এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বাংলা প্রথমপত্র
ড. সনজিত পাল
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শিক্ষক,
সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ
-মাইকেল মধুসূদন দত্ত
‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতাটি পড়ার সময় যে দিকগুলো ভালো করে খেয়াল করতে হবে-
সংস্কৃত শব্দের আধিক্য থাকায় এ কবিতাটি কয়েকবার পড়তে হবে। এ কবিতার অর্থ গভীরভাবে বুঝার জন্য ‘মেঘনাদবধ’ মহাকাব্যে বর্ণিত ঘটনা পড়া দরকার। অথবা এ কবিতায় বর্ণিত ঘটনার প্রেক্ষাপট জানা থাকলেও কবিতার অর্থ সহজে বোঝা যাবে। কবিতায় বিভীষণের প্রতি মেঘনাদের আহ্বান কী ছিল? মেঘনাদের আহ্বানের উত্তরে বিভীষণ কী উত্তর দিয়েছে? মেঘনাদের আহ্বানে যুগচেতনার কোন কোন দিক ফুটে উঠেছে? বিভীষণের আত্মসমর্পণের মধ্যে কোন কোন দিক ফুটে উঠেছে? রামের পক্ষ নেয়ার ক্ষেত্রে বিভীষণ কী কী যুক্তি দিয়েছে? কবিতায় বর্ণিত পরিস্থিতির জন্য বিভীষণ কাকে দায়ী করেছেন এবং কেন করেছেন? বিভীষণের কথার পরিপ্রেক্ষিতে মেঘনাদ কী বলেছে? এ কবিতায় কবি মেঘনাদ, বিভীষণ ও লক্ষ্মণকে কী কী উপমায় ও বিশেষণে বিশেষায়িত করেছেন?
অনুধাবন প্রশ্ন :
১. ‘হায় তাত, উচিত কি তব এই কাজে’- কোন প্রসঙ্গে, কেন বলা হয়েছে?
২. ‘স্থাপিলা বিধুরে বিধি স্থানুর ললাটে’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
৩. ‘লঙ্কার কলঙ্ক আজি ভঞ্জিব আহবে’- কেন বলা হয়েছে?
৪. ‘চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে’- ব্যাখ্যা কর।
৫. ‘প্রফুল্ল কমলে কীটবাস’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
৬. বিভীষণ রামের পক্ষ অবলম্বন করেছেন কেন?
৭. লক্ষ্মণের সঙ্গে যুদ্ধকে মেঘনাদ অন্যায় যুদ্ধ বলেছেন কেন?
৮. মেঘনাদ গুণহীন স্বজনকে শ্রেয় বলেছেন কেন?
৯. মেঘনাদ যজ্ঞাগারে যাচ্ছিল কেন?
১০. বিভীষণ লঙ্কারাজ্যকে পাপপূর্ণ বলেছেন কেন?
১১. ‘তব বাক্যে ইচ্ছি মরিবারে!’- কেন বলা হয়েছে?
১২. ‘হেন সহবাস, হে পিতৃব্য বর্বরতা কেন না শিখিবে?’- ব্যাখ্যা কর।
১৩. ‘এ শিক্ষা, হে রক্ষোবর কোথায় শিখিলে?’- এখানে কোন শিক্ষার কথা এবং কেন বলা হয়েছে?
১৪. মেঘনাদ লঙ্কার কলঙ্ক কীভাবে বিনষ্ট করতে চায়?
১৫. মেঘনাদের মতে, লঙ্কাপুরীর শিশুরা হাসবে কেন- ব্যাখ্যা কর।
১৬. মেঘনাদকে অরিন্দম বলা হয়েছে কেন?
১৭. ‘রুষিলা বাসবত্রাস’- কেন? ব্যাখ্যা কর।
১৮. বিভীষণ নিজেকে রাঘবদাস বলেছেন কেন?
১৯. মেঘনাদ কেন অস্ত্রগারে যেতে চেয়েছিলেন?
২০. মেঘনাদ কেন বিভীষণকে তিরস্কার কংরেন?
২১. ‘পাঠাইব রামানুজে শমন-ভবনে’- কেন বলা হয়েছে?
২২. ‘বৃথা এ সাধনা ধীমান্’- কেন বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
২৩. ‘মহারথী, এ-কি মহারথী প্রথা’- ব্যাখ্যা কর।
২৪. ‘মৃগেন্দ্র কেশরী, কবে হে বীরকেশরী,
২৫. সম্ভাষে শৃগালে মিত্রভাবে?’ - ব্যাখ্যা কর।
২৬. লক্ষ্মণকে ‘দুর্বল মানব’ বলা হয়েছে কেন?
২৭. ‘গতি যার নীচ সহ, নীচ সে দুর্মতি’- ব্যাখ্যা কর।
২৮. ‘প্রলয়ে যেমনি বসুধা, ডুবিছে লঙ্কা এ কালসলিলে’- ব্যাখ্যা কর।
২৯. বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতার বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর।
৩০. বিভীষণের মতে লঙ্কার আজ এমন অবস্থার কারণ বর্ণনা কর।
৩১. বিভীষণ ও লক্ষ্মণ রাক্ষসপুরীতে প্রবেশ করেছিল কেন?
সৃজনশীল প্রশ্নের দিক সমূহ-
১. মেঘনাদের দেশপ্রেমিক, বীরত্বগাঁথা ও সাহসী চরিত্র।
২. বিভীষণের দেশদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতক ও কুলাঙ্গার চরিত্র।
৩. লক্ষ্মণের ভীরু, কাপুরুষোচিত চরিত্র।
৪. জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব ও জাতিসত্তার প্রতি গুরুত্ব প্রদান।
৫. রাক্ষসকুলে বিভীষণের অবস্থান।
৬. রাম-লক্ষ্মণের সঙ্গে বিভীষণের আঁতাত লঙ্কার জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করা।
৭. বিভীষণের মতে লঙ্কার দুর্দিনের জন্য রাবণের পাপকর্ম দায়ী।
৮. বিভীষণের প্রতি রাম-লক্ষ্মণের সম্পর্ক বিভিন্ন উপমায় বর্ণনা।
৯. চৌর্যবৃত্তি/ গোপনে সকলের চোখ এড়িয়ে / দেবতার সহায়তায় বিভীষণ ও লক্ষ্মণের রক্ষঃপুরে প্রবেশ।
কবিতার মূলদিক : জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব ত্যাগী বিশ্বাসঘাতক বিভীষণের বিপরীতে দেশপ্রেমিক মেঘনাদের বীরত্বগাঁথা বর্ণনা।
