|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নির্বাচনের বাতাস বইতে শুরু করেছে। গত তিনটি নির্বাচন কি হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে। দেশটা আবার নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছে। সামনে নির্বাচন। এই গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা জাতীয়তাবাদী দল গত ১৬টি বছর রাজপথে অনেক আন্দোলন করেছি। এ আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের অনেক নেতাকর্মী গুম ও খুন হয়েছে, অনেকে পঙ্গুত্ববরণও করেছে। তাও আমরা রাজপথ ছেড়ে পিছু হটিনি। স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, দেশের মানুষ এখন শান্তিতে ভোট দিতে চায়। আগামী নির্বাচনে অনেকে প্রিসাইডিং অফিসার হিসাবে থাকবেন। মনে রাখতে হবে, এর মধ্যে অনেকে আছেন, কোনোদিন নির্বাচন পরিচালনা করা তো দূরের কথা, ভোট দেওয়ার সুযোগও হয়তো পাননি। সুতরাং, প্রশিক্ষণের বিষয়টা সেভাবেই ডিজাইন করতে হবে।
প্রশাসনে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে। যেমন: প্রশাসন কাদেরকে নিয়োগ করবে, কোথায় নিয়োগ করবে, পোস্টিং কোথায় দেবে ইত্যাদি। রয়েছে আইনগত চ্যালেঞ্জও। কোনো কেন্দ্রে সমস্যা হলে কী অ্যাকশন নেবে, কার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেবে, কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে কী অ্যাকশন নেবে ইত্যাদি। এমন চ্যালেঞ্জ রয়েছে অনেক, আমাদের দেশে দেখা যাচ্ছে, ভোট গ্রহণের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিরাপত্তা। এটি বিশাল আকারে দেখা দিয়েছে এবং এটা নিয়ে সবাই দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন। এটি মোকাবিলা করা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
নির্বাচনি কর্মকর্তাদের নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে। এর জন্য নির্বাচনি কর্মকর্তাদের সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে তারা ব্যর্থ হন, তাহলে এটা অপরাধ হিসাবে নিতে হবে। ক্ষমতা থাকা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ক্ষমতার ব্যবহারও গুরুত্বপূর্ণ। আইনের শাসন কাকে বলে, আমরা এ নির্বাচনে সেটা দেখাতে চাই-এ উদাহরণটা তৈরি করতে দিন। আইন ও নিয়মের অধীনে থাকলে যে কোনো পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজনীতিক
