Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

মাল্টা চাষ করে সফল সারিয়াকান্দির রানা

এক একর জমিতে বছরে বিক্রি ৬ লাখ টাকা

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মাল্টা চাষ করে সফল সারিয়াকান্দির রানা

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ৩ বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করে সফল হয়েছেন উদ্যোক্তা মাসুদ রানা। তিনি বছরে ৬ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন। লেখাপড়া শেষ করে একটি কোম্পানির চাকরি ছেড়ে তিনি সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন। মাল্টার পাশাপাশি তিনি পেয়ারা, সবজি, লেবুসহ নানা ধরনের অর্থকরী ফসল চাষ করেছেন।

বগুড়া সারিয়াকান্দির ফুলবাড়ি ইউনিয়নের মোন্নাপাড়া গ্রামের মৃত সুরুতজ্জামানের ছেলে মাসুদ রানা। স্নাতকোত্তর পাশ করে প্রথমে তিনি বোম্বে সুইটস কোম্পানিতে মার্কেটিং বিভাগে চাকরি নেন। পরে ইউটিউব সার্চ করে তিনি একজন কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। পরে চাকরি ছেড়ে বাড়িতে এসে শুরু করেন কৃষিকাজ। প্রথমে তিনি এক একর জমিতে মাল্টা চাষ করেন। দু’বছর পর তার মাল্টা বাগানের পুরোপুরি ফলন পাওয়া শুরু করেন। মাসুদ রানার হিসাব অনুযায়ী প্রতি বছর তার বাগান থেকে ৬ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি হয়েছে। মাল্টায় সফল হয়ে তিনি আরও ১ একর জমিতে পেয়ারার চাষ করেছেন। পাশাপাশি অর্ধ একর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির অসময়ের সবজির চাষ করেছেন। এছাড়া ১০ শতাংশ জমিতে লেবুর বাগান করেছেন। যেখান থেকে তিনি বিপুল পরিমাণ আয়ের সম্ভাবনা দেখছেন।

মাসুদ বলেন, লক্ষ্য সামনে রেখে অদম্য পরিশ্রম আর ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে যে কোন লক্ষ্য অর্জনে সফলতা আসে। পড়াশোনা শেষ করে কোম্পানির চাকরিতে গিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেও সামান্য বেতন পাওয়ায় প্রতিনিয়ত হতাশায় ভুগতেন। পরে চাকরি ছেড়ে কৃষিকাজে মনোনিবেশ করে সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন। এতে গত কয়েক বছরেই তিনি বেশ ভালো মুনাফা ঘরে তুলেছেন। এ কাজে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী তাকে বেশ সহযোগিতা করেছেন। মাসুদ রানা সংসারের বোঝা হয়ে না থেকে দেশের সব বেকার যুবকদের যে কোনো বিষয়ে একজন উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, পুরো এ উপজেলায় ২.৫ হেক্টর জমিতে মাল্টার চাষ হয়েছিল। তবে গাছের বয়স হওয়ায় অনেক কৃষক মাল্টার গাছ কেটে ফেলেছেন। তবে এখনও এক হেক্টর জমিতে মাল্টার বাগান রয়েছে। সাধারণত মাল্টার গাছ লাগানোর পর বয়স দুই বছর হলে শতভাগ মাল্টা সংগ্রহ করা যায়। তাই মাল্টা চাষে প্রথম বছর একটু খরচ করতে হয়। তারপর আর কোনো খরচ হয় না। তখন শুধু জমি থেকে ফসল সংগ্রহ করা হয়। তবে মাল্টা গাছের পরিচর্যার দিকে সব সময় খেয়াল রাখতে হয়। গাছ যেন রোগাক্রান্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়। তাছাড়া গাছের বাকল ছেঁটে দেওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বসহকারে দেখতে হয়।

সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, মাল্টা ‘ভিটামিন সি’ সমৃদ্ধ একটি ফল। এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। অনেক সময় এটি রোগীদের পথ্য হিসেবেও খাওয়ানো হয়। মাসুদ রানার মতো সারিয়াকান্দিতে অনেক তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। যারা অর্থনৈতিকভাবে বেশ সফল। যারা আধুনিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের বাগান করে লাভবান হচ্ছেন। এতে একদিকে বেকারত্ব মোচন হচ্ছে, অন্যদিকে বিদেশ থেকে ফল আমদানি কম করতে হচ্ছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম