Logo
Logo
×

সুরঞ্জনা

সাহসে অদম্য ও দৃষ্টিভঙ্গিতে অনন্য একজন মুনিবা

Icon

রাফিয়া আক্তার

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মুনিবা মাজারির জন্ম ৩ মার্চ ১৯৮৭। একজন পাকিস্তানি মানবাধিকার কর্মী, চিত্রশিল্পী, টেলিভিশন উপস্থাপক, মোটিভেশনাল স্পিকার এবং গায়িকা। ২০০৫ সালে মুনিরা মাজারি এক সাবেক বিমান বাহিনীর কর্মকর্তার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের দুবছর পর গাড়ি এক্সিডেন্ট হয়। এরপর থেকে তিনি হুইলচেয়ার ব্যবহার করেন। নিজের সৃষ্টিশীলতা ও অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি তাকে পরিচিত করেছে পাকিস্তানের লৌহমানবী হিসাবে। তিনি এখন পাকিস্তানের ইউএন ওম্যানেরও শুভেচ্ছাদূত।

বাবা-মায়ের কথা মানতে মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিয়ে করেন মুনিবা। ২০০৭ সালে বিয়ের দুবছর পর যখন তিনি এবং তার স্বামী গাড়িতে করে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তখন গাড়ি এক্সিডেন্ট হয়। গাড়ি বড় একটি খাদে পড়ে যাওয়ার আগেই তার স্বামী লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে বের হয়ে যান। কিন্তু মুনিবা বের হতে পারেননি। গাড়ি এক্সিডেন্টের পর মুনিবাকে অনেক দিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল। মারাত্মকভাবে মুনিবার হাত, পা, মেরুদণ্ড, কলার ফেটে যায়। এতে তার প্যারালাইসিস হয়ে যায়। ডিভোর্স দেন স্বামীকে এবং একটি পুত্রসন্তান দত্তক নেন যার নাম রাখেন নীল মাজারি।

মুনিবা মাজারি বর্তমানে পাকিস্তানের ইউএন ওম্যানের শুভেচ্ছাদূত হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৫ সালে বিবিসির সেরা ১০০ নারীর তালিকায় নাম আসে তার। ২০১৬ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিনেও নাম আসে মুনিবার। কানাডা গ্লোবাল কনসাল্টিং অ্যান্ড ট্রেইন্ট সেন্টার লিমিটেড (সিজিসি) কর্তৃক ‘এক্সেলেন্স ট্রেইন সার্টিফিকেট’ পুরস্কার পান ২০১৭ সালে। শরীরের প্রতিবন্ধকতাকে নিজের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা মনে করেন না মুনিবা। তাই অদম্য সাহস নিয়ে এগিয়ে চলেন সবসময়। একইসঙ্গে প্রেরণা জোগান অন্য নারীদেরও। সাহসে অদম্য ও দৃষ্টিভঙ্গিতে অনন্য মুনিবা বিশ্বাস করেন, পৃথিবীকে জয় করতে চাইলে সামনে পা বাড়াতেই হবে। এমনকি সে পা যদি অচলও হয়।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম