নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস, ঘুস বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা। শনিবার বেলা ১টার দিকে শহরের এনএস রোডে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধরা বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং বিতর্কিত নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান।

জানা যায়, শুক্রবার সাতটি পদের ১১৫টি শূন্যপদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৯ জন প্রার্থী। পরীক্ষার আগের রাতে কুষ্টিয়া শহরের একজন চিকিৎসকের বাসায় ২৫-৩০ জন পরীক্ষার্থী প্রবেশ এবং পরদিন সকালে সেখান থেকে পরীক্ষার প্রবেশপত্রসহ ফাইল হাতে বের হওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, যে বাসা থেকে পরীক্ষার্থীরা বের হচ্ছিলেন, সেটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. হোসেন ইমামের বাড়ি। সেখানে আগেই প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দুর্নীতির মধ্যেই ফল প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে। আজই পরীক্ষা বাতিল এবং নতুন তারিখ ঘোষণা করতে হবে, না হলে কাল কুষ্টিয়া অচল করে দেওয়া হবে।

অভিযোগের বিষয়ে আরএমও ডা. হোসেন বলেন, ভোরের ঘটনাটি আমি জানি না। আমার পৈতৃক বাড়িতে একাধিক মেস রয়েছে। পরীক্ষার্থীরা সম্ভবত সেখানে ছিল। তারা কেন পালিয়েছে, তা আমার অজানা। ওই শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের মেসে ওই রাতে বা ভোরে কোনো শিক্ষার্থী প্রবেশ করেননি। তবে বাসার ভেতর থেকে সকালে বেশকিছু শিক্ষার্থীকে ফাইল হাতে বের হতে দেখেছেন তারা।

সিভিল সার্জন ডা. কামাল হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি লিখিতভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। পরবর্তী ব্যবস্থা তারা নেবেন। এদিকে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর একটি ব্যাখ্যাপত্রও পাঠিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।