এনবিআর আন্দোলনের ৬১ দিন
‘কাশিমবাজার কুঠির’ ষড়যন্ত্র
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
টানা ৬১ দিন ধরে চলা এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে ছিল সরকারবিরোধী এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্র। যাকে এনবিআরসংশ্লিষ্ট অনেকে নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে কাশিমবাজার কুঠিতে বসে মীরজাফরদের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাদের মতে, এ আন্দোলনের উপরি ভাগে ছিল ন্যায়সংগত ‘সুশীল মোড়কে’ মোড়ানো কর ও কাস্টমস ক্যাডার কর্মকর্তাদের পক্ষে বিশাল এক বয়ান। কিন্তু অন্তরালে ভর করে ভিন্ন উদ্দেশ্য। এ সেক্টরের সাধারণ কর্মকর্তাদের আবেগ আর বিশ্বাসকে পুঁজি করে রাজস্ব সেক্টরকে কার্যত অচল করে দেওয়াই ছিল মূল লক্ষ্য। এর মাধ্যমে চক্রটি সরকার উৎখাতের রোডম্যাপ সূচনা করতে চেয়েছিল। সম্প্রতি আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর চক্রান্তের নানা তথ্য-উপাত্ত সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট কলামিস্ট বদিউর রহমান সোমবার যুগান্তরকে বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচি পালন করার কোনো সুযোগ নেই। উপরন্তু এনবিআর হলো সরকারের ব্লাড সার্কুলেশনের পাইপলাইন। ফলে এই আন্দোলনের পেছনে নিশ্চয়ই কোনো রহস্য আছে। এখন খুঁজে দেখা দরকার-এর পেছনে কারা, কীভাবে ইন্ধন দিয়েছে। পুরো বিষয়টি রহস্যজনক। এনবিআরের ইতিহাসে এ ধরনের আন্দোলনের নজির নেই।’ তিনি বলেন, ‘তারা অফিস সময়ের পরে কর্মসূচি দিতে পারত। কিন্তু অফিসের কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন করার কোনো সুযোগ নেই। আমার মতে, সরকারি কর্মচারীরা হলো বঁটির নিচে মাছ। তাহলে এভাবে আন্দোলন করার সুযোগ কীভাবে পেল?’
নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো যুগান্তরকে জানায়, সরকারবিরোধী এ চক্রান্তের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত অর্ধশতাধিক কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। যাদের কয়েকজনকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর এবং কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে অধিকতর অনুসন্ধান সাপেক্ষে ধাপে ধাপে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনও অন্তত ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে। তবে এনবিআরের নীতিনির্ধারক মহল মনে করেন, বিষয়টি নিয়ে সাধারণ কর্মকর্তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যেসব পেশাদার কর্মকর্তা না বুঝে এ চক্রের ফাঁদে পা দিয়েছেন তাদের ব্যাপারে সরকার কিছুটা নমনীয়। আরও যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত ক্ষমা করে দেওয়ার নীতি গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু যারা ছদ্মবেশে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে কাজ করেছেন, সরকারি বিধিবিধান লঙ্ঘন করেছেন, তাদের কাউকে ক্ষমা করা হবে না।
এদিকে কথিত এনবিআর সংস্কার আন্দোলনের নামে যারা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন তাদের ৬৬ জনের নামের তালিকা যুগান্তরের কাছে এসেছে। এর মধ্যে দুই ক্যাডারের মাস্টারমাইন্ড হিসাবে উল্লেখ রয়েছে ১২ জনের নাম। এর বাইরে আয়কর ক্যাডারের ৩৫ জন এবং কাস্টমস ক্যাডারের রয়েছে আরও ২২ জনের নাম। দুই ক্যাডারে এ তালিকায় নারী কর্মকর্তা আছেন ৯ জন। এছাড়া পরিদর্শক, নাজির ও সিপাহি পদমর্যাদার আছে কয়েকজন। তবে সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যুগান্তর এ পর্যায়ে কারও নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকছে। তালিকায় থাকা গাজীপুরে কর্মরত একজন পরিদর্শকের বিরুদ্ধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জুম মিটিংয়ে যুক্ত হওয়ার প্রমাণও মিলেছে।
আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া কয়েকজন জুনিয়র কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, আমরা প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারিনি। সম্পূর্ণ আবেগতাড়িত হয়ে ক্যাডারের পেশাগত অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মাঠে নেমেছিলাম। কিন্তু পরে যখন বুঝতে পারি-এটি আসলে দাবি আদায়ের আন্দোলন না, তখন আর কর্মসূচিতে যোগ দিইনি। যে কারণে আমাদের অনেক কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু এখন ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই। আশা করছি, স্যাররা প্রকৃত বিষয়টি অনুধাবন করে আমাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেবেন না। তারা বলেন, প্রয়োজনে পৃথকভাবে কথা বলার সুযোগ দিলে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য দিতে পারব। তদন্ত হলে গোপনে সাক্ষ্য দিতেও রাজি আছেন।
সূত্র জানায়, এসব কারণে এনবিআর সংস্কার প্রশ্নে প্রথমদিকে খসড়া গেজেটের বিরুদ্ধে মৃদু আন্দোলন শুরু হলেও তা ক্রমেই ধূমায়িত হতে থাকে। দ্বিতীয় ধাপে গেজেট বাতিলের আন্দোলন বেশ জোরেশোরে উত্তাপ ছড়ায়। কিন্তু জুনের মাঝামাঝি এসে হঠাৎ আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় পেছনে থাকা কুশীলবরা। অধ্যাদেশ বাতিলের ইস্যু বাদ দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি সামনে নিয়ে আসে। এর পরপরই সবকিছু অচল করে দিয়ে কুচক্রী মহল হঠাৎ শাটডাউনের কর্মসূচিতে চলে যায়। ওই সময় সভা-সমাবেশ থেকে কেউ কেউ সরকারের পদত্যাগও দাবি করেন। তখনই আসল উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
ষড়যন্ত্রের বিষয়টি স্পষ্ট হয় যেদিন : আন্দোলন চলাকালে গত ২৫ জুন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এনবিআর কর্মকর্তাদের দাবি বাস্তবায়নে বেশ কিছু ইতিবাচক উদ্যোগের কথা তুলে ধরা হয়। এছাড়া অবশিষ্ট দাবি-দাওয়া নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়। আশা প্রকাশ করা হয়, এই আলোচনার মাধ্যমে সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে। কিন্তু সরকারের এই ইতিবাচক সিদ্ধান্তের পরও কুচক্রী মহল আরও কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। সাধারণ কর্মকর্তাদের অনেকের কাছে তখন সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিষয়টি একেবারে স্পষ্ট হয়ে যায়।
এদিকে ২৯ জুন আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর এখন ধীরে ধীরে ষড়যন্ত্রের ক্ষত স্পষ্ট হচ্ছে। যদিও আন্দোলন চলাকালে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এবং আন্দোলনবিরোধী এনবিআরের বেশ কিছুসংখ্যক ‘দেশপ্রেমিক’ কর্মকর্তা গভীর ষড়যন্ত্রের বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিলেন। সে সময় প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে আন্দোলনের পেছনে ও সামনে থাকা কর্মকর্তাদের সার্বিক মুভমেন্ট মনিটরিং করা হয়। এ সুবাদে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।
সূত্র বলছে, মাস্টারমাইন্ডদের কেউ কেউ দেশি-বিদেশি চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রীতিমতো সরকার পতনের রোডম্যাপ প্রস্তুত করেছিলেন। আন্দোলনকে চাঙা করতে ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ’ গ্রুপ ছাড়াও বেশ কয়েকটি এক্সক্লুসিভ গ্রুপ ওপেন করা হয়। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ৮৪৫ পৃষ্ঠার মেসেজ আদান-প্রদানের বিশদ তথ্য এখন গোয়েন্দা সংস্থা এবং এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হাতে। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে অনেক কিছুর ক্লু মিলছে। এছাড়া এর বাইরে মাস্টারমাইন্ডদের কারা, কীভাবে এনবিআর সংস্কারের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে কোথায় কোথায় গোপন মিটিং করে কী ধরনের ছক কষেছেন-সেসব তথ্যও এখন সামনে আসতে শুরু করেছে।
এনবিআরে কর্মরত মধ্যমসারির একজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, কিছু সৎ ও মেধাবী কর্মকর্তা এখন বলির পাঁঠা হচ্ছেন, যা সবাইকে মর্মাহত করছে। কিন্তু কেউ মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছেন না। তিনি বলেন, অনেকে হয়তো মনে করেন এনবিআর কর্মকর্তা মানেই ঘুসখোর। বিষয়টি আদৌ সত্য নয়। দুই ক্যাডারে এমন অনেক সৎ ও দক্ষ অফিসার আছেন; যাদের কোনো অঙ্কেই কেনা যাবে না। কিন্তু আবেগের বশবর্তী হয়ে তাদের অনেকে এবারের এই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। যদিও তারা কোনো ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু বিপদ এখন তাদেরও তাড়া করে ফিরছে।