Logo
Logo
×

দশ দিগন্ত

দুই সপ্তাহের মধ্যে তেহরানে ফুরিয়ে যাবে সুপেয় পানি

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

দুই সপ্তাহের মধ্যে তেহরানে ফুরিয়ে যাবে সুপেয় পানি

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তেহরানের পানির দুই প্রধান উৎস শুকিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ইরানে দীর্ঘমেয়াদি খরায় রাজধানী তেহরানজুড়ে তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজধানীর পানির দুই প্রধান উৎস শুকিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানা যায়। রোববার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ বিষয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে। এই পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তেহরানের পানির প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান বাঁধ ‘আমির কবিরে’ ধারণক্ষমতার মাত্র ৮ শতাংশ পানি অবশিষ্ট রয়েছে। সোমবার সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আইআরএনএ জানিয়েছে, রাজধানীতে পানি সরবরাহের পাঁচটি বাঁধের একটি হচ্ছে আমির কবির ড্যাম, যেখানে এখন মাত্র এক কোটি ৪০ লাখ ঘনমিটার পানি রয়েছে-যা ধারণক্ষমতার মাত্র ৮ শতাংশ। তেহরানের পানি কর্তৃপক্ষের পরিচালক বেহজাদ পারসা জানান, এই পরিমাণ পানি দিয়ে সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ পর্যন্ত পানি সরবরাহ বজায় রাখা সম্ভব হবে। ইরান বর্তমানে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখোমুখি। গত মাসে এক স্থানীয় কর্মকর্তা বলেছিলেন, তেহরান প্রদেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় এক শতাব্দীতে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। এক কোটিরও বেশি মানুষ বসবাসকারী তেহরান শহরের পানির প্রধান উৎস আলবোরজ পর্বতমালার দক্ষিণ ঢাল থেকে বয়ে আসা নদীগুলো-যা শহরের একাধিক জলাধারে পানি যোগায়। গত বছর এই আমির কবির ড্যামেই আট কোটি ৬০ লাখ ঘনমিটার পানি ছিল, কিন্তু এ বছর তেহরান অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ‘সম্পূর্ণভাবে বন্ধ’ হয়ে গেছে। ইরানি গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, রাজধানী তেহরান প্রতিদিন প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার পানি ব্যবহার করে। পানি সাশ্রয়ের উদ্যোগ হিসাবে গত কয়েক দিনে কিছু এলাকায় সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে এবং গ্রীষ্মকালেও নিয়মিত পানি ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা যায়। চলতি বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে পানির সংকট ও অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে সরকার দুটি সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছিল। ওই সময় তেহরানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ওই সময়েই প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘পানি সংকট এখন যে পর্যায়ে আছে, পরিস্থিতি তার চেয়েও ভয়াবহ।’ মূলত ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের শুষ্ক প্রদেশগুলোতে পানির অভাব দীর্ঘদিন ধরেই একটি গুরুতর সমস্যা হিসাবে বিরাজ করছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম