|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ম্যাচের তখন ১০ মিনিটও হয়নি। লিওনেল মেসি মেলে ধরলেন তার জাদুর ঝাঁপি। মাঝ মাঠে বল পেয়ে ছুটলেন দারুণ গতিতে। এক ডিফেন্ডারকে পেছন থেকে কাটিয়ে পৌঁছে গেলেন বক্সের মুখে। তাকে ঘিরে তখন প্রতিপক্ষের চারজনের জটলা। এর মধ্যেও ফাঁক বের করে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে আচমকা নিলেন গড়ানো শট। গোলকিপার অসহায় হয়ে দেখলেন বল জালে যেতে। অনেকের জন্যই স্পেশাল গোল; কিন্তু মেসির জন্য অতি সাধারণ। ক্যারিয়ারে এমন গোল তো কম করলেন না! এবারের এই গোল শুধুই তার ঝলকের শুরু। পরে তিনি গোল করলেন আরও একটি, সহায়তা করলেন দুই গোলে। ন্যাশভিল এসসিকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে মেজর লিগ সকারের কনফারেন্স সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ইন্টার মায়ামি। প্লে-অফের প্রথম রাউন্ডে ‘বেস্ট অব থ্রি’ সিরিজের প্রথমটিতে জিতেছিল মায়ামি, দ্বিতীয়টিতে ন্যাশভিল। বাংলাদেশ সময় রোববার ভোরের ম্যাচটি তাই ছিল ভাগ্য নির্ধারণী। সেই লড়াইয়ে জিতে প্রথমবার কনফারেন্স সেমিফাইনালে ওঠার স্বাদ পেল মায়ামি। এর আগে তারা বাদ পড়েছিল প্লে-অফের প্রথম রাউন্ড থেকে। এবারের প্লে-অফের প্রথম রাউন্ডে তিন ম্যাচে মেসি গোল করলেন পাঁচটি, সহায়তা করলেন তিন গোলে। মায়ামির আট গোলেই তার অবদান। ঘরের মাঠে ১০ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেওয়ার পর ৩৯ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান মেসি। এটি তার ক্যারিয়ারের ৮৯৪তম গোল। দ্বিতীয়ার্ধের দুই গোল করেন মেসির স্বদেশি উইঙ্গার তাদেও আলেন্দে। এর প্রথমটিতেও ছিল মেসির অবদান, দ্বিতীয়টিতে সরাসরি অ্যাসিস্ট। দলের শেষ গোলটি করিয়ে প্রথম ফুটবলার হিসাবে ৪০০ অ্যাসিস্টের ফাইলফলক স্পর্শ করেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। ইস্টার্ন কনফারেন্স সেমিফাইনালে আগামী ২২ নভেম্বর মায়ামির প্রতিপক্ষ সিনসিনাটি এফসি। এক ম্যাচের লড়াই এটি। মেসির জন্যও এটি নতুন চ্যালেঞ্জ। ন্যাশভিলের বিপক্ষে গোলের জোয়ার বইয়ে দিলেও সিনসিনাটির বিপক্ষে কখনো গোল করতে পারেননি তিনি।
