Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

সম্পদের প্রতি লোভ দেখে বিস্মিত আদালত

চারবারের প্রধানমন্ত্রীর কেন এত টাকা লাগবে

মহিউদ্দিন খান রিফাত

মহিউদ্দিন খান রিফাত

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

চারবারের প্রধানমন্ত্রীর কেন এত টাকা লাগবে

সম্পদের প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লোভ দেখে বিস্মিত আদালত। পূর্বাচল ডিপ্লোম্যাটিক জোনে নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির তিন মামলায় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার সময় এ বিস্ময় প্রকাশ করেন আদালত। আদালত বলেন, শেখ হাসিনা একজন পলিটিক্যাল লিডার, চারবারের প্রধানমন্ত্রী। তার কেন এত টাকা লাগবে, এত সম্পদ লাগবে? সম্পদের প্রতি তার এত লোভ! বৃহস্পতিবার রাজউকের প্লট দুর্নীতির তিন মামলার রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বছর কারাদণ্ড, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে পৃথক দুই মামলায় ৫ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান উপলক্ষ্যে দেওয়া পর্যবেক্ষণে আদালত এসব কথা বলেন।

ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন রায়ের পর্যবেক্ষণে অবৈধ বরাদ্দের কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি রাজউক ও গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়ে ব্যাপক সংস্কার, ফরেনসিক অডিট, ডিজিটাল লটারি ব্যবস্থা ও দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন। বলেছেন, প্লট বরাদ্দে বিশেষ সুপারিশের বিধান সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে। সরকারি জমি বরাদ্দে ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়মকানুন লঙ্ঘন করেছে রাজউক। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় আইনগত দায়িত্ব পালন করেনি।

রায় পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর দৈনিক যুগান্তরের একটি সংবাদে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার অপব্যববহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে ১০ কাঠা করে ৬০ কাঠার ৬টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন মর্মে তথ্য তুলে ধরা হয়।

তারা পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ২৭নং সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩নং রোডে এ প্লট নেন। এরপর দুদক টিম গঠন করে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে প্লট বরাদ্দসংক্রান্ত দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধান রিপোর্টের ভিত্তিতে ১২ জানুয়ারি মামলা দায়েরের অনুমতি দেয় দুদক। এরপর অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, শেখ হাসিনার সম্পদের প্রতি লোভ আছে। উনি বরাদ্দ না চাইলে কাগজ ছুড়ে ফেলতে পারতেন। প্লট না নিতে পারতেন। উনার লিগাল অ্যাডভাইজার, ল’ মিনিস্টার আছে। তাদের দিয়ে মানা করতে পারতেন। কিন্তু তিনি পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ নেন। এক্ষেত্রে রাজউক, গৃহায়ন মন্ত্রণালয় ও শেখ হাসিনা অপরাধ করেছেন। তিনি প্রতারণা করেছেন।

আদালত বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিধি অনুসারে প্লট বরাদ্দ প্রার্থীর আবেদন ব্যতীত কর্তৃপক্ষ কোনো বরাদ্দ প্রদান করবে না। বিধি ৫ অনুসারে প্রেসক্রাইবড ফরম ব্যতীত আবেদন করা যাবে না। শেখ হাসিনার কোনো আবেদন ছিল না। তা সত্ত্বেও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের নির্দেশে ১৩অ(২)(র.র) বিধি লঙ্ঘন করে ২০২২ সালের ১৮ জুলাই শেখ হাসিনার অনুকূলে রাজউকের প্লট বরাদ্দের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে নোট ইনিশিয়েট করা হয়। ওই নোটে স্বাক্ষর করেন পূরবী গোলদার, সাইফুল ইসলাম সরকার, কাজী ওয়াছি উদ্দিন, শহীদ উল্লাহ খন্দকার এবং শরীফ আহমেদ। পরদিন ১৯ জুলাই শেখ হাসিনার জন্য প্লট বরাদ্দের অনুরোধ জানিয়ে পূরবী গোলদার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি রাজউকের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়। ২৭ জুলাই রাজউকের বোর্ড সভায় আনিছুর রহমান, শফি উল হক, খুরশীদ আলম, নাসির উদ্দীন এবং সামসুদ্দীন ওই সভায় রেজ্যুলেশন গ্রহণ করে শেখ হাসিনাকে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার সুপারিশ করেন। প্রেসক্রাইবড ফরমে শেখ হাসিনার কোনো আবেদন না থাকা সত্ত্বেও বিধি ৫ ও বিধি ১৩অ(২)(র.র) লঙ্ঘন করে শেখ হাসিনাকে প্লট দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

