শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া উচিত
সেলিম আল রাজ
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সমাবেশে পুলিশের হামলা ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। মূলত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের মূল বেতনের বিশ শতাংশ বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা পাঁচশ টাকা থেকে এক হাজার পাঁচশ টাকা এবং উৎসব ভাতা মূল বেতনের পঞ্চাশ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে পঁচাত্তর শতাংশ করার দাবি আদায়ের জন্য ১২ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ শিক্ষক সমাবেশে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, বেদম লাঠিপেটা, জলকামান নিক্ষেপ করে।
মহান পেশায় নিয়োজিত জাতি গড়ার কারিগররা কেন রাজপথে? মাধ্যমিক পর্যায়ে একজন শিক্ষক বারো হাজার পাঁচশ টাকা এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বাইশ হাজার দিয়ে চাকরি জীবন শুরু করেন। এতে করে বর্তমান বাজার পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে একজন শিক্ষক-কর্মচারীর পক্ষে স্বল্প বেতনে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করা বড়ই কঠিন। তার ওপর ২০১৫ সাল থেকে এনটিআরসিএ-এর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষকের কর্মস্থল দূরবর্তী স্থান হয়। এতে করে নতুন স্থানে ভাড়া বাসা, বাজার, চিকিৎসাসহ নানা ধরনের ব্যয় মিটিয়ে দিনযাপন কষ্টদায়ক ও হতাশার জন্ম দিচ্ছে।
আর্থিক ও মানসিক চাপ নিয়ে সারা দেশে ত্রিশ হাজার এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ছয় লাখ শিক্ষক-কর্মচারী সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রায় সারা পৃথিবীতে শিক্ষকদের সম্মান ও অর্থনৈতিক সুবিধা অনেক বেশি। কিন্তু আমাদের দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রেই যত অর্থ সংকট। শুধু কথার ফুলঝুরি কিংবা কাগজে কলমে নয়, শিক্ষাগুরুর মর্যাদা ও মহান পেশার প্রতি সম্মান রেখে সম্মানজনক অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা বাড়ানো এবং তাদের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নেওয়া উচিত।
প্রভাষক, গৌরীপুর মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ
