চিরায়ত রস
মুরগির সুরুয়া
গ্রন্থনা : অর্পণ দাশগুপ্ত
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
একদিন মোল্লা নাসিরুদ্দিন হোজ্জা মুরগির সুরুয়া খাবেন বলে অনেক শখ করে বাজার থেকে মুরগি কিনে এনেছেন। যেই ভাবা সেই কাজ, মুরগি রান্না করে যেই তিনি মুরগির সুরুয়া খেতে যাবেন, অমনি তার বাসার দরজায় করাঘাত।
‘কী ব্যাপার?’ হোজ্জা দরজা খুলতেই দেখতে পেলেন, এক পরিচিত লোক দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু কে সে লোক? লোকটি নিজের পরিচয় নিজেই দিল, ‘আমি আপনার (হোজ্জার) ভায়রা।’ হোজ্জা তাকে নিজের অতিথির মতো আপ্যায়ন করে মুরগির সুরুয়া খেতে দিলেন।
এর কয়েকদিন পর আরও একজন লোক হোজ্জার দ্বারস্থ হলেন। হোজ্জা তার পরিচয় জানতে চাইলে জানালেন, তিনি হোজ্জার ভায়রার ভায়রা! হোজ্জা তাকেও মুরগির সুরুয়া খেতে দিলেন। কিছুদিন পর আরও একজন লোক হোজ্জার দ্বারস্থ হলেন।
সে নিজের পরিচয় দিয়ে বললেন, ‘আমি আপনার ভায়রার ভায়রার ভায়রা!’
হোজ্জা তাকেও মুরগির সুরুয়া খেতে দিলেন। কিন্তু লোকটি মুরগির সুরুয়া মুখে দিয়েই থু থু করে সব সুরুয়া ফেলে দিয়ে বললেন, ‘কী দিয়েছেন এটা আমাকে? এটি কি সুরুয়া নাকি লবণ মেশানো গরম পানি?’
এবার মৃদু হেসে হোজ্জা বললেন, ‘আপনি যেমন আমার ভায়রার ভায়রার ভায়রা! তেমনি আমি প্রথমে যে মুরগি এনেছিলাম-এটা তার সুরুয়ার সুরুয়ার সুরুয়া! বোঝা গেছে ব্যাপারটা?’
