বিজয়ের স্মৃতিতে জড়ানো নারায়ণগঞ্জ
জাহাঙ্গীর ডালিম
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রাচ্যের ডান্ডিখ্যাত ইতিহাস ঐতিহ্য অর্জনে কোনো দিক থেকে কমতি নেই নারায়ণগঞ্জের। এ কারণে প্রাচীন কাল থেকে বহির্বিশ্বের কাছে নারায়ণগঞ্জের ব্যাপক পরিচিত রয়েছে। দেশের সংকট মুহূর্তের সময় এ নগরীর বাসিন্দারা কখনো পিছিয়ে থাকেননি। ৫২’এর ভাষা আন্দোলন, ৭১-এর দেশ মাতৃকার সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জবাসী ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। ৭১-এর স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতিকে ধরে রাখতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে একাধিক স্মৃতিস্তম্ভ।
বক্তাবলী স্তম্ভ : মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় ২৯ নভেম্বর পাক হানাদার বাহিনী বক্তাবলী ইউনিয়নে হানা দিয়ে বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় ১৩৯ জন শহীদ হন। তাদের স্মৃতি ধরে রাখতে এ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছিল।
মাসদাইর প্রতিরোধ স্তম্ভ : ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাক হানাদার বাহিনী যখন নারায়ণগঞ্জের প্রবেশের চেষ্টা চালায়, তখন নারায়ণগঞ্জবাসী সর্ব প্রথম মাসদাইর কবরস্থান এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কে গাছের টুকরো ফেলে পাক হানাদারদের বাধা প্রদান করে। এ স্মৃতিকে ধরে রাখতে এখানে নির্মাণ করা হয় প্রতিরোধ স্তম্ভ।
চাষাড়া চত্বরে বিজয়স্তম্ভ : স্বাধীনতা সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জবাসী ব্যাপক ভূমিকা রাখার কারণে এ বিজয়স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। বিজয়স্তম্ভে রাখা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি নামের তালিকা।
মেট্রো চত্বরে বিজয় উল্লাস : স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষে মুক্তিযোদ্ধারা এখানে পতাকা হাতে নিয়ে যে উল্লাস প্রকাশ করেছে সেভাবেই এ স্তম্ভটি নির্মাণ করা হয় এ এলাকায়।
আইইটি স্কুল মোড়ে শ্রেষ্ঠ সন্তান : এখানেও একটি ভাস্কর্য নির্মিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে এ স্তম্ভটি তৈরি করা হয়েছে।
ডিআইটি চত্বরে ফিরে দেখা ৭১ : মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের বীর সন্তানরা যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন সেভাবে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে এখানে। নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা (যেটি এখন নগর ভবন) এ স্তম্ভটি নির্মাণ করে।
দেওভোগ আখড়ার মোড় স্তম্ভ : মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য দেওভোগ আখড়া মোড় এলাকায় একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা খচিত স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়।
সভাপতি, স্বজন সমাবেশ, নারায়ণগঞ্জ
