আওয়ামী লীগ বিষয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান কী বলে
মোবায়েদুর রহমান
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গত ২০ এপ্রিল যুগান্তরে প্রকাশিত তিনটি সংবাদ আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। এগুলোর শিরোনাম হলো, ‘আওয়ামী লীগের ‘চেতনার দোকানে’ লুটপাট/বুদ্ধিজীবীদের এ কেমন কাণ্ড’। আরেকটির শিরোনাম, ‘বড় হচ্ছে আওয়ামী লীগের মিছিল, নেপথ্যে কারা’। তৃতীয় খবরটি প্রকাশিত হয়েছে শেষ পৃষ্ঠায়। তার শিরোনাম, ‘তিন উদ্যোগে ইউনূসকে পাশে চান শি জিনপিং’। এর মধ্যে দ্বিতীয় খবরটি অর্থাৎ আওয়ামী লীগের মিছিল বড় হচ্ছে, এ বিষয়টি মানুষকে চিন্তিত করে। গণমাধ্যমের খবর পড়ে বোঝা যাচ্ছে, তারা ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে ঝটিকা মিছিল করেছে। ঝটিকা মিছিল বলতে বোঝায় হঠাৎ করে মিছিল বের করা এবং হঠাৎ করে তা মিলিয়ে যাওয়া। এছাড়া আওয়ামী লীগের কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী অকস্মাৎ আদালত প্রাঙ্গণে মারমুখী হয়ে উঠেছেন। গত ২৩ এপ্রিল এবং তার আগের দিন জজ সাহেবের এজলাসে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান গলা উঁচিয়ে প্রশ্ন করেছেন, ‘শেখ হাসিনার যে অভিযোগের বিচার হচ্ছে, সেই অভিযোগের চেয়ে একাত্তরের অভিযোগ গুরুতর। লাখ লাখ মানুষকে হত্যায় জামায়াত জড়িত। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাসহ তিন হাজার সেনা কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে। এরশাদ সাহেবও হত্যা চালিয়েছে। তারাও গিলটি। তাদের বিচার আগে করে তারপর শেখ হাসিনার বিচার করুন।’ এর আগের দিন আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু পুলিশকে এই বলে ধমকান, ‘শালা রাজাকারের বাচ্চারা, তোদের বাড় বেড়েছে। তোদের খেয়ে ফেলব।’ আদালতের এজলাসে এবং এজলাস থেকে নামার সময় স্বৈরাচারের এসব সাবেক মন্ত্রীর ঔদ্ধত্য সীমা ছাড়িয়ে গেছে। তাদের এ বেয়াদবির কারণ হলো, প্রিজনভ্যান থেকে নামানোর পর এসব বন্দির হাতে হাতকড়া পরানো হলো কেন? শাজাহান খান বলেন, মাননীয় আদালত, আমাদের কি কোনো প্রেস্টিজ নেই? আমাদের হাতকড়া পরানো হবে কেন?
তাদের এ স্পর্ধিত প্রশ্ন শুনে বরং অনেকেই নিজেদের মধ্যে পালটা প্রশ্ন করেছেন, হাতকড়া নয় কেন? বরং জেল থেকে প্রথম দিকে তাদেরকে যখন আনা হয়, তখন এসব বন্দিকে হাত বা পা কোথাও কোনো বেড়ি পরানো হয়নি। প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ আরও দুই-তিনজন বন্দি পুলিশ বেষ্টনীর মধ্য থেকেও চিৎকার করে স্লোগান দেন, ‘জয় বাংলা’। আদালত কক্ষে এমন স্পর্ধা দেখালেও আদালত এই আদালত-অবমাননাসূচক কাজের জন্য তাদেরকে হুশিয়ার করেননি। শাজাহান খান তার মাথার হেলমেটও ছুঁড়ে ফেলেন।
অথচ বিগত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী জামানায় বিএনপি বা জামায়াতের প্রায় অধিকাংশ নেতাকেই হাতকড়া পরা অবস্থায় জেলখানা থেকে আদালতে আনা-নেওয়া করা হয়েছে। তখন বিএনপি বা জামায়াতের কোনো বন্দিকে কোনো কথা বলার সুযোগ আদালত দেয়নি। এখন দেখা যাচ্ছে, আদালতের দৃশ্যমান অনুমতি ছাড়াই শাজাহান খান, ইনু, এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকও উচ্চকণ্ঠে আদালতকে বলছেন, ছাত্রলীগের একজন সদস্য হিসাবে আমি গর্বিত। যে সংগঠনটি নিষিদ্ধ, সেই সংগঠনের একজন নেতাকে আদালতে কথা বলানোর সুযোগ দেওয়া হয় কীভাবে?
