জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের জন্য বিইউএফটিতে বিশেষ স্কলারশিপ দেওয়া হয়
অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব নবী খান, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি)
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
যুগান্তর : আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত বলুন। আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়টি অনুষদ, বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট রয়েছে? বর্তমানে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক সংখ্যার অনুপাত কত? শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যান্য কী কী সুবিধা রয়েছে?
অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব নবী খান : বিইউএফটিতে সাতটি অনুষদ, ১৩টি বিভাগের অধীনে ২২টি একাডেমিক প্রোগ্রাম, একটি ইনস্টিটিউট, দুটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও একটি গবেষণাকেন্দ্র পরিচালিত হয়। শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত ২০:১, যা নিশ্চিত করে প্রত্যেক শিক্ষার্থী পর্যাপ্ত নির্দেশনা পান। শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক সুবিধার মধ্যে রয়েছে উন্নত ক্লাসরুম, ৫৩টি ল্যাবরেটরি, ডিজাইন স্টুডিও, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, সুইমিংপুল, ইনডোর-আউটডোর খেলার সুবিধা, ওয়াই-ফাই সুবিধা এবং ২৩টি স্টুডেন্ট ক্লাব।
যুগান্তর : বর্তমান পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বেই শিক্ষার্থীরা আর্থিক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য আপনাদের পক্ষ থেকে বিশেষ কোনো সহযোগিতা আছে কি না?
অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব নবী খান : কোভিড-১৯ মহামারির সময় বিইউএফটি দ্রুত অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা চালু করে এবং ফি পরিশোধে নমনীয়তা প্রদান করে। জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপ, আর্থিক সহায়তা এবং কিস্তিতে ফি পরিশোধের সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়।
যুগান্তর : এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রগতি সম্পর্কে কিছু বলুন।
অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব নবী খান : ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বিইউএফটি ২০১২ সালে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে। এটি তৈরি পোশাক, ফ্যাশন এবং প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ পেশাজীবী তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিল্পের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আধুনিক কারিকুলাম, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা, শিল্প সংযোগ, আন্তর্জাতিক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এবং গবেষণার মাধ্যমে বিইউএফটি একটি শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
যুগান্তর : বিশ্ববিদ্যালয়টির অবকাঠামোগত অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত বলুন।
অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব নবী খান : বিইউএফটি’র স্থায়ী ক্যাম্পাস ঢাকার উত্তরার তুরাগ এলাকায় ৫ একর জমির ওপর অবস্থিত। এটিতে ১০তলাবিশিষ্ট একাডেমিক ভবন রয়েছে, যার মোট ফ্লোর স্পেস ৫ লাখ বর্গফুট, আধুনিক শিক্ষার জন্য উপযুক্ত শিক্ষা গবেষণার পরিবেশ প্রদান করে।
যুগান্তর : দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কী সুবিধা রয়েছে?
অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব নবী খান : বিইউএফটি মেধাবী ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য ১৬ ধরনের স্কলারশিপ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শতভাগ ফি মওকুফ, মেধাভিত্তিক স্কলারশিপ, নির্দিষ্ট শিক্ষা কোর্সের জন্য বিশেষ সুবিধা এবং আর্থিক প্রয়োজনভিত্তিক সহায়তা। এই সুবিধাগুলো শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করে।
যুগান্তর : বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে আপনারা কী কী ভূমিকা পালন করেন?
অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব নবী খান : বিইউএফটি শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত করতে কারিকুলামে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ, শিল্পভিত্তিক প্রকল্প, ইন্টার্নশিপ, চাকরি মেলা, ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট এবং ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং অন্তর্ভুক্ত করেছে। ফলে শিক্ষার্থীরা বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন এবং অনেকে সফল উদ্যোক্তা হিসাবে নিজস্ব ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেছেন।
