স্বজন আয়োজন
হুমায়ূন আহমেদের জন্মবার্ষিকীতে টঙ্গীতে আলোচনা সভা
অলিদুর রহমান অলি
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলা সাহিত্যের আকাশে যে নক্ষত্র বহু বছর আগে অস্ত গেছে, তার আলো এখনো বুক ভরিয়ে রাখে লক্ষ পাঠকের হৃদয়। সেই আলোর উৎস হুমায়ূন আহমেদ। তার জন্মদিনে এমনই আবেগঘন স্মরণসভায় একত্র হলেন টঙ্গীর সাহিত্যপ্রেমী মানুষ। ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যার কোমল আলোয় টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত হলো যুগান্তর স্বজন সমাবেশ এবং শুচি পাঠচক্র ও পাঠাগারের আয়োজনে বর্ণিল ও হৃদয়স্পর্শী একটি সাহিত্যানুষ্ঠান। আলো, শব্দ আর বইয়ের গন্ধে মোড়া সেই সন্ধ্যায় যেন হুমায়ূন আহমেদের চরিত্রগুলো নীরবে এসে বসেছিল। হিমু যেন হলদে পাঞ্জাবি পরে হাসছিল, মিসির আলি চুপচাপ মানুষের মন পড়ছিল, আর নীল শাড়িতে রূপা যেন হাওয়ায় ভাসছিল।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন যুগান্তর স্বজন সমাবেশ টঙ্গী শাখার সভাপতি অলিদুর রহমান অলি। সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন শুচি পাঠচক্র ও পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা শাহজাহান শোভন। আলোচনা পর্বে অংশ নেন সংগঠক শাহীন কাওসার, রাফিজুল ইসলাম, কবি ফুয়াদ সরকার, এম এ মালেক, সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজানসহ এলাকার গুণিজন ও তরুণ সাহিত্যপিপাসুরা। শাহীন কাওসার তার বক্তব্যে বলেন, ‘১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে জন্ম নেওয়া এ অদ্ভুত প্রতিভাধর মানুষটি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের পাঠধারায় এক নতুন ঢেউ তুলেছিলেন। তিনি ছিলেন গল্পের জাদুকর। যিনি কঠিন বাস্তবতাকেও সহজ ভাষায় এমনভাবে সাজাতেন, যেন পাঠক নিজের জীবনের সঙ্গে মিল খুঁজে পায়।’ সভাপতি অলিদুর রহমান অলি স্মৃতি আর অনুভূতির মিশেলে বলেন, “লেখকের ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পর এক ঝড়ের মতো তিনি বাংলা সাহিত্যে প্রবেশ করেন। এরপর একের পর এক ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘হিমু’, ‘মিসির আলি’-সব উপন্যাস বা চরিত্রই যেন মানুষের জীবনেরই প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠে। হুমায়ূন আহমেদ পাঠকের হৃদয়ে শুধু লেখক হিসাবে নয়, অনুভূতির সঙ্গী হিসাবে জায়গা করে নিয়েছিলেন।”
শাহজাহান শোভনের বক্তব্যে উঠে আসে তার চলচ্চিত্রজগতের উজ্জ্বলতা, ‘‘আগুনের পরশমণি’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’সহ তার নির্মিত প্রতিটি চলচ্চিত্রই যেন সময়ের দলিল। মুক্তিযুদ্ধ, মানুষের সংগ্রাম, ভালোবাসা, স্বপ্ন আর বেদনার চিত্র তিনি চলচ্চিত্রে এমনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, যা দর্শকের মনকে দীর্ঘদিন মোহিত করে রাখে।”
হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন অনুভূতির প্রকৃত রসায়নবিদ। তিনি মানুষের হাসি-কান্না, জীবনের ছোট ছোট মুহূর্ত ও ভালোবাসার গভীরতাকে এমন কোমল শিল্পে রূপ দিতেন যে পাঠক তার গল্প পড়তে পড়তেই নিজের জীবনকে নতুন করে আবিষ্কার করত। হ সভাপতি, টঙ্গী (গাজীপুর) শাখা
