Logo
Logo
×

শেষ পাতা

সার কারখানায় গ্যাসের দাম বেড়ে দ্বিগুণ

উৎপাদন খরচ বাড়বে প্রতি টনে ১০ হাজার টাকা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সার কারখানায় গ্যাসের দাম বেড়ে দ্বিগুণ

সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে প্রতি ইউনিট ১৬ টাকা থেকে ২৯ টাকা ২৫ পয়সা করেছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।

সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে প্রতি ইউনিট ১৬ টাকা থেকে ২৯ টাকা ২৫ পয়সা করেছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। নতুন এ দাম ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। রোববার সংবাদ সম্মেলনে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেন বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।

গ্যাসের দাম বাড়ায় প্রতি টন সার উৎপাদনে ১০ হাজার টাকা বাড়বে। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, প্রতি টন সার উৎপাদনে এখন খরচ হয় ৩৮ হাজার টাকা। গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে এ ব্যয় হবে ৪৮ হাজার ৩৭২ টাকা। এখন সরকার প্রতি টনে ভর্তুকি দেয় ১৩ হাজার টাকা। তিনি বলেন, তবে সরকার সারের দাম বাড়াবে না। কিন্তু ভর্তুকি বাড়াবে। তাই সার খাতে সরকারের ভর্তুকি আগের চেয়ে অনেক বাড়বে। এ ভর্তুকির হিসাব পরে জানাবেন বলে জানান। এর আগে সারে ব্যবহার হওয়া গ্যাসের দাম বাড়াতে পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, দাম বাড়ানো হলে বাড়তি ৭ কার্গো এলএনজি আমদানি করে সারে সরবরাহ করা হবে। ৬ মাস (অক্টোবর-মার্চ) পুরোমাত্রায় (২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হবে। অবশিষ্ট ৬ মাসের মধ্যে এপ্রিল-মে ১৬৫ মিলিয়ন হারে, জুনে ১৭৫ মিলিয়ন এবং জুলাই-সেপ্টেম্বর ১৩০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস সরবরাহ দেবে।

এ ব্যাপারে গণশুনাতিতে বিসিআইসির পরিচালক (পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন) দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, ২০২২ সালে একইভাবে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর কথা বলে ৪.৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা করা হয়, কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ পাওয়া যায়নি, বরং অনেকখানি কমেছে সরবরাহ। তবে যদি পুরোমাত্রায় গ্যাস দেওয়া হয় তাহলে ২০ লাখ টনের উপরে সার উৎপাদন করা সম্ভব। আর ২০ লাখ টন সার উৎপাদন করা গেলে গ্যাসের দাম ৩০ টাকা হলেও আমদানির তুলনায় কম দাম পড়বে। বছরে ৩০ থেকে ৩২ লাখ টন ইউরিয়া সার জোগান দিতে হয়। গ্যাসের অভাবে আমদানি করতে হয় ১৬ থেকে ২১ লাখ টন। ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার পিএলসির দৈনিক চাহিদা ৭২ মিলিয়ন ঘনফুট, শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের চাহিদা ৪১ মিলিয়ন ঘনফুট, চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের চাহিদা ৪৩ মিলিয়ন ঘনফুট, যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের চাহিদা ৪১ মিলিয়ন ঘনফুট, আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের চাহিদা ৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এর মধ্যে ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত আশুগঞ্জ সার কারখানা অনেক পুরোনো হওয়ায় গ্যাস খরচ অনেক বেশি, যে কারণে কারখানাটি বন্ধ রাখা হয়েছে।


Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম