এবার ভোলায় সিঁধকেটে গৃহবধূকে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ
ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রতীকী ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ভোলার তজুমদ্দিনে দুটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার পর এবার জেলা সদরের একটি গ্রামে সিঁধকেটে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় গৃহবধূ চিৎকার করলে তার সন্তানদের গলায় দা ধরে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় বলে দাবি ভুক্তভোগীর।
মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনার পর বুধবার ভুক্তভোগী ওই নারীকে ভোলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এ ছাড়া ভুক্তভোগী বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। ভোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদাত হাসনাইন আহমেদ পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনা তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্তদের খুঁজতে পুলিশের বিশেষ টিম বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাজ শুরু করেছে। বুধবার রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী অভিযোগ করেন, তিনি মঙ্গলবার রাতে দুই সন্তান নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। মধ্যরাতে এলাকার যুবক কামাল হোসেনসহ দুইজন সিঁধকেটে ঘরে প্রবেশ করেন। তারা চিৎকার না করার জন্য মারধর ও গলায় ধারালো দা ধরে রাখেন। সন্তানদের আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণ করার পাশাপাশি আরেক যুবক ভিডিও ধারণ করেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অভিযুক্তরা বের হয়ে যান। ওই নারীর স্বামী এলাকার বাইরে থাকায় পরদিন বিষয়টি তিনি বাবা-মাকে জানান। স্বজনরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করান। ভোলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তায়েবুর রহমান জানান, ওই নারীকে মারধর ও নির্যাতন করায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত।
এদিকে ভোলার বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের প্রবণতা বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন জেলা সুজনের সভাপতি মোবাশ্বের উল্লাহ চৌধুরী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে আরও সচেষ্ট হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের মাঠের নেতাকর্মীদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এতে তাদের দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