একদিকে ভারতে থেকে শেখ হাসিনা প্রায় নিয়মিত অডিও কলে দেশ এবং বিদেশের আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের কর্মীদের বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা সৃষ্টির উসকানি দিচ্ছেন, আর অন্যদিকে আওয়ামী শিবিরের লোকজন বিভিন্ন জেলায় ঝটিকা মিছিল করছে আর আদালতে জয় বাংলার আস্ফালন করছে। এ পটভূমিতে আবার খুব স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা নতুন করে ওঠে এসেছে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না কেন? এখন তো খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, দেশের কোনো কোনো জায়গায় আওয়ামী লীগের কোনো কোনো পাতি নেতা ইলেকশন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় তারা বলছেন, আমাদের দল নিষিদ্ধ নয়, আমাদের দলের নিবন্ধনও অক্ষত আছে। এ অবস্থায় সরকার আমাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখবে কীভাবে?
২.
আওয়ামী লীগ কি নিষিদ্ধ হবে? নাকি হবে না? একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে গেলে অগ্রপশ্চাৎ কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ কি কোনো রাজনৈতিক দল? রাষ্ট্রবিজ্ঞানে আওয়ামী লীগ কি কোনো রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞায় পড়ে? রাষ্ট্রবিজ্ঞানে রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ১. জনগুরুত্বসম্পন্ন ইস্যুগুলো নিয়ে জনমত গঠন ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ; ২. আদর্শ ও কর্মসূচির পক্ষে জনমত গঠন। এই উদ্দেশ্যে সভা, সমাবেশ, মিছিল, সিম্পোজিয়াম, সেমিনার ইত্যাদি অনুষ্ঠান করা; ৩. নিয়মতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করার জন্য কর্মী রিক্রুট করা। অতঃপর দলের আদর্শে দীক্ষিত করে সেই কর্মীদের স্থানীয় সরকারের মেম্বার বা চেয়ারম্যান এবং জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ার উপযোগী করে গড়ে তোলা, ইত্যাদি। রাজনৈতিক দলের সংক্ষিপ্ত সংজ্ঞা, The term party has since come to be applied to all organized groups seeking political power, whether by democratic elections or by revolution. এই সংজ্ঞা মোতাবেক বিপ্লব বা গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ইউনূসের সরকার গঠিত হয়েছে। সুতরাং যারা এটিকে অনির্বাচিত বলেন, তারা নির্বাচনের সংজ্ঞায় হয়তো সঠিক, কিন্তু Legitimacy বা বৈধতার প্রশ্নে এটি একশ ভাগ বৈধ। কিন্তু আওয়ামী লীগ কোনো সংজ্ঞাতেই পড়ে না। তাই এটি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। এটি একটি লুটেরা ও সন্ত্রাসী দল। বিষয়টি আমি নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করছি।
৩.