আদালতের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়, ২৭ জুলাই রাজউকের উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ স্বাক্ষরিত পত্রে শেখ হাসিনাকে পূর্বাচল নতুন শহর আবাসিক প্রকল্পে বিধি ১৩(অ)(১)(ধ) অনুসারে ১০ কাঠার প্লট পাওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন বলে শেখ হাসিনাকে জানানো হয়। ওই পত্রে নোটারি পাবলিক কর্তৃক প্রত্যয়ন করা হলফনামাসহ অন্যান্য কাগজপত্রে ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রেরণ করার অনুরোধ করা হয়। ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সম্পাদিত নোটারি পাবলিক কর্তৃক প্রত্যায়িত হলফনামায় উল্লেখ করতে হবে যে রাজউকের অধিক্ষেত্রে আবেদনকারীর নিজ নামে বা তার স্বামী/স্ত্রী/পরিবার/পোষ্যদের নামে ইতঃপূর্বে রাজউক থেকে বা অন্য কোনো সরকারি/আধা-সরকারি সংস্থা থেকে ইতঃপূর্বে প্লট বরাদ্দ করা হয়নি।

আদালত বলেন, শেখ হাসিনা রাজউকে হলফনামা দাখিল করেন। কিন্তু হলফনামাটি নোটারি পাবলিক বা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে শপথ করা ছিল না। এতে তিনি শুধু নিজ নামে কোনো প্লট বরাদ্দ না পাওয়ার কথা উল্লেখ করলেও তার স্বামী এম ওয়াজেদ আলীর নামে লিজ ডিড মূলে ১৯৭৩ সালে সরকারি জমি বরাদ্দের বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করেননি। নোটারি পাবলিক কর্তৃক প্রত্যায়িত না হওয়ায় হলফনামাটি আইনগতভাবে অকার্যকর ছিল, রাজউকের তা বিবেচনা করার কোনো সুযোগ ছিল না। তবুও অবৈধ ও অকার্যকর সেই হলফনামাকে ভিত্তি করে আসামিদের যোগসাজশে প্লটের অস্থায়ী বরাদ্দপত্র ৩১ জুলাই জারি করা হয়। অস্থায়ী বরাদ্দপত্র অনুযায়ী প্লটের মূল্য নির্ধারিত হয় কাঠাপ্রতি তিন লাখ টাকা। ১০ কাঠা জমির মূল্য ৩০ লাখ টাকা। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রথম কিস্তি ১২ লাখ টাকা জমা দিতে বলা হয়। শেখ হাসিনা কর্তৃক ৩ আগস্ট সোনালী ব্যাংকের গণভবন শাখা থেকে রাজউকের অনুকূলে ১২ লাখ টাকার পে-অর্ডার জমা দেওয়া হয়। ওই দিনই রাজউকের ২৭নং সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩নং রোডের ০০৯নং প্লট শেখ হাসিনার অনুকূলে চূড়ান্ত বরাদ্দপত্র জারি করা হয়। প্লটের নির্ধারিত মূল্য পরিশোধের পর প্লট হস্তান্তরের জন্য সুপারিশ করা হলে শেখ হাসিনা নিজ স্বাক্ষরে ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর প্লট হস্তান্তরের আবেদন করেন। যা এই মামলার মিনস রিয়া (অপরাধ করার ইচ্ছা) হিসাবে গণ্য হয় বলে পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন আদালত।

আদালত বলেন, শেখ হাসিনা নিজ স্বাক্ষরে ১২ সেপ্টেম্বর লিজ দলিল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেন এবং ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আরেকটি অশপথিত হলফনামা দেন, যেখানে নিজ নামে কোনো প্লট না থাকার কথা উল্লেখ থাকলেও স্বামী বা পরিবারের নামে বরাদ্দকৃত জমির তথ্য গোপন রাখা হয়। এ হলফনামাটিও আইনগতভাবে অকার্যকর ছিল। তথাপি রাজউক লিজ দলিল সম্পাদনের সিদ্ধান্ত নেয়। ওই দিন রাজউক এবং শেখ হাসিনার মধ্যে প্লটের চুক্তি কালীগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসে নিবন্ধিত হয়।

ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়মকানুন লঙ্ঘন করেছে রাজউক : রাজউক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম ও বেআইনি কার্যকলাপের বিষয়ে রেকর্ডপত্র গভীরভাবে যাচাইয়ের পর আদালত কঠোর পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, সরকারি জমি বরাদ্দের ক্ষেত্রে রাজউক দীর্ঘদিন ধরে নিয়মকানুন ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করেছে। বাধ্যতামূলক নথিপত্র যাচাই, যোগ্যতার মানদণ্ড এবং পদ্ধতিগত সুরক্ষা উপেক্ষা করে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সংসদ-সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের সিনিয়র নেতা, প্রভাবশালী আমলা এবং অন্যান্য ক্ষমতাধর ব্যক্তি।

আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, এটি এমন একটি মানসিকতা যেখানে আইনকে ক্ষমতাবানদের সুবিধার সামনে গৌণ মনে করা হয়েছে। বিশেষ বরাদ্দ কোটার বরাদ্দ ব্যবস্থাও নিয়মমাফিক পরিচালিত হয়নি। বরাদ্দ অনুমোদনের আগে যেসব নথি, যাচাই বা মূল্যায়ন হওয়া প্রয়োজন, সেগুলোর কিছুই ঠিকভাবে করা হয়নি। আদালত বলেছেন, এটি ক্ষমতার চরম অপব্যবহার এবং রাজউকের ওপর অর্পিত সাংবিধানিক দায়িত্বের গুরুতর লঙ্ঘন।

আদালত রাজউকের বিরুদ্ধে কঠোর সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, অবৈধ বরাদ্দে জড়িত কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও ফৌজদারি মামলা চলবে। নাগরিক সমাজ, নগর পরিকল্পনাবিদ ও দুর্নীতি দমন প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত স্বাধীন কমিটির মাধ্যমে ওই সময়ের মধ্যে করা সব বরাদ্দের ফরেনসিক অডিট করতে হবে। প্লট বরাদ্দে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে রাজউককে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি চালু করতে হবে; যেখানে লটারির সরাসরি সম্প্রচার, অডিট ট্রেইল ও নিরাপদ এনক্রিপশন থাকবে। বরাদ্দ অনুমোদনকারী কর্মকর্তাদের যৌথ দায়বদ্ধতার আওতায় এনে চাকরিচ্যুতি ও মামলার মুখোমুখি করা হবে। দুর্নীতি উন্মোচনে ভূমিকা রাখা কর্মীদের সুরক্ষা ও পুরস্কার দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। বরাদ্দের ক্ষেত্রে গৃহহীন পরিবার, নিম্ন আয়ের শহুরে শ্রমিক, অনিরাপদ বা ভাড়া বাসায় থাকা মানুষদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। একক মা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, নিম্ন আয়ের পরিবার এবং আবাসনহীন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের জন্য নির্দিষ্ট কোটা রাখতে হবে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় আইনগত দায়িত্ব পালন করেনি : গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা নিয়েও আদালত তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আদালতের মতে, রাজউকের কার্যক্রম তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের যে আইনগত দায়িত্ব মন্ত্রণালয়ের, তা পালন করা হয়নি। বিশেষ বরাদ্দের সুপারিশ পাঠানো, অনিয়ম উপেক্ষা করা এবং দুর্বল তদারকি; এসব কারণে মন্ত্রণালয়ও পদ্ধতিগত অনিয়মকে সমর্থন করেছে। ফলে অভিজাতদের দখল আরও বৈধতা পেয়েছে এবং সাধারণ নাগরিকের অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জন্য আদালত নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, বিশেষ সুপারিশের বিধান সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে। বরাদ্দসংক্রান্ত কোনো সুপারিশ বা নির্দেশনা মন্ত্রণালয় ভবিষ্যতে আর দিতে পারবে না। বরং মন্ত্রণালয়কে রাজউকের ওপর কঠোর তদারকি প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত চালাতে হবে। অতিরিক্তভাবে, অনিয়মে যুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও ফৌজদারি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রাজউককে জাতীয় সম্পত্তি ডাটাবেজ; যেমন ভূমি রেকর্ড, সিটি করপোরেশন হোল্ডিং নম্বর, সাবরেজিস্ট্রি তথ্য ও টিআইএন ডাটার সঙ্গে সমন্বয় করে ডিজিটাল যাচাই পদ্ধতি চালু করতে হবে। পাশাপাশি আবেদনকারীদের পূর্ণ তালিকা, স্কোর, প্লট নম্বর এবং সুবিধাভোগীর তথ্য অনলাইনে প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে রাজউককে ডিজিটাল লটারি, পয়েন্টভিত্তিক স্কোরিং এবং শক্তিশালী জবাবদিহিতাসম্পন্ন সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে। প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে অতীতের সব রেকর্ড নতুন করে যাচাই করতে বলা হয়েছে। একাধিক প্লট পাওয়া বা নিয়ম ভেঙে বরাদ্দ নেওয়া ব্যক্তিদের প্লট পুনরুদ্ধার করতে হবে। এসব পুনরুদ্ধারকৃত প্লট বরাদ্দ দেওয়া হবে শুধু ভূমিহীন ও যোগ্য আবেদনকারীদের। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রায়ের অনুলিপি দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম