Logo
Logo
×

দশ দিগন্ত

বাড়ছে নির্বাচনি খরচ

নেপালে টাকার গরমে শীতল নারীদের রাজনীতি

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নেপালে টাকার গরমে শীতল নারীদের রাজনীতি

নির্বাচনের প্রতীকী ছবি

নেপালে টাকার গরমে শীতল হয়ে উঠেছে নারীদের রাজনীতি। দেশটিতে আসন্ন নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ অনেকটা কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নির্বাচনের খরচ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় নারী ও অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত হয়ে আসছে। ফলে বিষয়টিকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য গুরুতর হুমকি হিসাবেও দেখছে বিশ্লেষকরা। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো নেপালেও রাজনৈতিক প্রচারণার জন্য বিশাল আর্থিক সচ্ছলতা প্রয়োজন। নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্মী সমাবেশ, র‌্যালি, ঘরে ঘরে প্রচার, মিডিয়া কভারেজ এবং ডিজিটাল প্রচারণাসহ ব্যাপক খরচ রয়েছে। কিন্তু কাঠামোগত দুর্বলতা ও অর্থনৈতিক বৈষম্য নারীদের নির্বাচনে বড় বাধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী-নেপালের ৭৪.৬ শতাংশ নারীর নিজের নামে কোনো সম্পত্তি নেই। ফলে নির্বাচনে অংশ নিতে হলে তাদের ব্যক্তিগত তহবিল থাকে না। এরপর তাদের ঋণ নিতে হয়। এমনকি সেই ঋণ নিলেও নারীদের নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়। অন্যদিকে পুরুষ প্রার্থীরা সহজেই ব্যক্তিগত সম্পদ, উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সম্পত্তি, অনানুষ্ঠানিক অর্থায়ন এবং শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে রাজনীতিতে অংশ নিতে পারেন। সেখানে নারীরা এই ধরনের আর্থিক নেটওয়ার্কগুলোতে প্রবেশাধিকার পেতেও অধিক সমস্যার সম্মুখীন হন। অনেক নারী প্রার্থী তাদের প্রচারণার অর্থ প্রধানত ব্যক্তিগত সঞ্চয় বা ছোট অনুদানের ওপর নির্ভর করে জোগাড় করেন। এর ফলে কিছু নারী রাজনীতিতে প্রবেশ করার আগেই ঋণের বোঝায় জর্জরিত হন। উদাহরণস্বরূপ-২০১৭ সালে সাংবিধানিক কোটার মাধ্যমে রাজনীতিতে এসেছিলেন একজন স্থানীয় নারী প্রতিনিধি। ব্যক্তিগত সঞ্চয় এবং বন্ধু-পরিবারের সহায়তায় প্রচার চালালেও, পাঁচ বছর পর ঋণের বোঝায় সে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি। এছাড়া নির্বাচনি খরচ বাড়ায় রাজনৈতিক দলগুলোও আর্থিকভাবে সম্পদশালী প্রার্থীদের প্রতি বেশি আগ্রহী। ফলে নারীরা দলের কাছ থেকে আর্থিক সমর্থনের সুযোগ কম পান। উল্লেখ্য, আগামী প্রায় দুবছরের মধ্যে নেপালে স্থানীয়, প্রাদেশিক এবং ফেডারেল স্তরের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যদিও নেপালের সংবিধান অনুযায়ী সব স্তরের সরকারে নারীদের জন্য কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষিত রয়েছে। ফলে বর্তমানে প্রতিনিধি পরিষদে ৩৩.৫%, জাতীয় পরিষদে ৩৭.৩% এবং স্থানীয় স্তরে ৪১% আসন নারীদের দখলে আছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম