তিন বছর আগে বরখাস্ত
পুরো বেতন পাচ্ছেন কলেজ প্রভাষক!
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বগুড়ার ধুনটে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত জালশুকা হাবিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো. মুরাদুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তিনি নিয়মিত পুরো বেতন পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিন বছর কলেজে না এসেও এমপিওভুক্ত ওই শিক্ষক নিয়মিত হিসাবে সরকারি অর্থ গ্রহণ করছেন। তবে কলেজের অধ্যক্ষ লায়লা খাতুন বেতন পাওয়ার বিষয়টি যান্ত্রিক ত্রুটি বলে এড়িয়ে যান।
অভিযোগে জানা যায়, বগুড়ার ধুনট উপজেলার জালশুকা হাবিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের প্রভাষক মো. মুরাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের মার্চে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ব্যাপারে মামলার পর তিনি গ্রেফতার হন। সে সময় তাকে কলেজ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি গত ২০২৪ সালের মার্চ প্রভাষক মুরাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১ অনুযায়ী বরখাস্তের পর প্রভাষক মুরাদুজ্জামান অর্ধেক বেতন পাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি নিয়মিত পুরো বেতন উত্তোলন করছেন। এছাড়া কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তাকে (প্রভাষক) প্রতিষ্ঠানে প্রতি মাসে নিয়মিত দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে আরও জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা ইএফটিতে প্রভাষক মুরাদুজ্জামানকে নিয়মিত হিসাবে তালিকাভুক্ত করে তাকে পূর্ণ বেতন দেওয়া হচ্ছে। সোনালী ব্যাংক ধুনট শাখায় তার হিসাবে প্রতি মাসে পুরো বেতন ৪০ হাজার ৫০০ টাকা ঢুকছে। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত প্রভাষক মুরাদুজ্জামান ফোন না ধরায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জালশুকা হাবিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ লায়লা খাতুন জানান, ওই শিক্ষকের পুরো বেতন পাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি যান্ত্রিক ত্রুটি। এছাড়া তিনি ওই শিক্ষককে নিয়মিত দেখানো ও অন্যান্য অভিযোগ দৃঢ়তার সঙ্গে অস্বীকার করেন।
