গোপনীয়তার হুমকি ভাইরাল ‘ন্যানো ব্যানানা শাড়ি ট্রেন্ড’
আইটি ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি জেমিনির ‘ন্যানো ব্যানানা শাড়ি ট্রেন্ড’ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ঝড় তুলেছে। বিশেষ করে ইনস্টাগ্রামে লাখো ব্যবহারকারী এ ট্রেন্ডে মেতে উঠেছেন। প্রাচীন বা ক্ল্যাসিক ব্যাকড্রপে শাড়ি পরিহিত রূপে নিজেকে দেখতে কে না চাইবেন? কিন্তু এ বিনোদনই পরিণত হয়েছে নতুন এক গোপনীয়তা বিতর্কে।
সম্প্রতি এক নারী নিজের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে আলোচনার ঝড় তুলেছেন। তিনি জানান, ফুলস্লিভ সালোয়ার-কামিজ পরিহিত একটি ছবি আপলোড করেছিলেন। কিন্তু জেমিনির এডিটেড ছবিতে তাকে শাড়ি পরিহিত অবস্থায় দেখানো হয়, আর আঁচলের নিচে স্পষ্ট দেখা যায় তার ডান হাতের তিল, যা বাস্তবেই আছে। তিনি হতবাক হয়ে বলেন, ‘জেমিনি কীভাবে জানল আমার শরীরের এ জায়গায় একটি তিল আছে? এটা ভয়ের।’ ভিডিওটি ইতোমধ্যেই প্রায় ৭০ লাখ ভিউ পেয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, তাদের সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটেছে। কেউ বলেছেন, গোপন ট্যাটু হুবহু ফুটে উঠেছে, আবার কেউ লিখেছেন, ‘গুগল আমাদের ফোনের ছবি-ভিডিও স্ক্যান করতে পারে বলেই এমনটা সম্ভব।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি আসলে ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট বিশ্লেষণের ফল। ইন্টারনেটে আপলোড করা ছবি, মেটাডেটা কিংবা পূর্ববর্তী কনটেন্ট ব্যবহার করে এআই আরও রিয়েলিস্টিক ছবি তৈরি করতে সক্ষম। ফলে অদৃশ্য বা আড়াল থাকা অনেক কিছুই এডিটেড ছবিতে প্রতিফলিত হতে পারে।
‘ন্যানো ব্যানানা’ মূলত জেমিনির একটি ইমেজ এডিটিং মডেল। প্রথমে থ্রিডি ফিগার বানানোর জন্য জনপ্রিয় হলেও পরবর্তীকালে শাড়ি ট্রেন্ডে ভাইরাল হয়। বাংলাদেশ, ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ায় এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়।
তবে এ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন শুধু ট্রেন্ড নয়, বরং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা। প্রযুক্তি যেমন জীবন সহজ করছে, তেমনি ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ-এআই প্ল্যাটফর্মে ছবি আপলোডের আগে সচেতন থাকুন এবং গোপনীয়তা রক্ষায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।
