|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুদিনব্যাপী হাসন উৎসব ২০২৫। সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা লোকসংস্কৃতির কিংবদন্তি মরমি সাধক দেওয়ান হাসন রাজার জীবন, দর্শন ও লোকায়ত সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয় উৎসবে। হাসন রাজা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ এ উৎসবের আয়োজন করে। সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
সমাপনী দিনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন হাসন রাজা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি ডা. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম অচিনপুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আউয়াল, বাংলাদেশ বেতার সিলেট আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রধান আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তারেক এবং সিলেট জেলা বিএনপির সহসাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা জাসাসের সদস্য সচিব রায়হান হোসেন খান।
উৎসবে লেখক দেওয়ান সমসের রাজা চৌধুরী এবং হাসন গবেষক সামারীন দেওয়ানকে ‘হাসন রত্ন’ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া হাসন রাজা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। সদস্যদের মধ্যে ছিলেন মো. সোলেমান হোসেন চুন্নু, বিরহী কালা মিয়া, আবু সালেহ আহমদ, আসাদুজ্জামান নূর, সৈয়দ নিয়াজ আহমদ, সাখাওয়াত হোসেন পীর, সেলিম মিয়া, সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল হাসান ও নাহিদা আক্তার। পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে ছিলেন ডা. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম অচিনপুরী, মো. মোজাহিদ আলী, শামীম রেজা চৌধুরী ও সিরাজুল ইসলাম।
উৎসবে হাসন রাজা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সোলেমান হোসেন চুন্নু, সিনিয়র সহসভাপতি বিরহী কালা মিয়া, সহসভাপতি আসাদুজ্জামান নূর, সহসভাপতি এম এ হান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় লেখক-গবেষকরা বলেন, হাসন রাজা মানব জীবনকে গভীর উপলব্ধির আলোকে অনুধাবনের চেষ্টা করেছেন। তার দর্শন মানবতা, আত্মশুদ্ধি ও মরমি সাধনা। তার গান আধ্যাত্মিক চেতনার জাগরণ ঘটায় এবং আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে শান্তিময় ও সম্প্রীতিপূর্ণ সমাজ গঠনের প্রেরণা দেয়। তাকে নিয়ে সমাজে নানা বিভ্রান্তি রয়েছে, যা দূর করতে তার জীবন ও দর্শন নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
