নন-এমপিও শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ
সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পূর্বঘোষিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে নন-এমপিও শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এ সময় জলকামান থেকে রঙিন পানি এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন। অনেককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নন-এমপিও শিক্ষকরা জানান, আমরা দীর্ঘদিন থেকে বিনা বেতনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছি। বর্তমানে আমরা বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। শিক্ষকদের এক দফা হলো-সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করতে হবে।
সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সেলিম মিয়া যুগান্তরকে বলেন, সকাল থেকে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছিলাম। আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রোববার বেলা আড়াইটায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছিলাম। কিন্তু কোনো ধরনের বিনা উসকানিতে পুলিশ শিক্ষকদের ওপর চড়াও হয়ে লাঠিপেটা শুরু করে। এতে আমি নিজেও আহত হই। এ সময় সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা আহত হয়েছেন। এমন ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। শিক্ষকদের এমপিও প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলে জানান তিনি।
শাহবাগ থানার (পরিদর্শক পেট্রোল) বুলবুল আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, নন-এমপিও শিক্ষকরা দুপুরের দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে গেলে তাদের নেতাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার প্রতিশ্রুতি দিলেও সাধারণ শিক্ষকরা তা অমান্য করে পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় এক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেট নিক্ষেপ করা হয়। তবে লাঠিচার্জের কথা অস্বীকার করেন তিনি। ১৮ দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওর দাবিতে শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এ সময় তারা কয়েকবার সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন।