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যা লেখা হয় : দুই ক্যাডারের ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ’ গ্রুপে কোনো মতামত বা পরিকল্পনা তুলে ধরার ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা সতর্ক ছিলেন। তা সত্ত্বেও অনেকের লেখার মধ্যে নানান ক্লু ছিল। ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা ৩০ থেকে গ্রুপটির যাত্রা শুরু হয় এবং ২ জুলাই বিকাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। দুই মাসে কর ও কাস্টমস ক্যাডারের আন্দোলনসংশ্লিষ্ট সক্রিয় কর্মকর্তারা বেশি অ্যাক্টিভ ছিলেন গ্রুপ চ্যাটে। প্রতিদিন শত শত মেসেজ তারা আদান-প্রদান করেন, যা প্রিন্ট আকারে ৮৪৫ পৃষ্ঠার বিশদ ডকুমেন্ট। এর মধ্যে স্পর্শকাতর নয়, এমন কিছু মেসেজ তুলে ধরা হলো।
৩০ এপ্রিল রাত ৯টা ৩৬ মিনিটে একজন কর্মকর্তা লেখেন, ‘দয়া করে আমরা এমন কিছু লিখব না, যেটার স্ক্রিনশট নিয়ে আমাদের বিপদে ফেলতে পারে।’ একইদিন রাত ৯টা ৪৮ মিনিটে একজন লেখেন, ‘এখানে গ্লানি নেই। ভয় নেই। এই গ্রুপ আলো আসবেই টাইপের নয়। মন খুলে কথা বলুন। তবে গুছিয়ে।’
১ মে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে একজন কর্মকর্তা লেখেন, ‘সাধারণ জনগণ আমাদের পর্যাপ্ত সমর্থন করবে বলে মনে হয় না। পাবলিকের কমন পারসেপশন হলো এনবিআরের সবাই টাকার কুমির এবং ভাববে যে, আমরা সচিব হওয়ার জন্য আন্দোলন করছি।’ একইদিন রাত ১১টা ৪ মিনিটে একজন কর্মকর্তা লেখেন, ‘দাবি আদায় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শক্ত কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে।’
২ মে রাত ৮টা ৭ মিনিটে একজন কর্মকর্তা লেখেন, ‘এই বুড়াদের সাহস নাই একটা গ্রুপের চাকরি খাওয়া। বরং ভালোমতো অফিসার, ইন্সপেক্টর, স্টাফসহ মাঠে নামলে তারা কিন্তু পিছু হটবে।’
২ জুলাই সকাল ৯টা ১ মিনিটে একজন লেখেন, ‘আমরা কি ভুলে গেছি যে, আমরা ওয়াদা করেছিলাম, কারও একজনের ওপর আঘাতকে সবার ওপর আঘাত বলে মনে করব। আজকে জাকির স্যার বলি হয়েছেন। কালকে আপনি, পরশু আমি। এখনো যদি এই অন্যায়ের প্রতিবাদ না করি তাহলে ওয়াদা কেন করেছিলাম? সবাই ভাবি এবং সিদ্ধান্ত নিই।’
২ জুলাই ১১টা ৪৪ মিনিটে একজন কর্মকর্তা লেখেন, ‘স্যাররা, একবার একটু ভাববেন প্লিজ? এই এনবিআরকে চিরতরে ভেঙে ফেলার খেলায় আপনারা কি জেনেবুঝে জড়িয়ে গেলেন? নাকি কেবলই ইগো?’
কেন কাশিমবাজার কুঠির ষড়যন্ত্র : এনবিআরের কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করতে ১৭৫৭ সালের জুন মাসে যেভাবে মুর্শিদাবাদের কাশিমবাজার কুঠিতে বসে মীরজাফর আর লর্ড ক্লাইভরা গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন, তেমনি আমাদের কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কিছু দলবাজ ও দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা ২০২৫ সালের মে-জুনে এসে সে রকম চক্রান্তে লিপ্ত হন।
রাতারাতি অনেকে এখন বিএনপি : ষড়যন্ত্রের এই আন্দোলনে যুক্ত হওয়া কর্মকর্তাদের অনেকে এখন বিপদে পড়ে নিজেকে রক্ষা করতে বিএনপি সাজার অপচেষ্টা করছেন। এজন্য পরিবার এবং আত্মীয়স্বজনের মধ্যে বিএনপির কানেকশন খুঁজতে মরিয়া কেউ কেউ। অনেকে ছুটছেন বিএনপি নেতাদের বাসাবাড়িতে।
ফিরে দেখা : প্রথম আন্দোলনের ঘোষণা আসে গত ২৯ এপ্রিল। ওইদিন সন্ধ্যায় এনবিআর ভবনে কাস্টমস ও আয়কর ক্যাডারের বেশ কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা সভাকক্ষে উপস্থিত হয়ে অধ্যাদেশের খসড়া নিয়ে ক্ষোভ-অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এছাড়া পরদিন বুধবার এনবিআরে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এভাবে আন্দোলন শুরু হয়ে তা কলমবিরতি থেকে হঠাৎ মার্চ টু এনবিআর এবং কমপ্লিট শাটডাউনে রূপ নেয়।
এনবিআরের চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণা দিয়ে সরকার হার্ডলাইনে যাওয়ার পর আন্দোলনকারীরা পিছু হটতে বাধ্য হন। সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ব্যর্থ হয়ে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়। টানা ৬১ দিনের আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে এপ্রিল মাসে ১ দিন ছিল ৩০ এপ্রিল, মে মাসের ৩১ দিন এবং জুন মাসের ২৯ দিন।

