দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা প্রথমপত্র
ড. সনজিত পাল, সিনিয়র শিক্ষক, সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ
-শওকত আলী
সাহিত্যিক শওকত আলী সাংবাদিকতা, শিক্ষকতাসহ বিভিন্ন ধরনের পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। জীবনকে নিবিড়ভাবে অবলোকন করা এবং বিচিত্র জীবনপ্রবাহকে শিল্পাবয়ব প্রদান শওকত আলীর সাহিত্যভাবনার মূল প্রবণতা। নৃতত্ত্ব, ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞানে তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে, যার প্রতিফলন ঘটেছে তার রচনায়। ‘কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ’ গল্পটি শওকত আলীর ‘লেলিহান সাধ’ গ্রন্থ থেকে সংকলন করা হয়েছে। কপিলদাস মুর্মু এক বৃদ্ধ সাঁওতাল। ভূমির অধিকার নিয়ে সাঁওতালদের রয়েছে রক্তে রঞ্জিত গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। ভূমি তাদের অস্তিত্বেরই অপর নাম। তাই নিজেদের বসতবিটা থেকে উন্মূলিত হওয়ার আশঙ্কা যখন তীব্রতর রূপ ধারণ করে তখন বয়সের ভারে ঝিমিয়ে পড়া, অন্য সবার কাছে নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় মানুষ কপিলদাস অমিত সাহসে উদ্দীপিত হয়ে ওঠে। জীবনের শেষ কাজ হিসাবে শেষ লড়াইটা লড়বার জন্য নিজেকে সে সময়ের হাতে তুলে দেয়। তরুণদের ভয় দ্বিধাকে অমূলক প্রমাণিত করে একাই সে আত্মত্যাগী সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মাটির কাছাকাছি থাকা এক প্রবীণের এই অনিঃশেষ সংগ্রামশীলতার নান্দনিক রূপায়ণ ঘটেছে এ গল্পে। সাঁওতালি কথনভঙ্গি, শব্দ যোজনা এবং যথোপযুক্ত প্রেক্ষাপট সৃজন এ রচনার শিল্পসাফল্যকে বহু গুণ বর্ধিত করেছে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন :
১। বাতাস উঠলে এখন টাঙনের পানিতে কাঁপন লাগে না- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
২। ‘মাথাটা ডাইনে-বাঁয়ে অল্প-স্বল্প দুলছে, আর সে বসে রয়েছে তো বসেই রয়েছে’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
৩। ‘কপিলদাস বুড়োর কাছে সবই একটার সঙ্গে আরেকটা মেলানো বলে মনে হয়’- ব্যাখ্যা কর।
৪। সব কিছুই শেষ পর্যন্ত একটা জায়গায় গিয়ে মিলে যায়- বলতে কী বোঝান হয়েছে?
৫। ‘সংসারের অনেক ভেতরে শান্ত ধীর এবং নিরবচ্ছিন্ন একটা স্রোত আছে’- ব্যাখ্যা কর।
৬। ‘সেখানে কাঁপন নেই, উত্তেজনা নেই, চিৎকার নেই’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
৭। ‘আর সে জন্যেই শীতের রোদে পিঠ দিয়ে ভারি আরামে সে ঝিমোতে পারে’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
৮। বয়স বেড়ে গেলে সম্ভবত মানুষের এরকম একটি অবস্থা এসে যায়- ব্যাখ্যা কর।
৯। কপিলদাস দেখতে দেখতে নিজের যৌবনকালে চলে যায়- ব্যাখ্যা কর।
১০। একের পর এক ঘটনা মনে পড়তে থাকে তার- সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা কর।
১১। কপিলদাস একেক দিন আবার নিজের কাছে গল্প ফাঁদে- ব্যাখ্যা কর।
১২। বাহ্ গল্পের কি আর শেষ আছে- কেন বলা হয়েছে?
১৩। সে এক আশ্চর্য ব্যাপার- কোন প্রসঙ্গে কেন বলা হয়েছে?
১৪। আধিয়ার জোতদারের মাঝখানে পড়ে গেল সাঁওতাল বস্তিটা- কেন বলা হয়েছে?
১৫। ‘সেই মহাজনের বিপক্ষে কেমন করে যায়’- কোন প্রসঙ্গে, কেন বলা হয়েছে?
১৬। সাঁওতালদের তখন কী মুশকিল ভাবো দেখি- ব্যাখ্যা কর।
১৭। ‘কহ মড়ল, কহ দে, দেয় পেটের ভাতটা?’- কোন প্রসঙ্গে, কেন বলা হয়েছে?
১৮। ‘মড়ল হলে বোধ হয় ওই অবস্থায় কিছু বলা যায় না’- কেন বলা হয়েছে?
১৯। ‘হামরা মহাজনের সঙ্গে নাই, আধিয়ার কিষানের সঙ্গে হামরা’- কেন বলা হয়েছে?
২০। কপিলদাস আর খেই ধরতে পারে না- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
২১। বিচার সভার শেষ দৃশ্যটা স্মরণে আসে না- কোন প্রসঙ্গে, কেন বলা হয়েছে?
২২। ওই রকম গল্প বলতে বলতে বেলা ফুরিয়ে যায় এক সময়- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
২৩। ‘আর ওই সময়ই তার চোখে পড়ে যায়’- বলতে কী বোঝান হয়েছে?
২৪। লোকগুলোকে সে চিনতে চেষ্টা করে- কাদের এবং কেন চিনতে চেষ্টা করে?
২৫। ‘কিন্তু এমন সময় ওখানে দাঁড়িয়ে ওদের কী কাজ?’- সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা কর।
২৬। দেখতে না পাওয়ার কৌতূহলটাও আর থাকে না- সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা কর।
২৭। ‘কথাটা কেন যে বলে ছোড়া ঠিক ধরতে পারে না’- সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা কর।
২৮। ‘তার কেবলি মতিভ্রম হতে থাকে’- কোন প্রসঙ্গে, কেন বলা হয়েছে?
২৯। ‘তার নিজের হিসাব মিলে না’- কেন মিলে না? বর্ণনা কর।
৩০। সলিমউদ্দিন এবার সত্যিই বিরক্ত হয়- কেন?
৩১। মোর কথা বিশ্বাস ন হয় আর কাহাকো পুছে দেখ- কোন প্রসঙ্গে, কেন বলা হয়েছে?
৩২। এক সময় আবার হাসি পায় বুড়োর- কেন?
৩৩। ‘আর তাই দেখে সে ভয়ানয় অস্থিরতা বোধ করে’- ব্যাখ্যা কর।
৩৪। ট্রাকটর চলে আসবে সংসারের বুকের ওপর- কেন বলা হয়েছে?
