক্রম গল্প ও চরিত্র পেলে নিজেকে আরও মেলে ধরতে পারব বলে আমার বিশ্বাস। সাধ্যমতো চেষ্টা করছি প্রতিটি নাটকে নিজের মধ্যে পরিবর্তন আনতে। বাকিটা দর্শকের হাতে। তারাই আসল বিচারক।

যুগান্তর: অভিনয়ের অনুপ্রেরণা কার থেকে বেশি পেয়েছেন?

সাফা কবির: পরিবারের কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আমার বাবা-মা দুজনেই আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। মা সবসময় বলতেন পড়াশোনার পাশাপাশি অভিনয় কর। বাবা বলতেন, তোমার যা ভালো লাগে তাই কর। কেউ কখনো নিরুৎসাহিত করেনি। তাদের সাপোর্ট না পেলে হয়তো এগোতে পারতাম না। আমার ইচ্ছাটাকেই তারা গুরুত্ব দিয়েছেন।

যুগান্তর: ওটিটিতে নিয়মিত হওয়া নিয়ে কী ভাবছেন?

সাফা কবির: ওটিটিতে ‘টিকিট’ নামের একটি কাজ করেছিলাম। আমি যে ধরনের কাজ করতে চাই সেটি ঠিক ওরকম একটি কাজ ছিল। কিন্তু এরপর আর এ ধরনের গল্প পাইনি। আমিও কাজ করতে মুখিয়ে আছি। কিন্তু মন মতো কিছু না পাওয়ায় আর কাজ করা হয়ে উঠছে না।

যুগান্তর: সিনেমা নিয়ে পরিকল্পনা কী?

সাফা কবির: সিনেমায় কাজের ইচ্ছা সবার মতো আমারও রয়েছে। তবে সেটি কবে হবে তা বলতে পারছি না। আমি এখন মানসিকভাবে কাজ করার জন্য প্রস্তুত আছি। আমার ইচ্ছা এমন এক গল্প দিয়ে বড় পর্দায় আসতে চাই, যেখানে নিজেকে উপস্থাপনের যথেষ্ট সুযোগ থাকবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম