Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

প্রধানমন্ত্রী বসবেন পিএমওতে

ফের স্বাভাবিক হচ্ছে গণভবন

Icon

আবদুল্লাহ আল মামুন

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২২, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ফের স্বাভাবিক হচ্ছে গণভবন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মাসের শেষ সপ্তাহে আগের মতোই তার কার্যালয়ে বসা শুরু করবেন। সেই সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলীয় ও সরকারি কর্মসূচি এবং অতিথিদের সাক্ষাতের সুযোগ বাড়ছে। গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র যুগান্তরকে এই তথ্য জানিয়ে বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস মহামারি সফলভাবে মোকাবিলা করেছেন। এখন তিনি আগের মতোই মানুষের জন্য গণভবনের দরজা খুলে রাখতে চান।

দুই বছর আগে করোনা মহামারি শুরু হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাপ্তরিক কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) যাওয়া বন্ধ করেন। একই সময় স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার কারণে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে অতিথি প্রবেশ সীমিত করা হয়। এ সময় গণভবনে থেকেই নির্বাচিত কর্মকর্তা ও জনবল নিয়ে করোনা মহামারি প্রতিরোধ কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র যুগান্তরকে জানিয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারির তাণ্ডব কেটে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে আগে স্বাভাবিক সময়ে যেভাবে বসতেন, সেভাবেই বসা শুরু করবেন। এ মাসের শেষ সপ্তাহ নাগাদ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাওয়া শুরু করতে পারেন তিনি। এজন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত, প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৩ মার্চ পর্যন্ত গণভবনে থেকে সব সরকারি ও দলীয় কার্যক্রমে অংশ নেবেন এবং নথিপত্রে স্বাক্ষর করবেন। পরের দিন বৃহস্পতিবার অথবা এ মাসের শেষ সপ্তাহ নাগাদ (রোববার-বৃহস্পতিবার) তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাবেন। এ সময় থেকেই গণভবনে নেতাকর্মীদের প্রবেশের সুযোগ এবং দলীয় ও সরকারি কর্মসূচির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।

দীর্ঘ প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় বিরতির পর সর্বশেষ গত বছরের ১৭ নভেম্বর নিজ কার্যালয় পিএমওতে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় অনুষ্ঠিত IORA Council of Minister’s Meeting-এ অংশগ্রহণকারী ১১টি দেশের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

করোনা মহামারি শুরুর পর থমকে যায় সারাবিশ্ব। তখন প্রধান হয়ে ওঠে মানুষের জীবন রক্ষার কাজটি। ফলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী শুরু হয় কঠোর লকডাউন। জনবহুল বাংলাদেশেও এর বিকল্প ছিল না। ব্যাপক প্রাণহানি রোধে সরকার সারা দেশে কঠোর লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য দফায় দফায় নির্দেশ জারি করে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শক্ত হাতে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে থেকে ভার্চুয়ালি সব কার্যক্রমে অংশ নেন। করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে সব ধরনের কার্যক্রম নিজে মনিটরিং করেন। গণভবনে থেকে সব নথিপত্রে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বব্যাপী ওই চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়ে দাপ্তরিক কাজ করতে না পারলেও তথ্যপ্রযুক্তির (ডিজিটালি) সহায়তায় সরকারের কার্যক্রম আরও গতিশীল করেন তিনি।

করোনাভাইরাসের তাণ্ডব কমে এলে গত বছর গণভবনে সীমিত আকারে অতিথি প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় বেশ কিছু বৈঠক করেন। তার সঙ্গে সীমিতসংখ্যক বিদেশি অতিথি সাক্ষাতের সুযোগ পান। তবে ওই সময় থেকে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করে গণভবনে নেগেটিভ সনদ জমা দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সব ধরনের কর্মসূচিতে এখনো সে নিয়ম চালু রয়েছে। এ নিয়ম সহসাই উঠছে না বলে জানা গেছে। তাই সরকারপ্রধানের সরকারি বাসভবন গণভবন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া হলেও করোনাভাইরাস পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ না থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের কোনো সুযোগ থাকছে না।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম