রাজশাহীর আদালতে স্বীকারোক্তি
এক মাসের পরিকল্পনায় ১০ লাখ টাকা ছিনতাই
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজশাহী নগরীর ঘোড়ামারা মোড়ে রিকশায় যাচ্ছিলেন এক দোকান ব্যবস্থাপক। পথেই তার চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ছিনতাইকারীরা লুটে নেয় ১০ লাখ টাকা। এই ছিনতাই ছিল পরিকল্পিত ও সাজানো। পুরো ঘটনায় রিকশাচালককে ব্যবহার করে আগে থেকেই তৈরি করা হয়েছিল ফাঁদ। ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মাসুম নামের ওই রিকশাচালক। পুলিশ জানায়, ছিনতাইকারী চক্রটি মাসুমকে প্রশিক্ষণ দিয়ে এক মাস আগে থেকেই দিলীপ কুমার প্রামাণিক নামের ওই ব্যবস্থাপকের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিল। রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতে বুধবার ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে মাসুম জানান, চক্রটির পরিকল্পনায় তিনি যুক্ত হন অনেক আগে। রিকশা কোন পথে চালাতে হবে, কোথায় থামতে হবে, তা পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। এমনকি ঘটনার আগে একাধিকবার মহড়াও হয়।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ঘটনার আগের রোববারও মাসুম রিকশা নিয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছিলেন, কিন্তু দিলীপ তার রিকশায় ওঠেননি। এতে সেইদিন ছিনতাই হয়নি। এক সপ্তাহ পর পরিকল্পনামাফিক ছিনতাই সফল হয়।
পুলিশ জানায়, ২০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রিলায়েন্স অটো নামের একটি দোকানের ব্যবস্থাপক দিলীপ কুমার প্রামাণিক শিরোইল বাস টার্মিনালের দিকে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিল আগের দুই দিনের বিক্রির সাড়ে ১২ লাখ টাকা। মাসুমের রিকশায় ওঠার পর ঘোড়ামারা এলাকায় গিয়ে রিকশাটি হঠাৎ একটি সরু গলির দিকে মোড় নেয়।
সেখানেই মোটরসাইকেলে করে আসা দুই ব্যক্তি রিকশার গতিরোধ করেন। একজন মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দিলীপকে ‘অন্ধ’ করে দেন।
তার পিঠে ঝোলানো ব্যাগটি ছিনিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দিলে দিলীপের ডান হাতের কনুই ও বাঁ হাতের আঙুল কেটে যায়। ধস্তাধস্তির মধ্যে ব্যাগের কিছু অংশের টাকা প্রায় আড়াই লাখ পড়ে যায় রাস্তায়। বাকি টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলে চেপে দ্রুত সরে পড়ে ছিনতাইকারীরা। ওসি মোস্তাক আহম্মেদ আরও বলেন, চক্রটি জানত, শুক্র ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় দোকানের বিক্রির টাকা দিলীপের বাসায় থাকে ও রোববার সকালে তিনি সেগুলো নিয়ে বের হন। সেই তথ্য ধরে তারা ফাঁদ তৈরি করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
