উচ্চশিক্ষার অগ্রযাত্রায় আইইউবিএটি : ড. আলিমউল্যার স্বপ্নের সফল রূপায়ণ
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও নিজেদের অবদান প্রমাণ করছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়নের ইতিহাসে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ছিল এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ, আর এর অগ্রদূত হিসাবে ১৯৯১ সালে শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর সাবেক পরিচালক ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান হাতে নেন অনন্য উদ্যোগ। প্রতিষ্ঠা করেন দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি)। তার বিশ্বাস ছিল-‘যোগ্যতাসম্পন্ন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য উচ্চশিক্ষার নিশ্চয়তা থাকতে হবে’, আর্থিকভাবে অসচ্ছল হলেও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো তার দর্শনের অন্যতম মূল অংশ। যার ধারাবাহিকতায় আইইউবিএটি আজও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রতিটি গ্রাম থেকে অন্তত একজন দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
রাজধানীর উত্তরায় ২০ বিঘা সবুজ জমির ওপর বিস্তৃত ক্যাম্পাস প্রতিদিন মুখর থাকে হাজারো শিক্ষার্থীর পদচারণায়, যেখানে রয়েছে খেলার মাঠ, শহীদ মিনার, উন্মুক্ত স্টাডি এরিয়া, ফ্রি ওয়াই-ফাই, ইনডোর ও আউটডোর গেমস এবং গাছপালায় ঘেরা শান্ত পরিবেশ, যা শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশের পাশাপাশি জ্ঞানচর্চার এক অনন্য পরিবেশ তৈরি করেছে। আইইউবিএটিতে মেধাবী অথচ আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিস্তৃত বৃত্তি কর্মসূচি, যেখানে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত মেধাবৃত্তি, মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহ দিতে বিশেষভাবে ১৫ শতাংশ ছাড়, আর্থিকভাবে অসচ্ছলদের জন্য বিভিন্ন সহায়তা।
শুধু ডিগ্রি প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় আইইউবিএটির লক্ষ্য, বরং শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করার দিকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়; এজন্য রয়েছে অ্যালামনাই এবং প্লেসমেন্ট অফিস যারা শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং, চাকরির প্রস্তুতি ও সরাসরি নিয়োগে সহযোগিতা করে; প্রতিবছর আয়োজিত ন্যাশনাল ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যালে শতাধিক দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে, যেখানে শিক্ষার্থীরা সরাসরি নিয়োগকর্তাদের কাছে নিজেদের যোগ্যতা তুলে ধরার সুযোগ পায়; পাশাপাশি নিয়মিত আয়োজন করা হয় প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও সেমিনার, যা শিক্ষার্থীদের চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতামূলক করে তুলছে।
ইতোমধ্যে ব্যাংক, টেলিকম, আইটি, এফএমসিজি, বহুজাতিক কোম্পানি এমনকি বিশ্বব্যাংকের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থায়ও আইইউবিএটির গ্র্যাজুয়েটদের কর্মদক্ষতার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, যারা শুধু দেশে নয় বরং যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশেও সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছে।
দেশের উচ্চশিক্ষাকে বৈশ্বিক পরিসরে তুলে ধরার ক্ষেত্রে আইইউবিএটির অবদানও অনন্য; বর্তমানে এশিয়া ও আফ্রিকার অন্তত ১২টি দেশ থেকে শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করছেন।
