মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
২৪ বছর ধরে আধুনিক ও নৈতিক শিক্ষার অনন্য বিশ্ববিদ্যালয়
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রব, উপাচার্য, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
যুগান্তর : আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত বলুন। বর্তমানে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে কটি অনুষদ বিভাগ এবং ইনস্টিটিউ রয়েছে? বর্তমানে আপনাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সংখ্যার অনুপাত কত? শিক্ষার্থীদের জন্য অনান্য কী কী সুবিধা রয়েছে?
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রব : ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি জাতিকে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত সৎ, দক্ষ ও মেধাবী তরুণ প্রজন্ম উপহার দেওয়ার ব্রত নিয়ে গত প্রায় ২৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সংবলিত স্থায়ী ক্যাম্পাস। রাজধানীর মিরপুর থেকে ২৫ মিনিটের দূরত্বে আশুলিয়া মডেল টাউনে ক্যাম্পাসে রয়েছে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার সব আয়োজন। রয়েছে ছাত্রছাত্রীদের আসা-যাওয়ার জন্য ফ্রি-বাস সার্ভিস। ছাত্রীদের আবাসনের জন্য রয়েছে হোস্টেল।
এখানে তিনটি অনুষদের অধীনে স্নাতক পর্যায়ে আটটি ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে দুটি প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। সেগুলো হলো-বিবিএ, বিএ (অনার্স) ইন ইংলিশ, সিএসই (রেগুলার ও ইভিনিং), ব্যাচেলর অব ফার্মেসি, ইইই (রেগুলার ও ইভিনিং), এলএলবি (অনার্স), ব্যাচেলর অব জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ, বিএ (অনার্স) ইন ইসলামিক স্টাডিজ (রেগুলার ও সাপ্তাহিক) এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এমবিএ (রেগুলার ও এক্সিকিউটিভ) ও এমএ ইন ইংলিশ (রেগুলার ও ইভিনিং)। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যার অনুপাতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্থায়ী শিক্ষক রয়েছেন। ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের অনুপাত ২১:১।
যুগান্তর : বর্তমান পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বেই শিক্ষার্থীরা আর্থিক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য আপনাদের পক্ষ থেকে বিশেষ কোনো সহযোগিতা আছে কিনা?
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রব : মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই স্বল্পমূল্যে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার নীতিতে অটল রয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের আর্থিক চাপ কমাতে সহজ কিস্তিতে সেমিস্টার ফি পরিশোধের সুযোগ রয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মেধাবৃত্তি।
যুগান্তর : এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রগতি সম্পর্কে কিছু বলুন।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রব : এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুধু দেশ নয়, দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আমেরিকা, চীন, জাপান, কোরিয়ার মতো উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে মেধার স্বাক্ষর রাখছেন। এটাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য সফলতা।
যদিও পতিত সরকারের ১৬ বছর ফ্যাসিবাদী শাসনামলে এ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে পিছিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে নানাভাবে। সর্বশেষ ২০২২ সালে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিষ্ঠাতা বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যদের সরিয়ে দিয়ে আওয়ামী আজ্ঞাবহ কিছু তথাকথিত শিক্ষাবিদ ও দালাল শ্রেণির লোক বিশ্ববিদ্যালয়টির ওপর প্রভুত্ব কায়েম করে। এ অবস্থায় চব্বিশের জুলাই বিপ্লব এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কাছে ত্রাতা রূপে আবির্র্ভূত হয়। যে বিপ্লবে এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই দুই মেধাবী ছাত্র শহীদ শাকিল হোসেন পারভেজ ও শহীদ আহনাফ আবির আশরাফুল্লাহ শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধদের সঙ্গে নিজেদের মূল্যবান জীবন বিলিয়ে দেন।
