জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেন ১৬ বছর বয়সিরা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নাগরিকদের বয়স ১৬ বছর পূর্ণ হলেই জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নিবন্ধনের আবেদন নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিবন্ধন হলে আবেদনকারীরা এনআইডি পাবেন। আর ১৮ বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তারা ভোটার হিসাবে বিবেচিত হবেন। মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এছাড়া আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীরা যাতে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। ইসির সিনিয়র সচিব বলেন, ‘যাদের বয়স ১৬ বছর হয়েছে, তারা নিবন্ধন করতে পারবেন। তাতে আমরা অগ্রিম কিছু তথ্য রাখতে পারব। এনআইডি পাবেন তারা।’ এই বয়সীদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো কাজে তাদের এনআইডি লাগে, যেসব শিক্ষার্থী বিদেশে পড়তে যান, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়াসহ ছোটখাটো নানা কাজ রয়েছে। এতে এনআইডিটা প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে।’
এনআইডি না থাকায় শিক্ষার্থীদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। আখতার আহমেদ বলেন, ‘এজন্য ষোল বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীরা এনআইডি পাবেন। আর এজন্য তারা ইসিতে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কোনো নির্দিষ্ট তারিখ ধরে দেওয়া হয়নি। ভোটের বয়স ১৮ বছর হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকাভুক্ত হবেন।’
তিনি জানান, যাদের এনআইডি হারিয়েছে, তাদের থানায় জিডি করা লাগবে না। জিডি ছাড়াই দ্বিতীয় কার্ড পাওয়ার সুবিধা রয়েছে।
‘নির্বাচন কমিশনের সামনে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে মানববন্ধন হয়েছে’-এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইসি সচিব বলেন, ‘আইনগতভাবে আদালতেও যাওয়ার সুবিধা সীমিত।’ আর প্রবাসীদের ভোটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এবার প্রবাসীরা সংসদ নির্বাচনে ভোট দেবেন, এটুকু আমরা বলতে পারি। সেজন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা আছে। তবে কতদিন আগে তারা রেজিস্ট্রেশন করবেন, কতদিন পর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন তা জানিয়ে দেওয়া হবে।’
নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, ‘২২টি রাজনৈতিক দলের মাঠপর্যায় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা যে কাগজগুলো পাঠিয়েছিলাম, সেগুলো এসেছে। আমরা এখানে একটা ব্রডশিটে বিষয়টাকে সন্নিবেশ করে বুধবারের মধ্যে কমিশনের কাছে উপস্থাপন করব। কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলীয় প্রতীক সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধনের প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আমরা আশা করছি- এটা তাড়াতাড়ি আসবে। কারণ আমাদের রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের সঙ্গে প্রতীকের একটা সম্পর্ক আছে।’
