|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আশ্বিন এলেই সাদা সাদা তুলোর মতো ফুলে ছেয়ে যায় চারপাশ। ঘ্রাণহীন এ ফুলের আছে ভিন্ন এক রূপ। প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে তাই শরৎ মানেই কাশফুল আর কাশফুল দিয়েই শরতের আগমন এর বরণ। চোখ জুড়ানো আর মন ভোলানো এ গাছ সচরাচর ফুল গাছের মতো হয় না। লম্বাটে সবুজ গড়নের সাদা পেঁজা তুলোর মতো ডালপালায় ভর্তি কাশফুল। হালকা বাতাসের ছোঁয়াই যেখানে যথেষ্ট কাশফুলকে দূর থেকে দূরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। সবুজ প্রকৃতি আর নীল আকাশের মাঝে সাদা কাশফুল নৈসর্গিক সৌন্দর্যের ভান্ডার। তাই তো ঋতু রানি শরৎ এলেই কাশফুলের দেখা পেতে ছুটে আসেন মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে। চোখ ভরে কেবল উপভোগই করেন না, ফ্রেমে বন্দি করে নিয়ে যান সঙ্গে স্মৃতি হিসাবে।
কাশফুলের মাঝে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে হালকা নীল কিংবা লাল রঙের শাড়িতে সাজিয়ে তোলেন তরুণীরা। বাদ পড়ে না উজ্জ্বল যে কোনো রং। খোলা চুল কিংবা খোঁপা আর হাতে কাশফুল, এমন ছবিতেই ফুটে ওঠে তরুণীরা। ঘুরতে যাওয়ার জন্য কাশবন তাই অন্য এক ভালোলাগার জায়গা। তবে মধ্য দুপুরে তপ্ত রোদের সময় এ জায়গা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। পড়ন্ত বিকালে নরম রোদমাখা ছবি বেশ ভালো আসে অন্য সময় থেকে। এ ছাড়া যুগলবন্দি ছবি তুলতেও অনেকে বেছে নেন কাশফুল। কেউ কেউ আসেন একটু একান্তে সময় কাটানোর জন্য। পরিবারের সঙ্গেও অনেকে আসেন ছোট সোনামণিদের নিয়ে। এর আশপাশ ঘিরে তাই জমে ওঠে ছোট ছোট চায়ের পশরা। এ কাশফুল মূলত ঋতুকেন্দ্রিক ফুল। শরতের এ সময়টাতেই কেবল এদের দেখা পাওয়া যায়। বেশি চোখে পড়ে চরাঞ্চল, জলাধার কিংবা নদীর ধারে লম্বা সরু পথে। অলস দুপুরে তাই নদীর পাড়ে সময় কাটাতে কাশফুলের সঙ্গ মন্দ হয় না। বিশাল এলাকা জুড়ে কাশফুলের সাদা রং মেঘের কথা মনে করিয়ে দেয়। এ যেন মাটিয়ে দাঁড়িয়েই মেঘ ছুঁয়ে দেওয়ার মতো। এজন্যই হয়তো প্রিয় মানুষকে ফ্রেমবন্দি করা হয় কাশফুলের স্নিগ্ধতার সঙ্গে।
