কুয়াকাটা
হোটেলে জায়গা নেই, সৈকতে রাতযাপন
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
টানা চার দিনের ছুটিতে দেশ। তাই সাগরকন্যা কুয়াকাটায় পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। দুই শতাধিক হোটেলে খালি নেই কোনো কক্ষ। রুমভাড়া না পেয়ে অনেক পর্যটক আশ্রয় নিচ্ছেন আশপাশের বাড়িগুলোতে। যারা সেই সুযোগও পাচ্ছেন না তাদেরকে সৈকতের বেঞ্চিতে বসেই রাতযাপন করতে দেখা গেছে। তবুও যেন খেদ নেই পর্যটকদের। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগই তাদের আসল উদ্দেশ্য। তবে পর্যটক বেশি হওয়ায় হোটেলগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পর্যটকদের। এদিকে থানা ও টুরিস্ট পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দূর-দুরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা।
বরগুনা থেকে সপরিবারে আসা মিজানুর রহমান বলেন, চাকরির কারণে সবসময় পরিবারকে সময় দিতে পারি না। এবার পূজার ছুটিতে চারদিন বন্ধ পেয়েছি, তাই পরিবার নিয়ে কুয়াকাটায় ঘুরতে এসেছি। তবে হোটেলে রুম পেতে অনেকটা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। বাড়তি ভাড়ায় শেষমেশ রুম পাওয়া গেছে। ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুন বেশি পর্যটক হওয়ায় এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বলেছেন বরিশাল নগরীর ফকির বাড়ি রোডের বাসিন্দা গোলাম রাব্বি। তিনি বলেন, ছুটিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে এসেছি। কিছুটা ভিড় হলেও আনন্দ উপভোগ করছে পরিবারের সদস্যরা।
হোটেল আল হেরার মালিক নুর-আলম শেখ জানান, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ছুটির বন্ধে পর্যটকের উপস্থিতি বেশি থাকায় রুম খালি পাওয়া যাচ্ছে না। যারা আগে থেকে বুকিং করেছেন তারা পছন্দসই রুম পেয়েছেন। ভালোমানের হোটেলগুলোতে রুম আগেভাগেই বুকিং হয়ে গেছে। আর যারা বুকিং ছাড়া এসেছেন তাদের হোটেলকক্ষ পেতে বেগ পেতে হচ্ছে। সমুদ্রের কাছাকাছি থাকা হোটেলগুলোর চাহিদা বেশি হওয়ায় একটু দূরেরগুলোতে মিলছে কক্ষ।
কুয়াকাটা পর্যটন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খাবার হোটেলগুলো নিয়ে যেন অভিযোগের শেষ নেই। বেশি দামে নিম্নমানের খাবার ও পর্যটকদের সঙ্গে অসদাচরণে ক্ষুব্ধ অনেকেই। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এমনটাই প্রত্যাশা দূর-দুরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের।