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে আমেরিকা, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও গ্রেট ব্রিটেনের সমন্বয়ে গঠিত মিত্র বাহিনীর কাছে হিটলারের জার্মানি আত্মসমর্পণ করে ১৯৪৫ সালের ৮ মে। তার মাত্র ৫ মাস পর জার্মানির নাৎসী পার্টি নিষিদ্ধ হয় ১৯৪৫ সালের ১০ অক্টোবর। সেই থেকে আজ ৮০ বছর হলো শুধু জার্মানিতে নয়, হিটলারের জন্মস্থান অস্ট্রিয়াতেও নাৎসী পার্টি নিষিদ্ধ রয়েছে। আমাদের দেশে আওয়ামী লীগের রয়েছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, যুব মহিলা লীগ ইত্যাদি অঙ্গ সংগঠন। জার্মানিতে হিটলারের নাৎসী পার্টির ছিল ৫২টি অঙ্গ সংগঠন। এসব অঙ্গ সংগঠনকেও সেদিন নিষিদ্ধ করা হয় এবং আজও সেগুলো নিষিদ্ধ আছে। শুধু দল নয়, হিটলার যেরকম পোশাক পরতেন, সেই ধরনের পোশাকও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নাৎসী পার্টিকে নিষিদ্ধ করার পর শুরু হয় এসব দেশে DeNazification বা নাৎসী মুক্তকরণ প্রক্রিয়া। এর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় নাৎসীদের বিচার। ইতিহাসবিখ্যাত Judgement at Nuremberg বা নুরেমবার্গের বিচারে নাৎসী নেতাদের সঙ্গে হিটলারের অনেক সামরিক অফিসারকেও ফাঁসি দেওয়া হয়। অভিজ্ঞ মহলের মতে জার্মানির মতো বাংলাদেশেও জুলাই বিপ্লবের পর শুরু হওয়া উচিত ছিল, DeAwamification বা বাংলাদেশকে আওয়ামীমুক্ত করা।
ইতালিতে ১৯৪৩ সালের ২৭ জুলাই ফ্যাসিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ হয়। লক্ষ করার বিষয়, ফ্যাসিবাদের জনক বেনিটো মুসোলিনির পতন হয় ১৯৪৩ সালের ২৫ জুলাই। আর ফ্যাসিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ হয় একদিন পর ২৭ জুলাই। এর একদিন পর ২৮ জুলাই মুসোলিনির ফাঁসি হয়। অবশ্য মতান্তরে মুসোলিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
৪.
কুখ্যাত হিটলার অনেক মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। তিনি গেস্টাপো নামক তার গুপ্ত পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে উঠিয়ে আনতেন (Enforced disappearance)। অতঃপর কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প এবং ক্ষেত্রবিশেষে গ্যাস চেম্বারে তাদেরকে নির্যাতন করে হত্যা করা হতো। ভারতে কংগ্রেস সরকার সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ (CRB) দিয়ে নকশাল বাড়ি আন্দোলনের বিপ্লবীদের উঠিয়ে আনত এবং হত্যা করত। এভাবেই নকশাল বাড়ি আন্দোলন শেষ করা হয়। বাংলাদেশে শেখ হাসিনাও গেস্টাপো বা CRB-এর মতো র্যাবকে দিয়ে আওয়ামীবিরোধীদের উঠিয়ে নিয়ে অনির্দিষ্টকাল বন্দি রাখতেন অথবা হত্যা করতেন। হিটলার যেমন নির্মাণ করেছিলেন কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প, শেখ হাসিনা তেমনি স্থাপন করেছিলেন আয়নাঘর।
হিটলার ও মুসোলিনি উভয়েই পালতেন নিজের দলের প্রাইভেট বাহিনী। হিটলারের প্রাইভেট বাহিনীর নাম ছিল ব্রাউন শার্ট। কারণ তাদের ইউনিফর্মের রং ছিল ব্রাউন। আর ফ্যাসিবাদী মুসোলিনির প্রাইভেট আর্মির ইউনিফর্ম ছিল ব্ল্যাক। অনুরূপভাবে ফ্যাসিবাদী হাসিনার ব্ল্যাক শার্ট পরিহিত বাহিনীর নাম ছিল র্যাব। এ ছাড়াও ছাত্রলীগ ও যুবলীগ পুলিশের পাশাপাশি থেকে পুলিশের হেলমেট পরে ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মীদের গুলি করত। এজন্য তাদের নাম হয়েছে হেলমেট বাহিনী।
৫.
