Logo
Logo
×

দশ দিগন্ত

এবার মানুষ ধোয়ার মেশিন

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এবার মানুষ ধোয়ার মেশিন

মানুষ ধোয়ার ‘হিউম্যান ওয়াশিং মেশিন’ এনেছে জাপান। ছবি: সংগৃহীত

কাপড় ধোয়ার ‘ওয়াশিং মেশিন’র মতো এবার মানুষ ধোয়ার ‘হিউম্যান ওয়াশিং মেশিন’ আনল জাপান। অদ্ভুত শোনালেও বাস্তবে এমন মেশিন তৈরি করেছে জাপানের একটি প্রতিষ্ঠান। মেশনটির ভেতর গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটি মানুষকে পরিষ্কার করে দেয় মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে। এছাড়াও মেশিনটিতে রয়েছে গান শোনার ব্যবস্থা। অত্যাধুনিক এই যন্ত্র কিনতে ব্যয় করতে হবে ৬ কোটি ইয়েন (৩ লাখ ৮৫ হাজার ডলার)। এএফপি।

ওয়ার্ল্ড এক্সপোর দর্শকদের মুগ্ধ করার পর এখন এই মেশিন জাপানের বাজারে বিক্রি হচ্ছে। গত শুক্রবার ওই প্রতিষ্ঠানের এক মুখপাত্র এসব তথ্য জানিয়েছেন। তার ভাষ্য, ব্যবহারকারীরা একটি পডের ভেতরে শুয়ে পড়েন। এরপর ঢাকনা বন্ধ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই গান শুনতে শুনতে কাপড় ধোয়ার মতোই পরিষ্কার হয়ে যান। তবে আশঙ্কা নেই, মেশিনটি মানুষকে কাপড়ের মতো ঘুরপাক খাওয়াবে না। ওসাকায় অনুষ্ঠিত ছয় মাসের ওয়ার্ল্ড এক্সপো গত অক্টোবরে শেষ হয়। প্রদর্শনীতে ২ কোটি ৭০ লাখের বেশি দর্শনার্থী এসেছিলেন। সেখানে ‘ভবিষ্যতের মানব ওয়াশার’ নামে পরিচিতি পাওয়া এই যন্ত্রটির একটি নমুনা রাখা হলে তা দেখতে দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়। ওই ওয়াশিং মেশিনটি তৈরি করেছে জাপানি প্রতিষ্ঠান সায়েন্স। এটি ১৯৭০ সালে ওসাকায় একই ইভেন্টে প্রদর্শিত একটি যন্ত্রের অতি-আধুনিক সংস্করণ। সায়েন্সের মুখপাত্র সাচিকো মায়েকুরা এএফপিকে বলেন, ‘সে সময় আমাদের (কোম্পানির) প্রেসিডেন্ট মাত্র ১০ বছরের শিশু ছিলেন, আর তিনি সেই যন্ত্র দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই যন্ত্র শুধু শরীরই নয়, আত্মাকেও পরিষ্কার করে। পাশাপাশি এটি ব্যবহারকারীর হৃদস্পন্দনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাত্তও পর্যবেক্ষণ করে।’ নমুনা যন্ত্রটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হবে কি না, তা জানতে মার্কিন এক রিসোর্ট কোম্পানি সায়েন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর প্রতিষ্ঠানটি অধিক উৎপাদনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মুখপাত্র জানান, ওসাকার একটি হোটেল প্রথম মেশিনটি কিনেছে এবং অতিথিদের জন্য এই সেবা চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

হিউম্যান ওয়াশিং মেশিন যেভাবে কাজ করে

১. ক্যাপসুলে প্রবেশ : ব্যবহারকারী একটি ২.৩ মিটার লম্বা বদ্ধ পডে শুয়ে পড়েন।

২. স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধোয়া শুরু : মাইক্রোবাবল ও হালকা কুয়াশার স্প্রে ব্যবহার করে পুরো দেহকে কোমলভাবে পরিষ্কার করা হয়।

৩. স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ : মেশিনের ভেতর সেন্সর আছে। এর সাহায্যে হৃদস্পন্দন, শ্বাসপ্রশ্বাসসহ অন্যান্য শারীরিক সূচক সূক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।

৪. বিশ্রামের অভিজ্ঞতা : ধোয়ার সময় ক্যাপসুলের ভেতরে শান্তিময় দৃশ্য ও সুরেলা সংগীত চালানো হয়।

৫. শুকানোর প্রক্রিয়া : ধোয়ার পরে মেশিন ব্যবহারকারীকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শুকায়। পুরো প্রক্রিয়া প্রায় ১৫ মিনিটে সম্পন্ন হয়।

৬. ফ্রেশ হয়ে বের হওয়া : ব্যবহারকারী পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে আরামে বের হন। শরীর শুকাতে কোনো তোয়ালের প্রয়োজন হয় না।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম