Logo
Logo
×

সুরঞ্জনা

সফল উদ্যোক্তা

ছাদবাগানে ড্রাগন চাষে সফল আরিফা

Icon

শওকত আলী রতন

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

গাছে গাছে ঝুলছে বাহারি ড্রাগন ফল। দেখতে যেমন চমৎকার; তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ড্রাগন। বাড়ির ছাদে শখের ছাদবাগানে ড্রাগনের চাষ করে সফলতা পেয়েছেন আরিফা আক্তার বেপারি। এখন পরিবারের সদস্যরা সারা বছরই ড্রাগনের স্বাদ নিতে পারছেন। বছরে একটি গাছ থেকে অনেক ড্রাগন তোলা সম্ভব। বাড়ির ছাদ শোভিত হয়েছে বাহারি রকমের ড্রাগন দিয়ে। বাড়িতে উৎপাদিত ফল দিয়ে মেহমানদের আপ্যায়ন ও আত্মীয়স্বজনদের বিতরণের মতো মহৎ কাজটিও করছেন ঢাকার দোহার উপজেলার নারিশা বেলতলা এলাকার আরিফা আক্তার বেপারি।

২০১৫ সালে দোহার উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফা আক্তারকে একটি ড্রাগন ফলের চারা দেন। চারাটি বাড়িতে নিয়ে খুব যত্নসহকারে রোপণ করেন। দুবছর পর্যন্ত পরিচর্যা করার পরও ফল না আসায় গাছটি কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। গাছটি কাটতে গেলে ড্রাগন গাছে একটি ফুল দেখতে পান আরিফা। তখন আর গাছটি কাটেননি। তারপর থেকে নিয়মিত ফুল থেকে ফল আসা শুরু করলে এ গাছের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায় তার।

নিয়মিত ফল ধরাতে দিন দিন বাড়াতে থাকেন গাছের সংখ্যা। ছাদবাগানে সাধারণত ড্রামের ওপর লাগাতে হয় এ ধরনের গাছ। বর্তমানে আরিফার ছাদবাগানে ৯টি ড্রামে ১৮টি গাছ রয়েছে। পুরো ছাদে বিস্তৃত হয়ে আছে ড্রাগনের গাছ। একটি গাছে ২০-৩০টি ড্রাগন ধরায় ছাদের সৌন্দর্য বেড়ে গেছে। ১৮টি গাছ থেকে বছরে ১০ মনের মতো ড্রাগন সংগ্রহ করে থাকেন আরিফা। গাছে তেমন কোনো বাড়তি যত্ন লাগে না। নিয়মিত গাছে পানি দেওয়া ও ছত্রাক আক্রান্ত হলে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে তা প্রতিরোধ করে থাকেন বিধায় খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হয় না। এখানে বিভিন্ন জাতের ড্রাগনের মধ্যে রয়েছে ব্লাকিস্ট, রেড ড্রাগন, পিংক ড্রাগন, হোয়াইট ড্রাগন, ইয়োলো ড্রাগন, এপোলো ড্রাগন, আপেল পালোরা ড্রাগন ইত্যাদি।

আরিফা বলেন, ‘দুই সন্তান স্কুলে চলে গেলে একরকম অলস সময় কাটে। এ সময়টাকে কাজে লাগানোর জন্য ছাদকৃষি বেছে নিই। আগের তুলনায় এখন ভালো সময় কাটছে। এ বছর আরও নতুন নতুন জাত সংগ্রহ করে চারা রোপণ করেছি। কীটনাশক ব্যবহার না করে জৈববালাইনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে ফলন ফলিয়ে থাকি। পাশাপাশি কৃষি অফিসের কর্মকর্তা এসে নিয়মিত পরামর্শ দেন। আমাদের দেশে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে। পুষ্টির অভাবে অনেকে নানা অসুখ-বিসুখে ভুগে থাকেন। বিশেষ করে আমাদের দেশে নারীরা পুষ্টিহীনতায় ভুগে থাকেন। বাড়ির ছাদে ড্রাগন চাষ করা গেলে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটানো সম্ভব। পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবেও সফল হতে পারেন যে কেউ। বিশেষ করে নারীদের বলব, তারা যেন এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসেন। এতে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি নিজের পায়েও দাঁড়াতে সক্ষম হবেন নারীরা।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম