আদানির ব্যাপারে হার্ড লাইনে যেতে পারে সরকার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ভারতের আদানি গ্রুপের ব্যাপারে হার্ড লাইনে যেতে পারে সরকার। বাংলাদেশে ১৬০০ মোগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে-এমন কড়া বার্তা দিয়ে আদানিকে চিঠিও দেওয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান যুগান্তরকে বলেছেন, আদানির চিঠি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ১১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করলে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে। তবে সেই আইনগত ব্যবস্থা কী-তা তিনি প্রকাশ করতে চাননি। বলেন, চিঠির এখন খসড়া করা হচ্ছে। এটি চূড়ান্ত করে সোমবার (আজ) আদানিকে পাঠানো হবে। তারপর এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলা যাবে। এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি মন্তব্য করতে চাই না।
এর আগে ৩১ অক্টোবর আদানি পাওয়ারের ভাইস প্রেসিডেন্ট অনিমেষ অনুরাধ স্বাক্ষরিত এক চিঠি দেওয়া হয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি)। সেই চিঠিতে পিডিবির সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয়-বিক্রয় চুক্তির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলা হয়- পিডিবির কাছে এখন পর্যন্ত ৪৯৬ মিলিয়ন ডলার বা ছয় হাজার কোটি টাকা বকেয়া আছে। সেই টাকা ১০ নভেম্বরের মধ্যে না দিলে ১১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে বন্ধ থাকলেও সরকারকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে। জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে পিডিবির শীর্ষ কর্মকর্তারা একের পর এক বৈঠক করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ রোববার বিদ্যুৎ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। সেখানে আদানির ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে সেই বৈঠকের ব্যাপারে পিডিবির চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে পতন হয় হাসিনা সরকারের। এরপর ৮ আগস্ট দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বলে আসছে বিদ্যুৎ খাতের বিভিন্ন চুক্তি এবং বিল পরিশোধ তারা পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে। এর মধ্যে কয়লার বাড়তি দাম নিয়ে আদানির সাথে পিডিবির বিরোধ বাধে এবং এ পর্যন্ত ২৩৪ মিলিয়ন ডলার বিরোধ পূর্ণ বিল হিসেবে গণ্য হয়ে আছে। বিষয়টি নিয়ে সরকার অনড় যে, বিরোধপূর্ণ বিল সরকারের কাছ থেকে আদানি কারসাজির মাধ্যমে বেশি নিয়ে যাচ্ছে। পিডিবির হিসাবে আদানি কেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দাম ধরা হচ্ছে টনপ্রতি ৬৫ ডলার। তবে আদানি বলছে ৮০ ডলার ধরে। নিয়মিতভাবেই দুই হিসাবে ১৫ থেকে ২০ ডলারের ফারাক থাকছে। এ বিরোধ নিষ্পত্তি না করেই পুরো বিল চাইছে আদানি।
