Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

নন্দীগ্রামে রহস্যে ঘেরা প্রাচীন মসজিদ

Icon

নাজমুল হুদা নাসিম, বগুড়া

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নন্দীগ্রামে রহস্যে ঘেরা প্রাচীন মসজিদ

বগুড়ার নন্দীগ্রামের বুড়ইল ইউনিয়নের হাজারকি গ্রামে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আলিয়া জামে মসজিদ। ইতিহাস-ঐতিহ্যের অনন্য নিদর্শন এই ছোট মসজিদ রহস্যে ঘেরা। কেউ জানে না কবে বা কার হাতে নির্মিত হয়েছিল এটি। স্থানীয়দের বিশ্বাস, মোগল আমলের স্মৃতি বহন করছে এ প্রাচীন স্থাপনা। অনেকে একে জিনের মসজিদও বলে থাকেন। এটি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে আসেন বহু দর্শনার্থী।

বুড়ইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে তার ইউনিয়নের হাজারকি হোসেরপাড়া আলিয়াপুকুর এলাকা জঙ্গলে ভরা ছিল। ওই পুকুরপাড়ে হাট বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে সেখানে এ মসজিদের সন্ধান মেলে। তিনি আরও জানান, এ মসজিদের প্রতিষ্ঠাকাল ও প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে কোনো ইতিহাস নেই। প্রবীণদের ধারণা, মোগল আমলে এটি নির্মাণ হয়েছে। আগামী প্রজন্মের জন্য মসজিদটি রক্ষা করতে এটি প্রত্নসম্পদ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

জানা যায়, পশ্চিম বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পূর্বে বুড়ইল ইউনিয়নের হাজারকি গ্রাম। মাত্র ১৩ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৩ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট এ মসজিদের উচ্চতা প্রায় ২২ ফুট। পূর্ব দিকে রয়েছে তিন ফুট উচ্চতার একটি প্রবেশদ্বার। ভেতরে একটি ছোট মেহরাব ও কোনায় দৃষ্টিনন্দন নকশা করা কারুকাজ। বাইরের দেওয়ালে পোড়া ইটের ক্ষয় দেখা গেলেও ভেতরের গম্বুজ ও ইটের গঠন এখনো মজবুত। মসজিদের ভেতরে বা বাইরে কোনো নামফলক বা শিলালিপি নেই।

মসজিদের ইমাম মাওলানা হেলাল উদ্দিন জানান, অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে থাকা মসজিদটি স্থানীয়ভাবে দুবার সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু সরকারিভাবে সংস্কার ও সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক এ মসজিদের ভেতর দুই কাতারে চারজন করে আটজন মুসল্লি ও ইমাম নামাজ আদায় করতে পারেন। বাইরেও ১৮-২০ জন নিয়মিত নামাজ আদায় করেন। এখানে জুমার নামাজও হয়।

স্থানীয় জেলহক বলেন, এ মসজিদে প্রতিদিন নামাজ আদায় করি। মসজিদের দেখাশোনাও করি। প্রতিদিন অনেক মানুষ এটি দেখতে আসেন নন্দীগ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক নাজমুল হুদা সরকার বলেন, ধারণা করা হয়, আগে এই এলাকায় মুসলমানের সংখ্যা কম থাকায় মসজিদটি ছোট করে নির্মাণ করা হয়েছিল। নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। প্রাচীন আমলের মসজিদটি সম্পর্কে জানি না। মসজিদটি সংরক্ষণে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে অবহিত করার উদ্যোগ নেব।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম