সুনামগঞ্জে বালি-পাথর লুটকাণ্ডে সহযোগিতা
ডিসি-ইউএনওসহ ১০ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
যুগান্তর প্রতিবেদন, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ)
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সুনামগঞ্জের ডিসি ড. মো. ইলিয়াস মিয়া, তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন ও ইউএনও মেহেদী হাসান মানিক। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সুনামগঞ্জের ডিসি ড. মো. ইলিয়াস মিয়া, তাহিরপুরের ইউএনও মেহেদী হাসান মানিক, বিশ্বম্ভরপুরের ইউএনও মেরিনা দেবনাথ ও এসিল্যান্ড (ভূমি) সাহরুখ আলম শান্তনুসহ ১০ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। খনিজ বালি, পাথর চুরি ও লুটকাণ্ডে গোপন সহযোগিতা এবং উচ্চ আদালতের আদেশ অবমাননার অভিযোগে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি শেষে অভিযুক্তদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে আদেশ দেওয়া হয়।
মামলার বাদী উচ্চ আদালতে অভিযোগ করেন, হাইকোর্টের পূর্বের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইজারার নীতিমালার শর্তাদি ভঙ্গ করে জাদুকাটা বালি মহাল-১, ২ ও মহালবহির্র্ভূত সীমানায় জাদুকাটা নদীর পাড় কাটা, সেইভ মেশিনে খনিজ বালি-পাথর চুরি, লুটকাণ্ডে মোটা অঙ্কের ঘুস নিয়ে গোপনে সহযোগিতা করছেন সুনামগঞ্জের ডিসি, তাহিরপুর এবং বিশ্বম্ভপুরের ইউএনও, এসিল্যান্ড, এএসপি (তাহিরপুর সার্কেল), ওসি, এসিল্যান্ডসহ তাদের অধীনে দায়িত্বরতরা।
এসব লুটপাট-চুরির ঘটনা আড়াল করতে সুনামগঞ্জ জেলা, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কালেভদ্রে লোকদেখানো ‘অভিযান’ পরিচালনা করা হয়। এমন নানামুখী নাটকীয়তার অভিযোগও আদালতের নজরে আনা হয়েছে।
ইউএনও মেহেদী হাসান জানান, আদালতের আদেশের কপি এখনো পাইনি।