উপরের আলোচনা থেকে দেখা যায়, হিটলার ও মুসোলিনির আদলে শেখ মুজিব যেমন দল গঠন করেছিলেন, তার কন্যাও একইভাবে দল গঠন করেছিলেন। দেশে নিয়মিত সামরিক বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী থাকা সত্ত্বেও শেখ মুজিব সামরিক বাহিনীর পালটা হিসাবে গঠন করেন রক্ষীবাহিনী। বাংলাদেশে গুম ও খুনের সূচনা করেন স্বয়ং শেখ মুজিব। তিনি ভারতবিরোধী বিপ্লবী সিরাজ শিকদারকে উঠিয়ে এনে ক্রসফায়ারে হত্যা করেছেন। তার সৃষ্ট রক্ষীবাহিনীর কমান্ডার ছিলেন তোফায়েল আহমেদ। এ রক্ষীবাহিনী হাজার হাজার মুজিববিরোধী নেতাকর্মীকে হত্যা করে। শেখ মুজিবের ভাগনে শেখ ফজলুল হক মণি যুবলীগের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দাবি তুলেছিলেন, ‘আইনের শাসন চাই না/মুজিবের শাসন চাই’। বাকশাল গঠনের পর আওয়ামী লীগের স্লোগান ছিল, ‘এক নেতা এক দেশ/বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ’।
কোনো ভালো কাজের রেকর্ড শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী সরকারের নেই। হেন পাপাচার নেই, যা হাসিনা সরকার করেনি। গত ১৫ বছরে অসংখ্য নারীর সম্ভ্রম লুণ্ঠন করা হয়েছে। অসংখ্য ছাত্র ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে আয়নাঘরসহ বিভিন্ন জেলখানায় বছরের পর বছর আটক রাখা হয়েছে। ব্রিগেডিয়ার আমান আজমী, ব্যারিস্টার আরমান, লে. কর্নেল হাসিনুর রহমানসহ আয়নাঘরের বন্দিদের কাছ থেকে ভয়াবহ নির্যাতনের যে কাহিনি শোনা যায়, তা শ্রোতাকে ভীতসন্ত্রস্ত করে তোলে। মওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, আব্দুল কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, মীর কাশেম আলীসহ রাজনৈতিক নেতাদের যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ তো বটেই, খোদ ব্রিটিশ সুপ্রিমকোর্টও শেখ হাসিনার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্রক্রিয়ার অনেক ত্রুটি উল্লেখ করেছেন। অন্যত্র এগুলোকে জুডিশিয়াল কিলিং বলা হয়েছে।
বিডিআর ম্যাসাকার, শাপলা ম্যাসাকার, মওলানা সাঈদীর ফাঁসির রায়বিরোধী শোভাযাত্রায় নির্বিচার গুলি বর্ষণে ২৫৭ জনকে হত্যা করা, ১৫ বছরে গুম ও খুনে সাড়ে ৩ হাজার মানুষকে হত্যা করা শেখ হাসিনার ১৫ বছরের রাজনীতিকে কলঙ্কিত করেছে। তার ওপর জাতিসংঘের হিসাব মোতাবেক জুলাই বিপ্লবে মাত্র ২১ দিনে ১৪০০ ছাত্র-জনতাকে হত্যা এবং ২৬ হাজার ছাত্র-জনতাকে গুলি করে আহত করার ঘটনা শেখ হাসিনার রাজত্বকে কালো অধ্যায়ে ছেয়ে ফেলেছে।
ছাত্রলীগের এক সোনার ছেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে, অতঃপর মোমবাতি জ্বালিয়ে ধর্ষণের সেঞ্চুরি উৎসব পালন করেছে। কারও বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
উপরের এ সংক্ষিপ্ত রক্তক্ষয়ী ঘটনাপঞ্জি শেখ হাসিনার ১৫ বছরের অপশাসনের একটি খণ্ডিত চিত্র মাত্র। এসব ঘটনার পরও কি বলবেন যে আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল? যদি বলা হয় যে এটি একটি ধর্ষকদের দল, এটি একটি টাকা পাচারকারীর দল, এটি একটি লুটেরার দল, এটি একটি খুনির দল-তাহলে কি ভুল বলা হবে? আর সেই দলকে কলমের এক খোঁচাতেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে তা আইনের কোনোমাত্র ব্যত্যয় ঘটাবে না। আওয়ামী লীগকে যদি এরপরও ইলেকশন করতে দেওয়া হয়, তাহলে দেশ আবার এক ভয়াবহ রক্তপাতের সম্মুখীন হবে।
মোবায়েদুর রহমান : সিনিয়র সাংবাদিক
journalist15@gmail.com
