আসামির সঙ্গে নামের মিল
বিনা দোষে কারাগারে দোহারের আরেক আলমাছ
কাজী সোহেল, দোহার (ঢাকা) থেকে
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আলমাছ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঢাকার দোহারে গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামির সঙ্গে নামের মিল থাকায় নির্দোষ এক যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। ভুক্তভোগী আলমাছ দোহারের সুন্দরীপাড়ার শেখ খলিলের ছেলে।
জানা যায়, ২০০২ সালে মিরপুর থানায় দোহার উপজেলার পূর্ব ধোয়াইরের খলিল আহম্মেদের ছেলে আলমাছের নামে অস্ত্র মামলা হয়। মামলায় ২০০৪ সালে ১০ বছরের সাজা হয় আলমাছের। এরপর থেকে আলমাছ পলাতক রয়েছেন। সেই মামলায় গত ৪ নভেম্বর দোহারের সুন্দরীপাড়া থেকে শেখ খলিলের ছেলে আলমাছকে গ্রেফতার করেন দোহার থানার মাহমুদপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরির্দশক (এসআই) জুবাইদুল হক।
আলমাছের পরিবারের দাবি, তিনি কৃষিকাজ ও ইলেকট্রিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি জীবনে কখনোই ঢাকা শহরে থাকেননি বা যাননি। অথচ তার ও বাবার নামে মিল থাকায় তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আলমাছের বাবা শেখ খলিল বলেন, এর আগেও আমার ছেলেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ, তখন তারা তদন্ত করে দেখেছে আমার ছেলে প্রকৃত আসামি নয়। তার প্রত্যয়নপত্র দেখাতে চাইলেও পুলিশ তা দেখেনি। জোর করে ধরে নিয়ে জেল দিয়েছে। পুলিশ বলছে এই নাম ঠিকানায় এই আলমাছের পরিবার ছাড়া অন্য কেউ নয়াবাড়িতে ছিল না। চর মাহমুদপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক জুবাইদুল হক বলেন, আমার কিছু করার নেই। আমি ভালো করে খোঁজ খবর নিয়েছি এই নামে ধোয়াইর কোনো লোক নেই।
সরেজমিন নয়াবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব ধোয়াইরের স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জলিল মাদবরের আপন ভাই ছিলেন খলিল আহমেদ। খলিল আহমেদ পরিবার নিয়ে ঢাকার মিরপুরে বসবাস করতেন। খলিল আহমেদের ছেলের নাম মো. আলমাছ। বর্তমানে জলিল মাতবর ও খলিল আহমেদ কেউ বেঁচে নেই। জলিল মাদবরের দুই ছেলে আনোয়ার হোসেন ও ফিরোজ আলম বলেন, আমার চাচা খলিল আহমেদ ও চাচাতো ভাই আলমাছ অনেক আগে থেকেই ঢাকার মিরপুরে বসবাস করেন। আমার চাচা ৫-৬ বছর আগে মারা গেছেন। আর আলমাছ সম্ভবত দেশের বাইরে চলে গেছে। এ বিষয়ে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার বলেন, আপনাদের কাছে কোনো ডকুমেন্ট থাকলে আমাকে দিন আমি বিষয়টি দেখব।
